আপুর বাড়ির গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি।।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আবারো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আমার আজকের ব্লগটি হলো। আপুর বাড়ির কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। এখন ফলের সিজন। এখন বিভিন্ন প্রকারের মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। আর আমাদের দেশের জাতীয় ফল হচ্ছে কাঁঠাল। আর তাই আপনাদের মাঝে আমি এখন আমাদের দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব। চলুন আমার আপুর বাড়ির গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

আপনারা সবাই জানেন যে আমি বর্তমানে সিলেটে অবস্থান করছি। আমার আপুর বাড়ি সিলেট। আর এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে সিলেটে চা পাতা বাগান, লেবু বাগান, আম, কাঁঠাল, আনারস সকল প্রকারের মৌসুমী ফলের সমারোহ এই অঞ্চলে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে সিলেটে বেড়াতে আসলে খুবই আনন্দ পাওয়া যায়। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকারের মৌসুমী ফল গাছ থেকে পেড়ে পেড়ে খাওয়া যায়। এই অনুভূতিটা শুধু তারাই বুঝবে যারা গাছ থেকে ফল পেড়ে পেড়ে খেয়েছেন। বর্তমানে প্রত্যেক ফলের মধ্যে ফরমালিন মেশানো হয়। যার কারণে ফল খেয়ে তেমন তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তাই নিজ গাছের ফলের সাথে কেনা ফলের কোন সম্পৃক্ততা হয় না। তাই চলে আসলাম আপুর বাড়ি টাটকা ফল আর প্রকৃতির সতেজ হাওয়া খেতে।

উপরে যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পারছেন। সবগুলি আমার আপুর গাছের কাঁঠাল। আমি কাঁঠাল অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া আমি বাজি ধরে এক জায়গায় বসে একটি কাঁঠাল সাভার করে দিতে পারি। হাহাহা। তাই আমার আপু, আপুর পুরান বাড়ি থেকে লোক দিয়ে কাঁঠাল পাড়িয়ে তারপর গাড়ি দিয়ে নতুন বাড়িতে এনেছেন। কাঁঠালগুলো পারতে ও বাড়িতে আনতে ২০০ টাকা খরচ হয়েছিল। আমার আপুর বিশাল বড় কাঁঠালের বাগান আছে। প্রত্যেক বছর অনেক টাকার কাঁঠাল বিক্রয় হয়। আর নিজেদের খাওয়ার জন্য ৫-৬ টা গাছ রেখে দেন।

সবগুলো কাঁঠালের মাঝখান থেকে আমার এই কাঁঠালটি বেশি পছন্দ হয়। তাই কাঁঠালটি ভাঙ্গার জন্য একটি বড় ডিশের থালার মধ্যে কাঁঠালটি রাখি। তারপর একটি ছুরি নেই কাঁঠালটি কাটতে।ডিশের থালাটি নেওয়ার কারণ হলো আপুর একটি শর্ত যে কাঁঠাল খেতে পারবে তবে আমার রুম নোংরা কার যাবে না। তাই বুদ্ধি করে এই প্রসেস ফলো করলাম।

ভেবেছিলাম কাঁঠালটি ভাঙতে চুরি লাগবে। তবে কাঁঠালটি ভাঙতে ছুরি ব্যবহার হয়নি। এমনকি কাঁঠালের মধ্যে আঠা বা কস ছিল না। আর মাশাল্লাহ কাঁঠালটি অনেক মিষ্টি ছিল। কাঁঠাল এমন একটি ফল যা ভাঙ্গার জন্য প্রথমে গাতে তেল লাগাতে হয়। আর না হয় হাতে কাঁঠালের আঠা লেগে থাকে। আবার এই কাঁঠালটি আমাদের দেশের জাতীয় ফল। হবেই না কেন। কাঁঠালের কোন কিছুই অপ্রয়োজনীয় নয়। কাঁঠালের গোশ খাওয়ার পরে আমরা এর বিচি দিয়ে বিভিন্ন কিছু তৈরি করে খেতে পারি। তাছাড়া কাচা কাঁঠালের খোসা দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করা যায়। আবার গৃহপালিত পশুর অর্থাৎ গরুর একটি দামি খাবারও বটে। আর এই চারটি ধনী গরিব সবাই সহজলভ্য ভাবে পেয়ে থাকেন। আর একটি গাছে মাশাল্লাহ অনেকগুলো কাঁঠাল ধরে।

আপনারা দেখতে পারছেন কাঁঠালটি কত সুন্দর করে ভেঙে প্লেটে রাখা হয়েছে। এই কাঁঠালের কোষগুলো তেমন শক্ত ছিল না আবার নরমও ছিল না। এরকম কাঁঠাল খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আমার জন্য এতগুলো কাঁঠাল গাছ থেকে পাড়িয়ে এনেছেন দেখে আমি অনেক অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আপু আমাকে বলে যে, এই কাঁঠাল গুলো শেষ করার পরে আবার নাকি আমার জন্য গাছ থেকে কাঁঠাল আনবে। হাহাহা। আচ্ছা বন্ধুরা আপনারাই বলেন তো এই সবগুলো কাঁঠাল আমি একা শেষ করতে পারবো?

আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। আর কেমন হয়েছে আমার আজকের ব্লগ গুলো অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন। সবার জন্য ভালোবাসা ও দোয়া রইল। আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামআপুর বাড়ির গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি ।।
স্থানকুলাউড়া, সিলেট, বাংলাদেশ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

 4 days ago 

এই সময় বিভিন্ন ফলের মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। আর কাঁঠাল ফলটি অনেক শক্তিশালী খাবার। যদি অতিরিক্ত গরমের জন্য এ বছরে খুব বেশি কাঁঠাল খেতে পারি নাই। তবে কাঁঠাল যে আমার খুবই প্রিয় একটি ফল এতে কোন সন্দেহ নেই। আপু বাড়ির গাছের কাঁঠাল খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভালই লাগলো পড়ে ধন্যবাদ।

 4 days ago 

আপু সিলেটে চা বাগান আছে এবং ফলের বাগানো আছে তা কিন্তু আমরা জানি। আপনি সিলেটে আপনার আপুর বাড়িতে গিয়ে কাঁঠাল খেলেন। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে আপনি একাই একটি কাঁঠাল খেতে পারেন বসে। আমাদের বাড়ি তো কাঁঠাল গাছ আছে। তবে আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব মজা করে কাঁঠাল খেয়েছেন। এবং বাজারের চেয়ে নিজের বা তাজা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা। কাঁঠাল খাওয়া অনুভূতি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

 3 days ago 

আপু আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই আমি ভীষণ অবাক হয়েছি এখনো মানুষ কাঁঠাল এতটা পছন্দ করে সত্যি আমার জানা ছিল না ।আর আগের দিনে শুনেছি ছেলেরা আস্ত কাঁঠাল খেয়ে ফেলত ।কোন মেয়ে যে আস্ত কাঁঠাল শেষ করে এই প্রথম জানলাম ।কাঁঠাল যে আপনার ভীষণ পছন্দের ফল তা বুঝতে পারছি ।সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। সবগুলো কাঁঠাল শেষ করুন । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64741.88
ETH 3457.21
USDT 1.00
SBD 2.55