আমার বাসার অতিথিদের নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব,10%shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20221016_000830179.jpg

আজ আমি আপনাদের সামনে আমার পাখির ছানাগুলোকে নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলে এসেছি। দেখতে দেখতে আমার পাখির ছানাগুলো অনেক বড় হচ্ছে একটু একটু করে। প্রতিদিন আমি ওদেরকে দেখছি আর অবাক হচ্ছি একটু একটু করে ওদের চোখ বড় হচ্ছে ওদের হাত পা বড় হচ্ছে ওদের পাখনা গজাচ্ছে। এ যেন এক ভিন্ন রকমের অনুভূতি এত কাছ থেকে এই জিনিসগুলো দেখার সৌভাগ্য আমার আগে কখনো হয়নি এজন্য আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রত্যেকটা জিনিস পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছি। তারপরে আবার দেখছি যে ওদের মা ওদেরকে নিয়মিত একটু একটু করে খানা খাইয়ে বড় করে চলছে। প্রত্যেকবার উড়ে উড়ে আসে আর মুখে করে একটু খাবার নিয়ে আসে একটা পাখিকে খাইয়ে আবার চলে যায় একটু পরে আবার আসে। যখনই আমি দেখি ওদের মা ওদেরকে খাবার খাওয়াতে আসছে আর ওরা কিচিরমিচির করে ডাকাডাকি করছে। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমার একটা ডিউটি আগে ওদেরকে দেখা। ওরা কেমন আছে কিভাবে বড় হচ্ছে কি করছে। যখনই আমি কাছে যাচ্ছি ওদের মা আমাকে দেখে উড়ে চলে যাচ্ছে।

IMG-20220916-WA0008.jpg

উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন ওদের বাবা দূরে গ্রিলের উপরে দাঁড়িয়ে ওদেরকে দেখছে।

তখন আমার নিজের কাছেই খারাপ লাগে যে আমি ওদের থেকে ওর মাকে তাড়িয়ে দিলাম। তারপরও আমি ওদেরকে দেখার জন্য প্রতিদিনই বারান্দায় যাই মাঝে মাঝে আমি ঘরের ভেতর থেকে দূর থেকে দেখার চেষ্টা করি। পাখিরা মনে হয় মানুষের গন্ধ পায় আমি দূর থেকে দেখলেও ওর মা উড়ে চলে যায়। আবার মাঝে মাঝে দেখি দুইটা পাখি একসাথে বারান্দার গ্রিলে দাঁড়িয়ে কিচির মিচির করছে হয়তোবা একটি ওদের মা আর একটি ওদের বাবা। মা ওদেরকে খাওয়াচ্ছে আর বাবা পাহারা দিচ্ছে।

20221016_000356.jpg

এখনকার ছবিটিকে দেখা যাচ্ছে যে পাখিগুলোর হালকা কিছু পাকনা গজিয়েছে।

এর মাঝখানে একদিন আমি আমার ছেলের জন্য একটি খেলনা পাখির খাঁচা সহ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। আমার ছেলেটা বায়না ধরেছে ওই খাঁচাটা সে বারান্দায় গ্রিলের সাথে ওই পাখিদের পাশে ঝুলিয়ে রাখবে, তো আমি দিনের বেলা খাঁচাটা নিয়ে বারান্দায় গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছি সেটা দেখে ওর মা এত চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছে কি আর বলব। ওর মা ওটা দেখে মনে ভয় পেয়েছে মনে করেছে যে আমি ওর বাচ্চাদেরকে মনে হয় বন্দী করে রাখব। এই জন্য ওর মা চিৎকার শুরু করেছে। তখন আমি তাড়াতাড়ি করে খাঁচাটা নিয়ে ঘরের ভেতরে চলে আসি, আর ওরা যতদিন ছিল ততদিন আর আমি খাঁচাটাকে বাইরে বের করিনি। তারপর এভাবে দেখতে পাখির ছানাগুলো বড় হয়ে উঠল এবং প্রতিদিন আমি যখন ওদেরকে দেখতে যাই ওরা আমাকে দেখে এমনভাবে হা করে যেন আমি ওদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছি।

20221016_000303.jpg

arabesko.ru_13-1.png
20221016_000219.jpg

এখন পাখিগুলো আমাকে দেখে খাওয়ার জন্য বড় বড় হা করছে ছোট থেকে ওরা বড় হয়ে উঠেছে।

তখন আমার নিজের কাছে খারাপ লাগে কারণ আমি ওদেরকে খাবার দিতে পারি না। আর আমি শুনেছি যে ওদেরকে ছোটবেলার স্পর্শ করলে ওদের মা নাকি আর ওদের কাছে আসে না। এজন্য আমি ভয়ে ওদেরকে কখনো ধরার চেষ্টা করিনা দূর থেকেই ওদেরকে দেখি। যখন চারটি বাচ্চা একসাথে বড় হতে তাকে তখন ছোট্ট বাসাটি কেমন যেন একটু নড়বড়ে হয়ে যায়, আমি মনে মনে চিন্তা করি এতোটুকু বাসার ভিতরে এতগুলো বাচ্চা কিভাবে থাকবে। দেখি বাসাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা ও নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। আবার পরের দিন গিয়ে দেখি বাসাটা কেমন পাকাপোক্ত টাইট হয়ে গিয়েছে। ওদের মা বাবা হয়তো বাসাটা নড়বড়ে হওয়াতে আবার নতুন করে শক্ত করে বেঁধে দিয়েছে।

20221016_000003.jpg

arabesko.ru_13-1.png
20221016_000142.jpg

প্রথম ছবিটিতে ওদের বাসাটা কেমন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে, দ্বিতীয় ছবিটিতে বাসাটা আবার শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওদের বাবা-মাই এটি করেছে।

আসলে জিনিসগুলো ভালোই লেগেছিল আমার কাছে কয়েকদিন ওরা আমার অতিথি হিসেবেই ছিল। আমার যে কি ভালো লেগেছিল। প্রতিদিন একটু একটু করে বড় হতে থাকছে ওরা। একদিন আমি গিয়ে দেখি দুইটা পাখি খাঁচার ভিতর নেই হয়তো ওরা শিখে উড়ে চলে গেছে। অনেক খারাপ লেগেছিল মনে হয়েছিল ওরা আমার পরিবারের সদস্যই হয়ে উঠেছিল চলে গিয়েছে দেখে ভালো লাগেনি। তারপরে আরো দুটো ছিল তার ভিতরে একটির কি হয়েছিল বলতে পারব না। তবে আরও একটি শেষে যেটা ছিল সেটির জন্য একটা করুন পরিণতি ছিল যেটা আমি কখনোই আশা করিনি। আমি একদিন বারান্দায় গিয়ে দেখি বাচ্চাটির মা খুব চেঁচামেচি করছে তখন আমি গিয়ে দেখি একটা পাখির ছানা বাসার বাইরে এসে ঝুলে আছে।

20221015_235945.jpg

arabesko.ru_13-1.png
20221015_235924.jpg

উপরের ছবিটিতে শেষের বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে ভিতরে পড়েছিল। তার কিছু সময় পরে বাইরে এভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বাচ্চাটা মনে হয় অসুস্থ ছিল।

কিন্তু আমি ছানাটিকে ধরিনি ভয়ে যে ওর মা হয়তো আর বাচ্চাটাকে ধরবে না। কিন্তু আমি তখন ধরলেই মনে হয় ভালো হতো কারণ তার কিছু সময় পরে যেয়ে দেখি বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। আমার এতটাই খারাপ লেগেছে যে আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। এতদিন ধরে বাচ্চাদেরকে দেখে দেখে বড় করলাম শেষ পর্যন্ত সবাই আর বড় হতে পারল না উড়ে যেতে পারল না।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 2 years ago 

প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমার একটা ডিউটি আগে ওদেরকে দেখা

ওরা যেন আপনার পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। ঐ পাখির বাচ্চার পরিণতি শুনে খারাপ লাগছে। প্রতিবারে এদের অনেকগুলো বাচ্চা হলেও শেষ পযর্ন্ত দুই একটাই থাকে।

 2 years ago 

একদম তাই ওরা যেন একেবারে আমার পরিবারের অংশই হয়ে গিয়েছিল। এখন চলে গিয়েছে খুব খালি খালি লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু পাখি গুলো সত্যিই আপনার বাসায় অতিথি হয়ে এসেছিল। তাই এত কাছ থেকে পাখিটার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দেখতে পেলেন। সত্যি শেষে পাখিটার মারা যাওয়ার কাহিনীটা একেবারেই করুন ছিল, যার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না।খুবই খারাপ লাগলো। তারপরেও বেশ ভালো লেগেছে আপনার অতিথিদের কাহিনীটা। একে একে সবগুলো ছানা বড় হয়ে উড়ে চলে গেল, সত্যি বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলে আপু পাখি গুলোর প্রতি এমন মায়া জন্মে গিয়েছিল যে উড়ে যাওয়ার পরও আর ভালো লাগেনি। তারপরে আবার তো একটা মারাও গেল এটা আমার জন্য আরো অনেক বেশি কষ্টের ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

প্রথমদিকে পড়তে বেশ ভালোই লাগছিল কিন্তু শেষের দিকে এসে যে এই বিষয়টা পড়তে হবে যে বাচ্চাটা সবশেষে মারা গিয়েছে সেটা কখনো কল্পনা করিনি একদম মন খারাপ হয়ে গেল আপু। 😔😔

 2 years ago 

প্রথমদিকে আমার কাছেও সব কিছু ভালো লেগেছিল। পাখির বেড়ে ওঠা পাখিকে খাওয়া দাওয়া করানো সবকিছু যেন খুব এনজয় করছিলাম। কিন্তু শেষে এসে করুন পরিণতিটা আমারও অনেক কষ্ট দিয়েছে ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

পাখিগুলো আপনার পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছিল।আপনার বর্ণনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনি তাদের কতটা ভালবেসে ফেলেছিলেন।শেষের অংশ পড়ে অনেক কষ্ট পেলাম।বাচ্চা টি অসুস্থ ছিল জন্যই মা পাখি বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় নি।ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জীবনে কোনদিন এরকম অনুভূতি হয় নাইতো, তাই পাখিগুলোকে এত কাছ থেকে পেয়ে একেবারে অনেক ভালবেসে ফেলেছিলাম সত্যি। বাচ্চাটা যখন অসুস্থ ছিল তখন যদি আমি কিছু একটা করার চেষ্টা করতাম তাহলে হয়তো বাঁচাতে পারতাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আপনার কিছুই করার ছিল না আপু। মন খারাপ করেন না।

 2 years ago 

পাখিরা ও আমাদের মত বুঝতে পারে সব কিছু। ওরাও হয়তো মানুষের গন্ধ পায় তা না হলে মানুষ আশেপাশে থাকলে ওরা কিচিমিচি শুরু করে। আপনার খাঁচাটি দেখে নিশ্চয়ই ওরা ভেবেছিল যে ওদেরকে বন্দী করবেন এই জন্য এত চিল্লাচিল্লি করছিল । শেষ পর্যন্ত একটি পাখির বাচ্চা মরে গেল দেখে খুব খারাপ লাগলো। সবগুলো উড়ে গেলেই হয়তো ভালো লাগতো। সবকিছুর শেষ সুন্দর হয় না তা প্রমাণ হলো আবারও।

 2 years ago 

আমারও তাই মনে হয়েছে খাঁচাটা দেখে মনে করেছে ওদের কেউ আমি বন্দি করে রাখবো, তাই সে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছিল। ঠিকই সবগুলো উড়ে গেলে হয়তো ভালো হতো একটার মারা যাওয়া আসলেই অনেক কষ্টকর ছিল।

 2 years ago 

ইশ আপু আসলেই খারাপ লাগলো একটা বাচ্চা মারা গিয়েছে শুনে। সত্যি বলতে কি আমাদের বাসাতেও প্রতিবছর চড়ুই পাখি বাসা তৈরি করে তারপর বাচ্চা বড় হলে আবার চলে যায়। আপনার বাসার মত এমন খোলা বারান্দায় পাখিদের কখনো এভাবে বাসা তৈরি করতে দেখিনি। যাইহোক আপনারা যে বাসা নষ্ট করেননি এটাই অনেক বড় ব্যাপার। শুভকামনা অাপনাদের জন্য।

 2 years ago 

আমিও কখনো এরকম বারান্দার ভেতরে পাখির বাসা তৈরি করতে দেখিনি। আমার কাছে তো খুবই ভালো লেগেছিল। আর বাসাটা নষ্ট করবো কেন বাসাটা এখনো আছে আমি রেখে দিয়েছি আবার কখনো যদি আসে সেই আশায়।

 2 years ago 

যদিও প্রথম পর্বটি দেখা হয়নি তবে দ্বিতীয় পর্বটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। নিজের বাসার ছাদে অথবা বাড়ির কোণে যদি পাখি এরকম বাসা বাধে আর সেই দৃশ্যটা যদি প্রতিদিন খুব কাছ থেকে দেখা যায় তাহলে নিজের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। এই ভালোলাগাটা আমিও কয়েকবার নিয়েছি আমার বাসার পাশেই ছোট্ট একটি গাছে পাখি এরকম বাসা বেধে ছিল আমি প্রতিদিন তাদের দেখভাল করতাম। সকাল বিকেল তাদেরকে দেখে আসতাম আস্তে আস্তে তারা বড় হয়ে একটা সময় উড়ে গিয়েছিল। আপনি খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন বোঝাই যাচ্ছে। এরকম সুন্দর মুহূর্ত দেখতে ফিরে নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তবে আপনার মত আমারও কষ্ট লাগতো যখন আমি তাদেরকে দেখতে যেতাম তখন যদি তার মা থাকতো সে উড়ে চলে যেত। সেজন্য আমি সবসময় চেষ্টা করতাম যখন তার মা থাকে না তখন যাওয়ার জন্য।

 2 years ago 

আমার বাসার বারান্দায় ছোট্ট একটি বাগান আছে সেই বাগানের একটি গাছে পাখি বাসা তৈরি করেছিল। ঠিকই বলেছেন এত কাছ থেকে পাখির বেড়ে ওঠা দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আর কিভাবে বুঝব যে মা আছে কিনা, এজন্য যখনই যেতাম তখনই ওর মাকে দেখতে পেতাম।

 2 years ago 

ঘুম থেকে উঠে পাখির ছানা গুলো দেখার অসাধারণ একটি ডিউটি পালন করেছেন আপনি। তবে পোস্টটি পড়ে শেষ পর্যন্ত আমারও মন খারাপ হয়ে গেল পাখির বাচ্চাটি মারা যাওয়ার কথাটি জানতে পেরে।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি এখন একেবারে খালি খালি লাগে পাখিগুলো উড়ে চলে যাওয়ার পর। আসলেই আমারও মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল একটা পাখি মারা যাওয়াতে।

 2 years ago 

প্রথম দিক থেকে যখন আপনার পাখিগুলোর কথা পড়ছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। আপনি দেখালেন পাখির ছানাগুলোর বাবাকে। আসলে এটা ঠিক বলেছেন আস্তে আস্তে যখন পাখিগুলো হাত পা সবকিছুই বড় হতে যাচ্ছে দেখতে বেশি ভালই লাগে। আর ওর মা ওদের জন্য একটু একটু করে খাবার নিয়ে আসে। আসলে পাখিরা মানুষের গন্ধ পেলে উড়ে যায়। কিন্তু শেষে যখন পাখিটা অসুস্থ হয়ে পড়ল আমি মনে করি আপনার পাখিটিকে ধরা উচিত ছিল। পরবর্তীতে পাখিটি মারা যাওয়াতে বেশ খারাপ লাগলো।

 2 years ago 

পাখিগুলো আমি দেখে দেখে ছোট থেকে বড় করেছি, শেষ পর্যন্ত একজনের এরকম পরিণতি হবে সেটা আমিও আশা করিনি। আমারও খুব খারাপ লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

শেষটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। খারাপ লাগলো জেনে। সত্যি পাখি গুলো আপনার পরিবারেরই একটা অংশ হয়ে গিয়েছিলো। যাক পাখিটির ভাগ্যে হয়তো মৃত্যু লেখা ছিলো। শুরু থেকে পড়ে ভালোই লাগলো। বাচ্চা পাখি গুলো কিছুর আওয়াজ পেলেই ভাবে ওদের মা এসেছে খাবার নিয়ে। তখন হা করে থাকে। এই দৃশ্য গুলো খুব কাছ থেকে দেখেছেন।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন পাখিটির ভাগ্যে হয়তো মৃত্যুই লেখা ছিল। আমি যদি বাঁচানোর চেষ্টা করতাম তাই তাও পারতাম না। অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64333.84
ETH 2760.35
USDT 1.00
SBD 2.65