আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি । পিজ্জা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আর ছেলেতো বায়না ধরে কিন্তু খেতে পারে না খুব একটা । খুব একটা যাও হয়ে উঠে না সেদিন বাইরে বের হয়েছিলাম টুকিটাকি অনেককিছু কেনাকাটার ছিল । তাই আমরা দুজন যখন রেডি হয়ে বের হচ্ছিলাম তখন ছেলেও বায়না ধরল ও যাবে । আমি নরমালি বাইরে একা কোন জিনিস কিনতে যাই না ছোট একটা কিছু কেনার দরকার হলেও আমি ওর বাবার সাথেই যাই । ছেলেকে বেশিরভাগ সময় রেখে যাই পাশের বাসায় । কিন্তু সেদিন ওকে সাথে নিয়ে গেলাম ।

আমাদের বাসার নিচেই যেহেতু শপিংমল এজন্য ছোটখাটো কোন কিছু কেনার দরকার হলে এখান থেকে কিনে নেওয়া যায় । আমরা সরাসরি চলে গেলাম শপিংমলে সেখানে গিয়ে কিছু কসমেটিক্স আইটেম কিনলাম এবং আরো প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা ছিল সেগুলো কিনে নিলাম । কিন্তু ছেলে বায়না ধরল ওর জন্য কিছু খেলনা কিনে নিতে । সে বাসা থেকে বলে গিয়েছিল ছোট ছোট জিনিস কিনবে কিন্তু সে ওখানে গিয়ে বড় বড় জিনিস কেনার জন্য বায়না ধরলো যার কারণে রাগ হয়ে আর কেনাই হলো না । ছোট্ট একটা গাড়ি কিনে নিয়ে বাইরে বের হয়ে আসলাম । কিন্তু সেটা নিয়ে তার কিছুতেই হলো না । সে আরো বায়না ধরেই চলেছে ধরেই চলেছে ।

তারপর সামনে হাঁটতে হাঁটতে আরো কিছু দূর গেলাম এবং সেখান থেকে কিনে নিলাম আরো প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস ।আমাদের এদিকে আবার রাস্তার ধারে অনেক কিছুই পাওয়া যায় । আর ছেলে শুধু বলেই যাচ্ছে তুমি তোমার সবগুলো শখ পূরণ করে যাচ্ছ কিন্তু আমার কোন কিছুই তুমি কিনে দিচ্ছ না । এখন চলো রেস্টুরেন্টে যাব খাওয়ার জন্য । কিন্তু সেই মুহূর্তে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সময় ও খুব একটা ছিল না কিন্তু ছেলে কিছুতেই ছাড়ছে না । কারণ সন্ধ্যার পরে ওর বাবা টেবিল টেনিস খেলতে যায় যার কারণে সন্ধ্যার পর পর বাইরে বেশি সময় থাকা যায় না । ছেলের জড়াজড়িতে না গিয়েও পারছিলাম না । সামনেই দেখলাম যে পিজা খাওয়ার সুযোগ । এর পর সরাসরি চলে গেলাম ডোমিনোজে পিজ্জা খাওয়ার জন্য । তারপর সেখানে গিয়ে আমরা ছোট ছোট দুইটা পিজ্জা অর্ডার করলাম এবং ওরা আমাদের সামনে পিজ্জা রেডি করে দিচ্ছে সেটা দেখতে লাগলাম ও অপেক্ষা করতে লাগলাম ।

রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে বেশ খানিকটাই ফাঁকা ছিল লোকজন তেমন একটা ছিল না যার কারণে আমরা ইচ্ছা মত এদিক সেদিক বসতে পারলাম । ছেলে খুব ঘুরাঘুরি করতে লাগলো ।এরপর আমরা বেশ খানিকটা অপেক্ষা করার পর আমাদের পিজ্জা চলে আসলো এবং পিজ্জা দুটো মোটামুটি ছোট ছিল ।দেখে মনে হচ্ছিল যে আরেকটু হলে ভালো হয় । এটার জন্য সাথে কিছু রাইস চিকেন অর্ডার করলাম সাথে কল্ড্রিংস তো ছিলই । কিন্তু পিজ্জা খাওয়ার পরে পেটে আর জায়গা রইলো না । এদিকে ওর বাবার ফোনে বারবার ফোন আসছিল খেলার জন্য । যার কারণে বাকি খাবারগুলো পার্সেল করে নিলাম তারপর হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে এলাম । অনেকদিন পরে সময়টা ভালই কাটলো । পরিবারের সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেলে আসলে ভালই লাগে । রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো আমার কাছে খেতে সব সময় ভালো লাগে ।