সিলেট থেকে ফার্নিচার বানিয়ে আনার অনুভূতি।।

in আমার বাংলা ব্লগ10 days ago

00.jpg

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। আজকে বেশ কয়েকদিন পরে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি সবাই আমার ব্লগটি পছন্দ করবেন।

আপনারা সবাই জানেন যে,ঘরের সুন্দর্য হলো ফার্নিচার। ফার্নিচার ছাড়া ঘরের সুন্দর্য ফুটে উঠে না। বর্তমানে কাঠের ফার্নিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার বের হয়েছে। কাঠের পাশিপাশি, লোহা, উড, বেতের ফার্নিচারও রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ভালো ও মজবুত ফার্নিচার হলো কাঠ। কাঠের ফার্নিচারের সাথে অন্য ফার্নিচার যায় না। একবার কষ্ট করে কাঠের ফার্নিচার বানাতে পারলে চল্লিশ পঞ্চাশ বছর চলে যায়। আমাদের গ্রামের বাড়ির কয়েকটা ফার্নিচার পুরাতন হয়ে গেছে। তাই এগুলো পরিবর্তন করার জন্য কথা বার্তা চলতেছিল।

আপনারা অনেকেই জানেন যে,আমার বড় আপুর বাসা সিলেটের মৌলভীবাজার। আমি কোরবানীর ঈদের পরে আপুর বাসায় গিয়েছিলাম। বড় আপুর সাথে আমাদের বাসার ফার্নিচারের বিষয়টা আলাপ করার পরে আপু বললো তাদের একটি আনারস বাগান বাউন্ডারী করবে। সেটা বাউন্ডারী করতে গিয়ে অনেক গাছ কাটা পড়বে। আর গাছ গুলোও অনেক ভালো, মোটাতাজাই। এখন যদি আব্ব ও ভাইয়া ফার্নিচার মিন্ত্রীর খরচ দেয় আপু নিজের কাঠ দিয়ে আমাদের ফার্নিচার গুলো বানিয়ে দিবে। ভাইয়ার সাথে আপু আমি কথা বলে ফার্নিচার বানানোর বিষয়টা ফাইনাল করলাম। তারপর বাগান থেকে গাছ কাটা শুরু হলো। আমি আপুর বাসায় থাকতে থাকতেই ফার্নিচারের কাজ শুরু করেছে।

00.jpg

আমি প্রায় এক মাসের মত আপুর বাসায় ছিলাম। তারপর ২০ থেকে ২৫ দিন পরে ফার্নিচার মিস্ত্রী আপুকে ফোন করে জানালো যে ফার্নিচার রেডি হয়ে গেছে। আপনি এসে দেখে যেকোন দিন ডেলিভারি নিতে পারবেন। আমি আর আপু একদিন সন্ধার পরে ফার্নিচার গুলো দেখতে গেলাম। উপরে যে খাটের ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন। এটা আমার দেওয়া ডিজাইনের খাট। ডিজাইনটা প্রথম দেখে ‍বুঝতে পারি নাই, এত সুন্দর হবে। এই খাটটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

photo_2024-07-04_12-54-17.jpg

এই ওয়ারড্রবটা আমার বড় ভাইয়ের বউ তথা আমাদের ভাবির জন্য বানানো হয়েছে। এই ডিজাইনটা দিয়েছে বড় আপু। এখানে বলে রাখি এই ওয়ারড্রবটি বানাতে যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা বড় আপু নিজে বহন করেছে। কারন আপু ভাবিকে এই ওয়ারড্রবটি গিফট করেছে। এই ওয়ারড্রবের ডিজাইনটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।

photo_2024-07-04_12-57-28.jpg

এই ওয়ারড্রবটি বানিয়েছে আমার চার নাম্বার আপুর জন্য। বড় আপুর বাড়ির কাঠ পেয়ে ঐ আপুও একটি ওয়ারড্রব অর্ডার করলেন। এই ডিজাইনটা আপু নিজেই দিয়েছে। এটার দরজার মধ্যে কাঠের ভিতরে গ্লাস দেওয়া হয়েছে। গ্লাস দিয়ে বাহির থেকে বুঝা যায় ভিতরে কি আছে। এই ডিজাইনটা নতুন একটি ডিজাইন। এটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

photo_2024-07-04_12-54-18.jpg

এই আলমারিটাও আমাদের বাসার জন্য বানানো হয়েছে। এই আলমারির ডিজাইনটা দিয়েছে আমার ছোট বোন। যেহেতো সেই এটাতে বেশি কাপড় রাখবে, তার দখলেই এটা থাকবে। সে জন্য সে নিজেই এটার ডিজাইন দিয়েছে। যে যেই ডিজাইন দিয়েছে ফার্নিচার মিস্ত্রী সেই ডিজাইন মতই ফার্নিচার গুলো তৈরী করেছে। সবাই আমাদের ফার্নিচার গুলো পছন্দ করেছে। সবাই ইউটিউব থেকে দেখে দেখে ডিজাইন দিয়েছে। আর ফার্নিচার মিস্ত্রীও অনেক ভালো, যেভাবে ডিজাইন দেওয়া হয়,তিনি সেভাবেই ফার্নিচার বানিয়ে দেয়। আমার শ্বশুর বাড়ির জন্যও এখান থেকেই ফার্নিচার বানিয়ে নিয়ে গেছিলাম।

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ। আশা করি কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আপনাদের মাঝে নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামসিলেট থেকে ফার্নিচার আনার অনুভূতি।।
স্থানকুলাউড়া, মৌলভীবাজার, সিলেট,বাংলাদেশ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 days ago 

বাহ বাহ আপু,একদম দারুণ একটা কাজ করেছেন। বড় আপুও সবাইকে কিছুটা হেল্প করতে পেরেছে তাহলে। কারণ বর্তমান সময়ে কাঠের যে পরিমাণ দাম সে অনুযায়ী কাঠ কিনে ফার্ণিচার বানাতে অনেক খরচ পড়ে যায়। আর আপু যেহেতু কাঠের ব্যবস্থা করেছে সেই হিসেবে আপনাদের খরচ কমলো।আর সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস বানিয়েছেন।ছোট ওয়্যারড্রবটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। আর খাটের ডিজাইনটাও খুব সুন্দর হয়েছে।

 6 days ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন, আপু কাট দেওয়াতে আমাদের কম টাকায় অনেকগুলো ফার্নিচার হয়ে গেছে। আমার আপু যেহেতু সিলেটে থাকে। আপুর অনেক জায়গা আছে। আর কাঠ গাছ ও আছে। তাই আপু উপহার হিসেবে কার্ড দিয়েছে আমরাও সুন্দর ফার্নিচার বানাতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপু।

 10 days ago 

বেশ দারুন কিছু ফার্নিচার তৈরি করা হয়েছে। ওয়ারড্রবটি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। খাটের ডিজাইন খুবই অসাধারণ। আসলে কাঠের ফার্নিচার বেশ ভালো মানের হয়ে থাকে। কম খরচে বেশ কিছু চমৎকার ফার্নিচার তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 6 days ago 

জি ভাইয়া এটা সত্যি যে, কম খরচে অনেকগুলো ফার্নিচার বানিয়েছিআর বিশেষ করে খাট আর ওয়ারড্রব আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 days ago 

আপনি দারুণ ও ব্যতিক্রম একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফার্ণিচার যেকোন ঘরের আসবাবপত্র সাজানোর জন্য অতীব জরুরি একটি অংশ আর বোধ করি গাছ কেটে আমরা ৮০ শতাংশের বেশি আলমারি, সোফা সেট, শো কেস কিংবা ওয়াল ক্যাবিনেটের মতো জিনিস বানাই।
আপনি এ বিষয়টিতে যথাযথই সঠিক, কাঠের আসবাবই সেরা আর তার ডিউরেবিলিটি ৩০-৪০ বছর না গেলেও কাঠ ভেদে ভিন্ন হয়। কাঠখেকো পোকার হাত থেকে টিকিয়ে রাখাটাই বড় বিষয়, তাই অনেকে বার্ণিশ করে ফেলে।

লোহার আসবাব তেমন দেখিনি, এটি একটি নতুন তথ্য দিলেন, ভালো ফার্ণিচার মার্টে গেলে দেখে নেব যদি পাওয়া যায়। বোধ করি এমন ফার্ণিচারগুলো রেডিমেড হয়।

আপনার তোলা সবগুলো ছবির ডিজাইনই সুন্দর, মিস্ত্রিকে যে ডিজাইন দেখিয়েছেন ইউটিউব থেকে, দেখে মনে হচ্ছে বেশ শৈল্পিক আর কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান দেখতে উনি।

 6 days ago 

জি ভাইয়া কাঠ খেকো পোকার থেকে বাঁচাতে পারলে থেকে ৫০ থেকে ৬০ বছর এমনিতেই ব্যবহার করা যায়। আর কাঠের আসবাবপত্র গুলো ঘরের সৌন্দর্য ফুটে তুলতে বেশি ভূমিকা রাখে। তাই বেশি অংশ মানুষ কাঠের আসবা পত্র তৈরি করে।

জ্বী ভাইয়া মিস্ত্রী কে আমরা যেভাবে যে ডিজাইন বানাতে বলি, উনি সেভাবেই তৈরি করেন।উনি অনেক দক্ষ একজন মিস্ত্রি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64105.03
ETH 2757.74
USDT 1.00
SBD 2.66