সন্তান আল্লাহর বড় নিয়ামত পর্ব:৩
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আমার লেখা গল্পটি আবার শেয়ার করতে চলে এসেছি । কয়েকদিন আগে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব লিখে ফেলেছি । আসলে আশেপাশে মানুষের জীবন কাহিনী নিয়েই গল্প হয়ে যায় ।মানুষের জীবন সুখে দুঃখে ভরপুর তার ভিতর কিছু আছে সুখের এবং কিছু গল্প আছে দুঃখের । সেরকমই একটি মেয়ের জীবনের কিছু অংশ আমি গল্প আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধীরেছিলাম । এখন সেই গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে আমি চলে এসেছি । গত পর্বে আমি শেষ করেছিলাম যে পিঙ্কি তার বাচ্চা রাখতে চাচ্ছিল না কিন্তু ডাক্তাররা বলছিল যে ওর বাচ্চাটা ভালো আছে । আমি তার পরের থেকে শুরু করছি ।
তারপর সে বাসায় চলে আসে এবং সবার সাথে আলাপ করে সবাই একই কথাই বলে যে অনেক বেশি পরিমাণে ওষুধ খাওয়া হয়ে গিয়েছে যা বাচ্চার উপর প্রভাব পড়তে পারে । সেই কারণে সবাই এই বাচ্চা না রাখার পরামর্শ দেয় । পরে যখন সে ডাক্তারের কাছে যায় এবং বলে যে আমি বাচ্চা রাখতে চাই না । সেই ডাক্তার কিছুতেই রাজি হয় না তাকে বলে যে আমি এই কাজ কিছুতেই করতে পারব না । কারণ বাচ্চার সবকিছুই ভালো আছে তুমি পারলে অন্য ডাক্তারের কাছে যাও ।
তখন পিঙ্কি অনেক টেনশনে পরে যায় এবং সে বাধ্য হয়ে অন্য আরও এক ডাক্তারের কাছে যাই এবং সেখানের ডক্টর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সবকিছু দেখে বলে যে বাচ্চার তো সবকিছুই ভালো আছে তাহলে আপনি কেন এটা করতে চাচ্ছেন । তারপরে ডাক্তারের কাছে সবকিছু খুলে বলে ডাক্তার বলে যে কোন সমস্যা নাই কারণ বাচ্চা ভালো আছে । তারপরও সে বাচ্চাটাকে রাখবে না অন্য ডাক্তারের কাছে যায় কিন্তু তারাও কিছুতেই এই কাজটি করতে চায় না ।
তখন সে কি করবে বাধ্য বাচ্চাটা রাখযে রাজি হয় । দেখতে দেখতে বাচ্চাটা ডেলিভারি হওয়ার সময় চলে আসে এবং ভালোমতো সে পৃথিবীতে আসে । বাচ্চার কিছু ছোটখাট সমস্যা ছিল যেটা ওখানে ট্রিটমেন্ট হয়েছিল । তারপর তারা বাসায় নিয়ে আসে ছোট খাটো সমস্যা থাকে তেমন একটা আমলে নেয়নি । এভাবে চলতে থাকে কয়েকটা দিন । কয়েকদিন যাওয়ার পরে বাচ্চাটা কিছুটা ঝরঝরে হয় ।
এরপর একদিন সন্ধ্যার পরে পিংকির স্বামী তার বড় বাচ্চাটাকে নিয়ে বাইরে একটু ঘুরতে যায় । ওই বাচ্চার বয়স খুব একটা বেশি না এক দেড় বছর হবে । এর ভিতর প্রচন্ড পরিমাণে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় কিন্তু কেন জানি না সেই ঝড়ের সাথে সাথে পিংকি মনের ভিতর হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয় । সে কিছুতেই স্থির থাকতে পারছে না ছটফট করছে ।তার মাকে বলছে যে আমার যেন কেমন লাগছে কোন কিছুই ভালো লাগছে না । ওর মা বলে যে বাইরে ঝড় উঠেছে ওরা তো এখনই চলে আসবে তুই এত টেনশন করিস না । পিংকি বলে কেন জানিনা আমি কিছুতেই স্থির থাকতে পারছি না । এর ভিতর তার স্বামী তার বাচ্চাটাকে নিয়ে ফিরে আসে ।
চলবে......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
ডাক্তাররা বাচ্চাটিকে নষ্ট না করার কারণে বাচ্চাটি বেঁচে গেলো। তা না হলে তো মেয়েটি অন্যের পরামর্শে বাচ্চাটিকে নষ্ট করে ফেলত। যাক বাচ্চাটি সুস্থ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু হঠাৎ ঝড় উঠাতে পিংকির মনে এরকম অস্বস্তি শুরু হল কেন। নিশ্চয়ই পরবর্তীতে কোন সমস্যা হবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আসলে আপু বাচ্চাটাকে যদি ফেলে দিত তাহলে তো আর ওর নিশানাই থাকতো না ভাগ্যিস কিছু করতে পারেনি ।
@tipu curate
Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)
আসলে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খেলে মা এবং বাচ্চা দুজনের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তবে ডাক্তার যেহেতু নিশ্চিত করেছে যে বাচ্চা ভালো আছে। তাহলে বাচ্চাটাকে রাখাই সর্বোত্তম। যাক অবশেষে বাচ্চাটা ভালোয় ভালোয় সুন্দর ভাবে জন্ম নিয়েছে। যদিও ছোটখাটো সমস্যা ছিল সেটারও ট্রিটমেন্ট করিয়েছে। তবে আগামী পর্বে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ।
ডাক্তারের উপর ভরসা করেই তো শেষ পর্যন্ত বাচ্চাটাকে রেখে দিয়েছিল ।
আপু এর আগের পর্ব পড়া হয়নি, তবে এই পর্ব পড়ে আগের পর্ব পড়ার অনেক বেশি ইচ্ছে হচ্ছে। কেনই বা সে বাচ্চাটাকে রাখতে চাইছিল না। পরবর্তীতে ডাক্তার নিশ্চিত করল যে বাচ্চা ভালো আছে তাহলে রাখার যায়। সেই হিসেবে বাচ্চাকে রাখা হলো। যাই হোক আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আর এই ফাঁকে গত পর্বেগুলো পড়ে নিব ধন্যবাদ।
আল্লাহ যাকে রাখে তাকে দুনিয়ার কোন শক্তি কিছু করতে পারে না ।
ডাক্তাররা যদি বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলত তাহলে বাচ্চাটা এই জীবন পেতো না। ডাক্তাররা বাচ্চাটাকে নষ্ট না করে একেবারে ভালো করেছে। ঝড় বৃষ্টি উঠার কারণে পিংকি অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এর ভেতরে তার স্বামী তার বাচ্চাটাকে নিয়ে ফিরে এসেছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি বাচ্চাটা সুস্থ এবং ভালো আছে। দেখা যাক এর পরবর্তীতে কি হয়।
ছেলে মেয়ে বাইরে থাকলে বাবা মার ভেতরে ঝড়ে উঠে টেনশন অনেক বেশি কাজ করে পিঙ্কিরও তাই হয়েছিল ।
আপনার শেয়ার করা গল্পটির আগের পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে গল্পে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। পৃথিবীতে অনেক মা আছে যারা সন্তান পাওয়া আশায় কত কিছু করছে। কিন্তু এই গল্পে আজ তার ব্যতিক্রম দেখতে পেলাম। ঝড়ের সাথে সাথে পিংকির মনেও ঝড় উঠেছে বিষয়টা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগছে না কারণ পিংকি যেমন হোক না কেন সে একজন মা আর মায়ের মনে ঝড় উঠলে কোন একটা বিপদ আসার আশঙ্কা থাকে। পরের পর্ব আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম আপু.........আশা করি ভালো কিছুই হবে।
আগের পর্বগুলো পড়ে নিয়েন ভাইয়া দেওয়াই আছে ভাল লাগলে ।
ঠিক আছে আপু৷ গল্পটা খুব সুন্দর ছিলো। ভালো থাকবেন
আপনার এই গল্পটার প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়েছিল, তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়া হয়নি। কিন্তু এই গল্পটার দ্বিতীয় পর্ব আজকে অনেক সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে পড়তে খুব ভালো লেগেছে। ডাক্তার বাচ্চাটাকে নষ্ট না করে একেবারে কাজ করেছে। এভাবে অতিরিক্ত ওষুধ খেলে মা এবং বাচ্চা দুজনে অনেক বেশি ক্ষতি হয়। এই গল্পের পরবর্তী পর্বে কি হতে চলেছে এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
ডাক্তাররা অনেক ক্ষেত্রে সব কাজ করতে পারেনা এজন্যই বাচ্চাটা বেঁচে গিয়েছিল ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু সন্তান আল্লাহর দেয়া এক বড় নিয়ামত । কারণ অনেকেই অনেক সাধনা করে ও একটি সন্তানের পিতা বা মাতা হতে পারছে না আবার অনেকেই হতে পারছেন। আপনার পোস্ট দেখে এবং পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন । জাযাকাল্লাহ।
এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছা আল্লাহ কখন কাকে কিভাবে দিবেন সেটা আল্লাহ নির্ধারণ করে রাখেন ।
বাচ্চাটি সুস্থভাবে পৃথিবীতে এসেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এই গল্পের তিনটি পর্বই আমার পড়া হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু। খুব জানতে ইচ্ছা করছে পরবর্তীতে কি হয়েছিল।
আসলেই আপু বাচ্চাটা যে সুস্থভাবে পৃথিবীতে এসেছে এটাই বড় কথা । আল্লাহ যাকে রাখে তাকে কেউ কিছুই করতে পারে না এটাই বড় কথা ।