যদি হয় সুজন,তেতুল পাতায় ন'জন
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এমন অনেকেই আপনারা দেখে থাকবেন অনেকের হয়তো বিশাল বিশাল রাজপ্রাসাদের মতোন ঘর রয়েছে। কিন্তু সেখানে কিছু আত্মীয়-স্বজন কিংবা নিজের বাবা-মা কিংবা নিজের ভাই বোনের ই জায়গা হয় না। আবার কোথাও কোথাও দেখবেন হয়তো খুব কষ্টে অনেকজন মিলে এক রুমের বাসায় থাকে। এবং এক রুমের মধ্যে বাবা, মা, ভাই, বোন, ছেলে, মেয়ে সকলকে নিয়ে খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করে। হতে পারে সেখানে খুব বিলাসবহুল জীবনযাপন করা সম্ভব হয় না। কিন্তু তাই বলে সেখানে ভালোবাসার কোনো কমতি থাকে না। কারণ ভালোবাসা থাকে বলেই একটা রুমের মাঝেই এতোগুলো মানুষ কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও থেকে যায়।
শুধুমাত্র এই ব্যাপারটিকেই যদি আমি এই উক্তিটির উদাহরণ হিসেবে দেই, তাহলে হয়তো প্রযোজ্যই হবে। কারণ যেখানে আমাদের ভালবাসা রয়েছে। সেখানে আমরা অনেকে মিলে একসাথে কষ্ট করতে থাকতে রাজি হয়ে যাই। এবং এটা মানুষের স্বাভাবিক একটা স্বভাব। আবার যেখানে ভালোবাসা থাকে না। সেখানে সেই মানুষটা হয়তো ঘরের মধ্যে থাকলেও মানুষের বিরক্ত লাগা শুরু করে।
কিন্তু আমি তাদের কথা বলছি, যারা এই যে নিজের বাবা মাকে এতো বড় বড় ঘরবাড়ি থেকেও রাস্তায় নামিয়ে দেয় কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। তাদের মধ্যে আসলে কতোটা ভালোবাসার কমতি থাকে! কিন্তু তাদের বাবা-মা কি ছোটবেলায় তাদেরকে এই ভালোবাসার কমতি দিয়ে বড় করেছে?নিশ্চয়ই নয়। তাদের বাবা-মা তাদেরকে আগুন, পানি থেকে বাঁচিয়ে আজকে এতো বড় করেছে।
তারা সেখানে ওই উক্তিটির মতো তেতুল পাতায় নয়জন না হয়ে, ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ থেকে দূরে সরে নিজের আপন মানুষগুলোকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। আর নিজেরা থাকে বড় বড় রাজপ্রাসাদের মতো ঘরে।
আসলেই সবকিছুর জন্য ভালোবাসাটা অনেক বেশি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোথাও ভালোবাসা থাকলে সেখানে পান্তা খেয়েও মানুষ সুখে থাকতে পারে। আবার কোথাও ভালোবাসা না থাকলে মাছ মাংস ইত্যাদি খেয়েও পেট ভরে তবে মন ভরে না! আমি মনে করি, সংসারে সবার সুজন ই হওয়া উচিত।
আর সংসারে যদি সকলে মিলেমিশে এবং ভালোবেসে থাকে। তাহলে সেই সংসারটা চাঁদের আলোর মতো আলোকিত হয়ে ওঠে সুখেও শান্তিতে।
অপাত্রে কন্যাদান বিষয়টা যেন এমন হয়ে গেছে। ভালোবাসাটা এমন একটা জিনিস যেন টাকা দিয়েই এখন সবাই কিনতে চায়। কিন্তু ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যেটা মন থেকে তৈরি হয়। আর এই ভালোবাসা যেখানে থাকে সেখানে অধিক কষ্ট হলেও মানুষ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। যেমন আপনার পোস্টে বলেছেন একটা কামরার মাঝেই অনেক কয়েকজন থাকে একটা পরিবারের। কিন্তু বিশাল অট্টালিকার মধ্যে মা-বাবার জায়গা হয় না রাস্তায় নামিয়ে দেয় বা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়। এটাই হচ্ছে বাস্তব। ভালোবাসা থাকলে যে কোন জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়।
কথাগুলো যেন আমারই মনের কথা বলেছেন।বর্তমানে এমন মানুষ দেখা যায়। সংসার ধর্মে সকলকে নিয়ে একসাথে থাকাটা কত বড় মহত্ব সেটা কেউ বুঝে আবার কেউ বোঝেনা। তবে বাবা মা কিভাবে কষ্ট করে সন্তানদের বড় করে সেটা হয়তো তারা ভুলে যায়। এজন্যই তারা এরকম আচরণ করে।
ভালোবাসা হচ্ছে অমূল্য সম্পদ। পরিবারের মানুষদের প্রতি ভালোবাসা থাকলে অল্প খেয়েও শান্তিতে জীবনযাপন করা যায় এবং নিজেকে সুখী মনে হয়। তবে কিছু কিছু কুলাঙ্গার সন্তানেরা মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে এবং এই ব্যাপারটা আমার খুবই বাজে লাগে। এতো কষ্ট করে লালন পালন করার পর যদি আমরা এমন প্রতিদান দেই,তাহলে আল্লাহ তায়ালার আরশ কেঁপে উঠে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।