মজাদার কিছু ফুড ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি তিতাস আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। প্রতিদিনই আপনাদের সামনে নতুন কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি ।সেই সুবাদে আজকে কিছু ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।

আপনারা হয়তো সবাই জানেন যে আমি বর্তমানে আমার জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে অবস্থান করতেছি। আমাদের বাড়িটা হলো তিতাস নদীর পাড়ে। আমার জন্মভুমিটাকে আমি খুব মিস করি। ধীর্ঘ দুই তিন মাস পরে বাড়িতে আসছি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য। বাড়িতে আসার পড়েই খাওয়া দাওয়ার ধুম পড়ে গেল। আমার আব্বা এবং ভাইয়া দুইজনই ব্যবসায়ী। সে জন্য খাওয়ার দাওয়ার কোন কিছু কমতি নেই। বর্তমানে জিনিষ পত্রের দাম হাতের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। তারপরও বাবা এবং ভাইয়া কোন কিছু কম আনে না। বাড়িতে আসার পরে বিভিন্ন জিনিষের দাম জেনে বুঝতে পারছি,জিনিষ পত্রের কত দাম।

আমাদের বাড়িতে আল্লাহর দয়ায় সব সময় ভালো খাবার দাবাড় খাওয়া হয়। আল্লাহ যখন যেটা রিজিকে রাখে সেটাই খাওয়া হয়। গত কালকের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার শরীরটা তেমন ভালো না। তাই তেমন কোন রেসিপি করতে পারছি না। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের পছন্দ হবে।

প্রথম যে ফটোগ্রাফিটা দেখছেন এটা হলো চিকেন ফ্রাই। আমাদের আবার দেশি মুরগির ব্যবসা আছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন ভাবে রেসিপি করে খাওয়া হয়। আজকে একটি মুরগির ফ্রাই করেছি। রেস্টুরেন্টে যে ফ্রাই খাওয়া হয় সে গুলো স্বাস্থসম্মত না। আবার সে গুলো ফ্রামের মুরগি। এটি দেশি মুরগি দিয়ে ফ্রাই করেছি।

এগুলো হলো চিংড়ি ভুনা। চিংড়ি মাছ সবারই প্রিয়। আমাদের ঘরের ছোট থেকে বড় সবাই চিংড়ি মাছ খুবই পছন্দ করে। গত কাল অনেক গুলো চিংড়ি ভুনা করেছিলো। খাওয়ার আগে পরিবেশনের সময় ফটোগ্রাফিটা করেছি। ভুনাটা খুবই ‍সুস্বাদু হয়েছিল।

এগুলো হলো নদীর মাছের ভুনা। আমাদের বাড়ি নদীর তীরে। সেই জন্য প্রতিদিনই বাজারে নদীর দেশি মাছ পাওয়া যায়। আমার আব্বা আবার চাষের মাছ খেতে পারে না। যার জন্য বাবা দুই একদিন পর পর এক সাথে অনেক গুলো নদীর মাছ কিনে নিয়ে আসে। গত কাল কিছু মাছ ভুনা করেছিল।

এগুলো হলো চিংড়ি দিয়ে লাউরের রেসিপি। লাউ খুবই জনপ্রিয় ও ভিটামিন যু্ক্ত একটি সবজি। সাধারনত সবাই লাউ খুব পছন্দ করে। বলা হয়ে থাকে লাউ হলো জান্নাতি খাবার। লাউ খেতে পারলে পেট ভালো থাকে। আমার আম্মু এই রেসিপিতে লাউচের সাথে চিংড়ি মাছ দিয়েছিল। রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।

এটা হলো ঝাল মাংসের রেসিপি। শুধু ফ্রাই করলে তো আর হয় না, ঝাল মাংসও লাগে। সেই জন্য আম্মু ঝাল মাংসও রেসিপি করেছেন। আমাদের ঘরে আমি সহ কয়েক জনের ডাক্তার থেকে মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তুু কে শুনে ডাক্তারের কথা। সবাই বলে একদিন মরেই যায়ে। কি হবে না হবে পরে দেখা যাবে। আমি অবশ্য কয়েকদিন যাবৎ ডাক্তারের কথা মেনে চলতেছি।

আর সর্বশেষ যে ফটো গুলো দেখছেন সে গুলো হলো করলা ভাজি। করলা আমাদের শরীরের জন্য খুবউ উপকারি। করলার ভাজি থেকে ভর্তা খেতে পারলে আরো বেশি উপকার হয়। আমি অবশ্য ভর্তা খেতে পারি না। তবে করলা ভাজি আমার খুবই প্রিয়। আমি এই ভাজিটা দিয়েই ভাত খেয়েছি।

বন্ধুরা আজ আর বাড়াবো না। আজকে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির নিচে যথা সম্ভব বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আবার আগামীকাল দেখা হবে,নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।