আলু ও টমেটো দিয়ে কাঁচকি মাছের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আলু ও টমেটো দিয়ে কাঁচকি মাছের মজাদার রেসিপি । কাঁচকি মাছ আমার কাছে খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না এবং খুব একটা খাওয়াও হয়না লাস্ট কবে খেয়েছি তাও মনে নেই । ইদানিং ছেলের চোখের সমস্যা হয়েছে চশমা ব্যবহার করছে আমারও মনে হচ্ছে চোখের সমস্যা হয়ে গিয়েছে ডাক্তারের কাছে গেলে চশমা দিবে সেই ভয়ে ডাক্তারের কাছেও যাচ্ছি না । চোখের উপকারিতার জন্য এই কাঁচকি মাছ খাওয়া । এ ধরনের মাছগুলো চোখের জন্য নাকি খুবই উপকারী । সেদিন হাজবেন্ড দেখি বাজার থেকে এতগুলো মাছ নিয়ে এসেছে বাধ্য হয়ে এগুলোকে খেতেই হবে । আনার পরে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি আর মনেই নেই সে মাছের কথা । সেদিন হঠাৎ করে ফ্রিজ খুলে দেখি মাছগুলো অমনি পরে রয়েছে । ঝটপট ফ্রিজ থেকে বের করে তখনই মাছগুলোকে রেডি করলাম খাওয়ার জন্য । একসাথে অনেকগুলো রান্না করে ফেলেছি যাতে শেষ হয়ে যায় । খেতে কিন্তু ভালোই লেগেছিল ।এই মজাদার রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করে দিচ্ছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পেঁয়াজ ― ৩টি
টমেটো ― ৩ টি
মরিচ ― ৫ টি
তেল ―পরিমাণমতো
লবন ―পরিমাণমতো
আদা বাটা ― ১/২চা চামচ
রসুন বাটা ― ১/২চা চামচ
হলুদের গুঁড়া ― ১চা চামচ
মরিচের গুঁড়া ―১চা চামচ
জিরার গুঁড়া ―১ চা চামচ
ধনিয়া পাতা ― পরিমাণমতো
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আলুগুলোকে ছিলে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি যাতে আরো আলুগুলো চিকন চিকন হয় । তারপর টমেটো গুলোকে কেটে রেখেছিলাম ফ্রিজে সেগুলো বের করে নিয়েছি । এরপর মাছগুলোকে সুন্দরভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি ।তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে দিয়েছি ।
মরিচ বাদামি করে ভেজে নিয়ে তার ভেতরে আদা বাটা , রসুন বাটা, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া ও লবণ দিয়ে দিয়েছি । সব কিছু দিয়ে মসলাটাকে সুন্দরভাবে কষিয়ে নিয়েছি । মসলা কষানো হয়ে গেলে তার ভেতরে টমেটোগুলো দিয়ে দিয়েছি ।টমেটোগুলো মসলার সাথে কিছু সময় নেড়েচেড়ে তারপর পানি দিয়ে দিয়েছি মসলা গুলো ও টমেটো সুন্দর ভাবে কষানোর জন্য ।
মসলা কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি । আলুগুলো দিয়ে ভালোমতো মসলার সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে তার ভেতরে একটু পানি দিয়ে দিয়েছি যাতে আলুগুলো সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয় । তারপর কিছু সময় ঢাকনা দিয়ে রান্না করে নিয়েছি । এরপর ঢাকনা খুলে আলুগুলো যখন সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর মাছগুলো দিয়ে হালকা হাতে নেড়েচেড়ে নিয়েছি ।তারপর আরো একটু পানি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি । তারপর ঢাকনা খোলার পরে যখন দেখব একটু পানি শুকিয়ে এসেছে তখন সেই মুহূর্তে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি ।তারপর জিরার গুড়া দিয়ে দিয়েছি এরপর নেড়েচেড়ে সবকিছু মিশিয়ে নিয়েছি ।
তারপর আবার কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার জ্বাল কমিয়ে রেখেছি । এরপর আস্তে আস্তে জ্বাল হতে থাকলে পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে । তারপর ঢাকনা খুলে করাইটা এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আরো কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি । তারপর পুরোপুরি যখন পানিটা শুকিয়ে এসেছে নিচ দিয়ে পোড়া পোড়া লেগেছে ঠিক তখন চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি । এরপর একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি । গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সত্যি অনেক টেস্ট লেগেছিল । এভাবে করে কাঁচকি মাছ খেতে কিন্তু ভালই লাগে । টমেটো দেওয়ার কারণে আরো বেশি টেস্ট হয়েছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
মাছ একই রকম দেখতে হলেও বিভিন্ন স্থান ভেদে মাছের নাম ভিন্নতা হয়ে থাকে । আপনি আজকে যে মাছের নাম বললেন আমাদের এই এলাকায় মাছকে বলা হয় তেকুচো। যাহোক কাচকি মাছ পেয়াজ টমেটো দিয়ে একত্রে রান্না করেছেন রান্না দেখে বোঝাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। রান্নার ধাপ গুলো খুবই চমৎকারভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম নাম থাকতে পারে আমাদের এদিকে এটাকে কাঁচকি মাছ বলি । এটা এভাবে রান্না করলে খেতে ভালই লাগে ।
হ্যাঁ কাচকি মাছ চোখের জন্য বেশ উপকারী। তবে এই কাচকি মাছ যদি আলু টমেটো দিয়ে রান্না করা যায় সেক্ষেত্রে বেশি লোভনীয় হয়। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে কিন্তু সেটা বোঝা যাচ্ছে। লোভনীয় রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক কিছুই তো আছে উপকারী তবে তেমন একটা খাওয়া হয় না তারপরও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে আলু ও টমেটো দিয়ে কাঁচকি মাছের রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি সব সময় সুন্দর সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দিয়ে থাকেন। আজকে আপনি কাচকি মাছের অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।
আমার রেসিপি গুলো সব সময় আপনার কাছে ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু কাচকি মাছ কেমন তা জানি না ৷ তবে আমাদের এই দিকে অন্য নাম বলে ৷ যা হোক যেহেতু চোখের সমস্যা তাহলে চিকিৎসা নিন অবহেলা ভাবলে বিপদ ৷
আপনি অনেক সুন্দর করে আলু টমেটো ও কাচকি মাছের রেসেপি টি বেশ চমৎকার ছিল ৷ দেখে মনে হচ্ছে স্বাদ অনেক সুন্দর ছিল ৷
একেক জায়গায় একেক মাছের নাম ভিন্ন থাকতে পারে । তবে মাছ মনে হয় একই । এভাবে রান্না করলে খেতে ভালোই লাগে ।
চোখের সমস্যা হয়েছে জেনেও ঘরে বসে থাকা ঠিক না। শুরুতে গেলে হয়তো সমস্যা ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যখন বেশি সমস্যা নিয়ে যাবেন তখন ডাক্তারও কিছু করতে পারবে না। যাইহোক কাঁচকি মাছ এভাবে টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা যে মজাদার হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
যাবো দেখি সামনে । খাবার টা আসলে অনেক ভাল ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আমিও শুনেছি চোখের জন্য নাকি কাঁচকি মাছ অনেক বেশি ভালো। আমার কাছে কাঁচকি মাছগুলো এরকম ভাবে রান্না করে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ভাইয়া আনার পর আপনি ফ্রিজে মাছগুলো রেখে দেওয়ার পর যখন হঠাৎ করে দেখেছিলাম, তখন সাথে সাথেই রান্না করে নিয়েছিলাম দেখে ভালো লাগলো। বুঝতে পারতেছি রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল, আর খেতে খুবই ভালো লেগেছে। এত মজাদার ভাবে এটা তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটা ভালোই সুস্বাদু হয়েছিল অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
আমি মনে করি চোখের সমস্যার জন্য ছোট মাছ অনেক বেশি উপকারী যদি আপনি আপনার সন্তানকে ছোট মাছ বেশি বেশি করে খাওয়ান তাহলে হয়তো বা চোখের সমস্যার সমাধান হবে। আর খুব বেশি সমস্যা হলেও অবশ্যই আগে থেকেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আপনার কাছে কাচকি মাছ ভালো না লাগলেও আমার কাছে কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে বিশেষ করে আলু এবং বেগুন দিয়ে যদি চচ্চড়ি রান্না করা হয়। আপনার এই রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এইজন্যই এই ছোট মাছগুলো আনা তা না হলে তো ছোট মাছ খাওয়াই হয় না ।
আপু কি বলেন আপনার কাঁচকি মাছ ভালো লাগে না কিন্তু আমি এই মাছ খুব পছন্দ করি। আপনার মতো আমার হাসবেন্ডও পছন্দ করে না। তবে জোর করেই মাঝে মাঝে আনা হয়। এই মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।আলু দিয়ে ভাজি করলে আরও বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে। আপনার উপস্থাপনা খুব লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কোন ছোট মাছি ই খেতে ভালো লাগে না মাঝে মাঝে বাধ্য হয়ে খাই খাওয়া লাগে তাই ।
আসলে চোখের জন্য কাঁচকি মাছ অনেক উপকার করে।তার মধ্যে চোখের কম দেখার জন্য খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। আজকে আপনি টমেটো আলু দিয়ে এই মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটা আসলে অনেক সুস্বাদু ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।