কিছু লোভনীয় সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজকে রান্না করা যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারবেন, সব গুলোই আমি রান্না করেছিলাম। আমি ছোট থেকেই পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। রান্না ঘরে বা কিচেন রুমে খুব কম যেতাম। যদি কোন দরকার পড়তো বা নিরুপায় হয়ে যেতাম। আর আমার আম্মু- আব্বু ও ভাই বোনেরাও আমাকে রান্না ঘরে যেতে দিতো না। আমি সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছি। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন চার কিলোমিটার দুরে প্রাইভেট পড়তে যেতাম। প্রাইভেট শেষ করে আর বাসায় আসতাম না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আমাদের নিজের দোকান আছে। দোকানে আব্বু থাকতো আমি সোজা আব্বুর দোকানে চলে যেতাম। আব্বু আমাকে সাথে নিয়ে নাস্তা করতো। আব্বুর সাথে নাস্তা করে কলেজে চলে যেতাম। এভাবেই আমার দিন মাস বছর অতিক্রম হয়েছে।
বিয়ের পড়ে তো শ্বশুড় বাড়িতে রান্না করা লাগবে। তখন রান্না করতে গিয়ে আমার অনেক ঝামেলা হতো। আমার শ্বাশুড়ি বিষয়টা বুঝতে পেরে আমাকের পেঁয়াজ ,রসুন, সবজি, মাছ এগুলো কাটাকাটি করতে দিতো। আমার শ্বাশুড়ি নিজেই রান্না করতো। তবে আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম তিনি কিভাবে রান্না করে। কারন সারা বছর তো শ্বাশুড়ি রান্না করে দিবে না। কয়েক মাস গেলে ঠিকই রান্না করতে হবে। তাই শ্বাশুড়ি কাছে থাকতে থাকতেই রান্নাটা মোটামুটি শিখে ফেলেছিলাম। তারপর ঢাকা এসে নিজে নিজেই রান্না করতাম। আর নতুন আইটেম হলে ইউটিউব মামা, গুগল মামার কাছে জিঙ্গেস করতাম। সমাধান পেয়ে যেতাম। তো চলুন দেখা যাক আজকে কি কি খাবারের ফটোগ্রাফি রয়েছে।
প্রথমেই দেখতে পাচ্ছেন সবার প্রিয় সেমাই। এটা ঈদের দিন রান্না করেছিলাম। সেমাই রান্নার মূল শিক্ষক হলো ইউটিউব মামা। প্রথম প্রথম অতিরিক্ত দুধ দিয়ে নরম করে ফেলতাম। পরে রান্না করতে করতে এখন শিখে গেছি। এই সেমাইটা আমার হাসবেন্ডের প্রিয় সেমাই।
এটা সবার প্রিয় মিষ্টি বা রসগোল্লা। ঈদের দিন আমরা আপুর বাসায় বেড়াতে গেছিলাম। তখন আমার হাসবেন্ড এই মিষ্টি গুলো নিয়ে গেছিলো। হাসবেন্ড আর দুলা ভাইকে মিষ্টি দেওয়ার আগে আমার মোবাইলে ক্যাপচার করে নিলাম। কারন এগুলো তাদের সামনে গেলো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না,হা হা হা। সব গুলোই সাবাড় হয়ে যাবে।
এখানে খুবই সুস্বাদু একটি খাবার দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো হলো শনপাপড়ি। এগুলো আমার খুবই প্রিয়। মুখে দেওয়ার সাথে সাথেই মিশে যায়। সাথে আবার কিসমিস ও কাজু বাদাম আছে। কাজু বাদাম গুলো কামড় দিলে আহ কি যে এক স্বাদ অনুভব হয়, লিখে বুঝানো যাবে না। এক মাত্র যারা খেয়েছে তারাই এই শনপাপড়ির মজা বুঝতে পারবো।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন শিং মাছ দিয়ে লাউ রান্না করেছি। এগুলো আমি আপুর বাসায় রান্না করেছিলাম। ঈদের পরের দিন আপু আর দুলাভাই আমাদের বাসায় দিয়ে একদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখন এগুলো রান্না করেচিলাম। লাউ আমি ও আমার হাসবেন্ড খুবই পছন্দ করি। রুটি দিয়ে লাউয়ের তরকারি খেতে ভীষন স্বাদ লাগে।
এটাও কিন্তুু লাউয়ের তরকারি। দুইটা রেসিপির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এটা আমি বোটের ডাউল দিয়ে আর মাছে মুন্ড দিয়ে রান্না করেছিলাম। দুইটা রেসিপি এক রকম সবজি হলেও স্বাদ কিন্তুু আলাদা ছিল। যে হারে গরম পড়ছে লাউ খেলে পেট কিছুটা ঠান্ডা থাকে। তাছাড়া লাউ সবজিটা বারো মাসই পাওয়া যায়। এখন বাজারে অনেক সাইজের লাউ পাওয়া যায়।
এখন দেখতে পাচ্ছেন আমার ও আমার হাসবেন্ডের সব থেকে প্রিয় মাছের ফটোগ্রাফি। আর এগুলো হলো পাবদা মাছের রেসিপি। এই মাছটা আমি এত পরিমানে খেয়েছি যে এখন আর খেতে তেমন মন চাই না। আমার হাসবেন পাবদা মাছ দেখলেই কিনে নিয়ে আসতো। ফ্রিজে অলটাই এই মাছ থাকে। টমেটোর সিজন যতদিন থাকে এই মাছ খাওয়া হয় বেশি। তবে মাছটির স্বাদ আছে।
বন্ধুরা এখানেই আমার আজকের ব্লগের ইতি টানতে হবে। দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেলেছি। আগামীকাল আবার নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন,এই গরমে বেশি করে পানি খাবেন। পানির অপর নাম জীবন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবার করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কিছু লোভনীয় সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নিজ বাসা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ । |
তারিখ | ৩০/০৪/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে প্রতিটি খাবারই আমার অনেক প্রিয় কোনটা থুয়ে কোনটার প্রশংসা করি বুঝে উঠতে পারছে না কনফিউশনে পড়ে গেছি। ধন্যবাদ প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছ থেকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে মনে হচ্ছিল প্রতিটি খাবারই যেন অমৃত হয়েছে।
ভাইয়া প্রত্যেকটি খাবারই অমৃত হয়েছে। সবগুলো খাবারই খেতে অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
আপু আপনি খুবই লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি যেমন লোভনীয় তেমনি সবগুলো খাবার আমার খুব পছন্দের। বিশেষ করে শনপাপড়ি দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। ছোটবেলায় এগুলো অনেক খেয়েছি। সেমাই রান্না আমার একেক সময় একেক রকম হয়। কখনো পারফেক্ট আবার কখনো এলোমেলো। এমন মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেমন ছোট বেলায় শনপাপড়ি খেয়েছেন। আমিও ছোটবেলায় প্রচুর খেয়েছি। তাছাড়া সব সময় রান্না এক রকম হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপনার খাবারের ফটোগ্রাফী গুলো দেখে জিহ্বায় জল চলে এসেছে। আপনি খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি খুবই সুন্দর করে বিভিন্ন স্থান থেকে খাবারের ফটোগ্রাফী গুলো সংগ্রহ করেছেন। তবে মিষ্টি ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। কেননা মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।
যেনে কুব ভালো লাগলো যে, আপনি মিষ্টি খাবারগুলো খুব পছন্দের একটি খাবার ধন্যবাদ।
ওয়াও আপু মিষ্টি, সেমাই, শনপাপড়ি এসব খাবার গুলো দেখে লোভ সামলানো অনেক কষ্ট। নিজের রান্না করা খাবারের রেসিপি গুলো বেশ দারুণ হয়েছে আপু অনেক লোভনীয় লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনাদেরকে লোভ লাগানোর জন্যই তো ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম। হাহা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিজের রান্না করা কিছু চমৎকার খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন।আপু।ছবি গুলোতে আরেকটু মার্কডাউন ব্যবহার করলে ভাল হতো পোস্ট টা দেখতে ভাল লাগতো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া, মার্কডাউন যদি ব্যবহার করতাম আসলেই সুন্দর হতো। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিয়ের আগে অনেকেই রান্নাবান্নার ব্যাপারে তেমন বেশী এক্সপার্ট থাকে না। বিয়ের পরে আস্তে আস্তে রান্নাবান্নার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং মজার মজার রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে ভালোবাসে। যাইহোক আপু, প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু সবাই এরকমই, প্রত্যেক মেয়েরাই বিয়ের পরেই ভালো রাধুনী হয়ে ওঠে। আর সেই রাধুনী হওয়ার পর সবাইকে ভালবেসে রান্না করে খাওয়ায়। ধন্যবাদ আপু।
বেশিরভাগ মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে গেলে রান্না নিয়ে ঝামেলা পড়তে হয়। কারণ বাবার বাড়িতে অনেকে রান্নাবান্না করে না। তবে আজকে আপনি খুব সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এ ধরনের লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে জিবে এমনি জল এসে যায়। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আজকে আপনি অনেক মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যেগুলো দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এরকম মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি এমনিতেই খুবই পছন্দ করি। লোভনীয় খাবার দেখলে ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলতে, লোভ লেগে যায় অনেক বেশি। আপনি এখানে যে লোভনীয় খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, এগুলোর মধ্যে আমার পছন্দের কয়েকটা খাবার রয়েছে। বিশেষ করে শনপাপড়ি আমার একটু বেশি পছন্দের খাবার।