ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাঁকা 😥
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে মোটামুটি ভালোই আছি। আজ আপনাদের সাথে আবারো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
ঘটনা বেশ কিছু দিন আগের... মানে গত শুক্রবার সন্ধ্যার। গত শুক্রবার সারাটা দিনই টানা বৃষ্টি ছিলো ঢাকায়। আমাদের পুজোর শপিং করতে যাওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু এমন টানা বৃষ্টির কারণে যাওয়ার প্লান বাতিল করেছিলাম। তো সন্ধ্যা প্রদীপ দেয়ার পর চা করছি। করতে করতে মনে হলো শুধু বিস্কুট চা এমন বৃষ্টির দিনে তো মানায় না.. সাথে কিছু গরম গরম ভাজা টাইপ বা ঝাল টাইপ কিছু হলে মন্দ হয় না। বাসায় চিড়া ছিলো। চিড়া ভাজা বা চাল ভাজা আমার খুবই পছন্দের খাবার। ভাবলাম চিড়াই ভাজি, বেশি করে চানাচুর আর সরিষার তেল দিয়ে মাখলে চায়ের সাথে জমবে বেশ। তো যেই ভাবা সেই কাজ। চিড়া ভাজতে গিয়েই হলো বিপত্তি।
ঘটনা হচ্ছে সেদিন আমার নরমালি যে প্যান ব্যবহার করি, সেটায় অন্য তরকারি ছিলো। তাই আমি নতুন একটি প্যানে চিড়া ভেজেছিলাম, যেটা সাধারণত ব্যবহার করি না। কিন্তু চিড়া ভাজা নামানোর সময় একটু অন্যমনস্ক হয়ে ভুলে প্যানের গায়ে আঙুল লেগে যায়।মাসল মেমোরির কারণেই এমন হয়েছে, নরমাল প্যানটার হাতলে কোটিং থাকার কারণে ধরুনী ছাড়াই ধরে নামানো যেত। কিন্তু তখন আর মনে পড়ে নি যে আমাই অন্য প্যান ব্যবহার করছি। ফলে যা হবার তাই হলো। সাথে সাথে ট্যাপের পানিতে হাত দিয়ে রাখলাম কিছুক্ষণ। তারপর বার্ণল লাগিয়ে দিলাম। কিন্তু জ্বলুনী কমলো না.... পরের দিন দেখলাম একটা আঙুলে বেশি লেগেছে, সাদা হয়ে আছে কিন্তু ফোসকা পড়েনি। দুই দিন পর আস্তে আস্তে দেখলাম ফোসকা পড়ছে... আজ প্রায় এক সপ্তাহ হলো, আঙুল এখনো ফোসকা ফুলে আছে। সাথে জ্বালাও আছে।
পরের দিনের অবস্থা
দুই দিন পরের অবস্থা
৬ দিন পরের (বর্তমান) অবস্থা
ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন কেমন ফোসকা ফুলে আছে। এর মধ্যে দিয়েই সাবধানে যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিলো। এইটুকু আগের তাপেই রক্তে মাংসে গড়া আমার এই অবস্থা... চিরবিদায় এর সময় চিতার আগুনে কী হবে....
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আপু উপরের লেখা গুলোর মধ্যে আগুন লেখা ভুল হয়েছে। আমি তো টাইটেল পরে ভাবছিলাম অন্য কিছু হবে। তবে পোস্ট এর ভিতরে ঢুকে খারাপ লাগলো। আপু খুব সাবধানে আপনার আঙ্গুলের যখন তখন ফেটে যেতে পারে। তবুও সাবধানে কাজ করবেন। আর কাজের সময় সতর্ক থাকবেন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমি ঠিক করে নিয়েছি। আর আমিও সেই ভয়েই আছি। ফেটে গেলে তো আরো বেশি জ্বলবে.. 😥
কোন কাজ করার সময় সাবধানতা জ্রুরি। কিন্তু তবুও অনেক সময় অসাবধানতা বশত দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু এভাবে ফোসকা পরলে পরবর্তিতে কোন কাজ করা বেশি কষ্টকর। দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠেন সেই কামনা করি। আর কাজ করার সময় সাবধানে করবেন।নেকনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
আপনার শুভকামনার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে যে কোন কাজ আমাদেরকে সাবধানে করতে হবে। বিশেষ করে আমরা আগুনের মধ্যে দিয়ে কাজগুলো করি, সেগুলো একটু বেশি সাবধানে করা লাগে। আপনার হাতে তো দেখছি বেশ ভালোই ফোসকা করে গিয়েছে। এখন থেকে চেষ্টা করবেন সাবধানে থাকার। সাবধানে থাকলে আশা করছি পরবর্তীতে এরকম দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হবে না।
আপনার মূল্যবান পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সোনিয়া আপু। আমি চেষ্টা করবো।
আপু আসলে কি বলবো? আমি তো আপনার টাইটেল পড়ে অন্য কিছু ভেবেছিলাম। পোস্টটা পড়ে বুঝতে পারলাম ওই রকম কিছুই না। কিন্তু দুর্ঘটনার কথাটা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে। সাবধানে কাজ করা উচিত ছিল আপনার। যদি সাবধানে কাজ করতেন তাহলে এরকম একটা দুর্ঘটনা ঘটতো না। আগুনের ছ্যাকা খেলে আস্তে আস্তে হাতের মধ্যে ফোসকা পড়ে যায় আর অনেক বেশি হয়ে যায় এটা। পরবর্তীতে সাবধানে থাকবেন এবং কাজ করবেন।
সেটাই ভাইয়া। সবসময় তো চেষ্টা করি সাবধানে কাজ করার। তবে ওইসময়ে কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলাম। তার ই ফলাফল পেয়েছি 😔
রান্না করার সময় অসাবধানতার ফলে আমারও এমন বহুবার হয়েছে আপু। এভাবে হাতে ফোসকা নিয়েও আপনি যে যাবতীয় কাজকর্ম করে যাচ্ছেন তাহলে তো আপনার অনেক কষ্ট হচ্ছে আপু। যাইহোক আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ভালো থাকবেন।