অনেকদিন পর বেইলিরোডে ফুটপাতে খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে চিকেন চাপ খেতে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণ ও সেটা না খেয়ে মজার একটি খাবার খেয়ে তারপর ফিরে আসা । বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম ছোটখাটো কিছু কেনাকাটা ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বের হওয়াই হচ্ছে না ।অতিরিক্ত বৃষ্টি নামে আর বৃষ্টি নামলে ফুটপাতের দোকানগুলো বসেনা । স্কুলে পূজার ছুটিতে যার যার বেড়াতে যাচ্ছে আর আমরাও ঠিক করে রেখেছিলাম পূজার ছুটি দিলে ১০-১২ দিনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঘুরে আসবো । যেই ভাবা সেই কাজ স্কুল বন্ধ দেওয়ার আগে আমরা যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে থাকলাম । যাওয়ার আগে ছোটখাটো কেনাকাটা থাকে আর সেই কেনাকাটার জন্যই আজকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম
। এদিকে সন্ধ্যার পরে টেবিল টেনিস খেলতে যেতে হয় যার কারণে মাগরিবের নামাজ পড়ার পরে তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বের হতে হয় তা না হলে রাতের বেলা খেলার সময় আর হয়ে ওঠে না । ইদানিং আমি খেলাতেও খুব একটা মনোযোগ দিতে পারছি না সময় করে উঠতে পারছি না কোন কিছুতেই । তারপরও আজকে সময় করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম এবং প্রথমে বাসা থেকে নেমে কিছু কাজ ছিল সেগুলো সেরে নিলাম । তারপর চলে গেলাম বেইলিরোডে এবং সেখানে গিয়ে দেখলাম আজকে প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলো বসেছে ঝটপট সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কিনে নিলাম ।
সেখান থেকে চলে গেলাম চিকেন চাপ খাওয়ার জন্য । আগে থেকেই মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম আজকে বেইলিরোডে গেলে চিকেন চাপ ও লুচি খাব । সেখানে গিয়ে বসতে দেখলাম যে ওরা রেশমি কাবাব ও আরও বিভিন্ন ধরনের কাবাব বিক্রি করছে । পাশে ফুচকার দোকান ছিল বেই লিরোডে এইখানে আসলে খাবারের জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না । এখানে রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে এবং অনেক দোকানপাট রয়েছে । যেদিন রেস্টুরেন্টে যাবো সেদিন রেস্টুরেন্টের খাবার খাই । কিন্তু আজ আমার মন চাইছিল রাস্তার পাশে বসে মজার মজার খাবার খাব ।
একটা দোকানের সামনে গিয়ে বসে পড়লাম সেখানে গিয়ে খাবারের মেনু দেখতে লাগলাম । কাবাবের দিকে তাকিয়ে গরম গরম লুচি দিয়ে খেতে মন চাইলো এবং দু প্লেট অর্ডার দিয়ে বসলাম । ছেলে আবার ফুচকা খেতে চাইলে ওর জন্য ফুচকা অর্ডার দিলাম সাথে আমিও কিছু ফুচকা খেয়ে নিলাম । ফুচকা অর্ডার দিব আর ফুচকা খাব না সেটা কি হয় নাকি যতই লুচি চাপ খাই । তারপরে ওর ফুচকা খেতে খেতে আমাদের চিকেন ও কাবাব চলে এলো । সেটা এতটাই মজাদার ছিল যে কি আর বলব । খুব মজা করে অনেকদিন পরে লুচি আর কাবাব খেলাম । সাথে ওরা বিভিন্ন ধরনের সোস দেয় সেটা খেতে অনেক মজাদার ছিল । আমরা যে জায়গাটাতে বসেছিলাম সেখানে আলো একটু কম থাকার কারণে ছবিগুলো ততটা পরিষ্কার লাগছে না তারপরও কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু বেইলী রোড তো আমার বাসার কাছেই। এমন সুন্দর একটি মূহূর্ত কাটালেন আমাকে তো একটু ডেকে নিতে পারতেন। যাই হোক আজ আপনার পোস্ট দেখে সেই কলেজ জীবনের কথা মনে হয়ে গেল। ধন্যবাদ এমন সুন্দর করে অতীত কে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
মাঝেমধ্যে এভাবে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা তো দেখছি লুচি কাবাব এগুলো অনেক মজা করে খেয়েছেন। আর ফুচকাও খেয়েছেন ছেলের সাথে, এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খাবারের মান অনেক বেশি ভালো ছিল। আমার তো ফটোগ্রাফিতে দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ দিলে বেড়াতে যেতে অনেক ভালো লাগে। আশা করছি আপনারা যেতে পারবেন ফরিদপুরে।
আসলে সবাই বলে যে ইন্ডিয়ার ফুচকা নাকি অনেক ভালো। কিন্তু আমি যখন বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন বাংলাদেশের ফুচকা খেয়ে আমি সত্যি বাংলাদেশের ফ্যান হয়ে গেছি। কেননা ওরা খুব সুন্দর করে ফুচকা সাজিয়ে একটা প্লেটে করে দেয়। যাইহোক আপনারা বারবার এই ফুচকার ছবি দিয়ে আমাকে লোভ দেখান। আসলে এত সুন্দর সুন্দর রাস্তার পাশে খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।