অনেকদিন পরে আবার আমি আমার ছাদ থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের ছাদটা হলো বাইশ তলার উপরে, তাই নরমালি ছাদে খুব একটা যাওয়া হয়না। বাসায় যদি কোন গেস্ট আসে তখন যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে আমার বাসায় আমার ছোট ভাই এসেছে তাই আবার ছাদে যাওয়ার একটা সুযোগ হয়ে গেল ।কিন্তু ছাদে যাব যাব করছি সারাদিনই বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নামছে তাই ছাদে যাব কিভাবে তাই ভাবছি। আমাদের ছাদে ইচ্ছে করলেই যাওয়া যায় না ছাদটা সবসময় তালা দেওয়া থাকে কারণ অনেক উপরে তাই তালাটা দেওয়াই থাকে যাতে কেউ হুটহাট চলে যেতে না পারে। যেতে হলে সিকিউরিটিদের কাছ থেকে চাবিটা চেয়ে নিতে হয় আগে থেকে তখন ওরা গিয়ে গেট খুলে দিয়ে আসে তখনই যেতে হয়। |
সন্ধ্যার একটু আগ দিয়ে যখন বৃষ্টি হালকা কমেছে তখন আমরা ছাদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা সবাই রেডি হয়ে তারপর ছাদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। সিকিউরিটি গার্ড আমাদের সাথে এসে ছাদের তালাটা খুলে দিয়ে গেল। আমরা যখন ২২ তলার ছাদে উঠি তখন হঠাৎ করে এখানে এমন অবস্থা হয়েছে যে মনে হচ্ছে কানের ভিতরে কেমন বো বো আওয়াজ হচ্ছে কিছুই শুনতে পাচ্ছি না বেশ খানিকটা সময় পরে কানটা স্বাভাবিক হলো। আর ছাদে উঠার পরে হালকা বৃষ্টি ছিল কিন্তু আবহাওয়াটা এত ভালো ছিল যে বলার বাইরে। এখন যে গরম ছাদে ওঠার পরে খুব বাতাস চারিদিকে খুবই ভালো লাগছিল। আমরা ছাদের চারিদিক দিয়ে ঘোরাফেরা করার আগেই সন্ধ্যার আজান দিয়ে দিয়েছে ।তারপরও আমরা এদিক ওদিক ঘুরেফিরি দেখতে থাকি। |
আমাদের ছাদের আরেকটি জায়গা সেটা হল বাইশ তলার উপরে ছোট্ট আরেকটি ছাদ আছে ।সেটা ছোট্ট সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে হয় ওঠাটা একটু রিস্কি কিন্তু তারপরও আমরা ছাদে গেলে এই জায়গাটাতে উঠি। কারণ এখানে না উঠলে পুরো ঢাকা শহরটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায় না। কারণ আমাদের ছাদের চারপাশে বাউন্ডারিটা অনেক বেশি উঁচু করে দেওয়া মানুষের উপর দিয়ে যায়, তাই ছাদের বাউন্ডারির ভেতর থেকে কিছুই দেখার উপায় নেই। তাই আমরা ছোট্ট সিঁড়িটা বেয়ে উপরেই উঠে গেলাম। উপরে ওঠার পরে এত ভালো লাগছিল তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না ।এত বাতাস মনে হচ্ছে আমাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তারপর আবার হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে অপরূপ একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এখন আমি ছাদ থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
প্রথম যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন এটা ঠিক আমার বাসার সামনের সাইডের দৃশ্য। সামনের দিকে যারা থাকে তাদের বারান্দা থেকে এই দৃশ্য তারা সবসময় দেখতে পারে। আমাদের ফ্লোরে মোট সাতটা ফ্ল্যাট এক একটা ফ্ল্যাট এক এক সাইডে তাই সবাই তো আর ইচ্ছা করলে সামনের দিকে থাকতে পারে না ,আমরা যে সাইডটাতে থাকি শেষ সাইডটাও অনেক সুন্দর। তবে সামনের এই সাইডটা আমরা তেমন একটা দেখতে পারিনা তাই ছাদ থেকে এই সুন্দর দৃশ্যের একটি ছবি তুলে নিলাম। |
উপরের প্রত্যেকটা ছবি আমি ছাদের উপরে ছোট্ট একটি ছাদ আছে সেখান থেকে তুলেছি দেখতে দেখুন কত অপূর্ব লাগছে আমাদের রাতের ঢাকা শহর। |
উপরের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে চাঁদের আলো একটি নিচের দিকে একটি সেডের মতো হয়ে নেমেছে কিন্তু আসলে এখানে নিচে আলো জ্বলছে সেই আলো আর চাঁদের আলো দুটি আলো এক হয়ে গিয়েছে তাই ছবিটি এমন দেখতে লাগছে। |
এই ছবিটিও ছাদ থেকে তোলা হয়েছে এখানে আমার ছেলে আর ওর বাবা দাঁড়িয়ে আছে দূর থেকে মনে হচ্ছে ছবিটি তুলে রাখি দেখতে ভালই লাগছিল। |
এখন যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো আমাদের ছাদের বিশাল এক পানির ট্যাংকি। এই ট্যাংকিতে নিচ থেকে আমাদের নিজস্ব মটর থেকে পানি উঠে সেই পানিটা আবার পিউরিফাই হয়ে নিচে আমাদের যার যার পানির লাইন এ চলে আসছে। এটা আমি আগে কখনো ছাদে এসে দেখিনি পানি এভাবে পিউরিফাই হতে আজি প্রথম দেখলাম। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
আসলে আপু আপনার ছাদ ২২ তলার উপরে আর এই ২২ তালার উপরে সব সময় যাওয়া হয়না। বাসায় কোন মেহমান আসলে আপনারা ছাদে উঠে। আজকে আপনার ভাই এসেছে সেই সুযোগে ছাদে এসেছেন এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। আর ছাদ থেকে সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ আমি। সত্যি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এত সুন্দর লাগছে শহরটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগুলো আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
অনেক উপরের ছাদ তো তাই যখন তখন যাওয়া যায় না সবসময় বন্ধই থাকে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমিও ঢাকা থাকি কিন্তু কখনো এত সুন্দর রাতের ঢাকা দেখা হয়নি। আমার বাসার ছাদ ৬ তলায় তাই ছাদে উঠলে পাশের বাসা ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না হা হা হা। যাই হোক আপনার ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো অসাধারন হয়েছে। প্রথম ছবিটি আমি হলে তুলতে পারতাম না কারন আমার হাইট সিকনেস আছে । পানির ট্যাংক এর সাইজ দেখে মনে হচ্ছে আপনাদের বিল্ডিং এ অনেক মানুষ থাকে। ধন্যবাদ আপু।
আমার এই সুবিধাটি আছে আমি সুন্দর রাতের ঢাকা শহর দেখতে পারি ছাদ থেকে।হ্যাঁ ভাইয়া আমার বিল্ডিংয়ে ১৮০টা ফ্যামিলির বসবাস।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু ছাদে ২২ তলায় উপরে সবাই উঠে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর সাথে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
রাতের ঢাকা শহর যত উপর থেকে দেখা যায় ততটাই সুন্দর লাগে তাই আমি বেশিরভাগ সময় রাতে যাওয়ারই চেষ্টা করি ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার ছাদ থেকে তোলা ফটোগ্রাফিগুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ছাদে যে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায় সেটা জানা ছিল না। আপনার ছেলে ও তার বাবার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা শহরে শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং তাই রাতের বেলা যখন ছাদে ওঠা হয় তখন চারিদিকে তাকালে মনে হয় যে চারিদিকে জোনাকি আলো জ্বলছে দেখতে অপূর্ব লাগে ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু আপনার বাসা কোন জায়গায়?? ২২ তালার উপর থেকে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। রাতের বেলা শহরটা বেশ সুন্দর লাগছে আপু। প্রত্যেকটা বাসায় মিটিমিটি লাইভ জলছে। এমন আবহাওয়া তো আরো বেশি ভালো লাগবেই। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর লাগছে আপু। বোঝাই যাচ্ছে আপনারা সবাই মিলে খুব ইনজয় করেছেন।
আপু আমার বাসা ঢাকা। রাতের বেলা ঢাকা শহরটা অন্যরকম সৌন্দর্য লাগে দেখতে তাই আমি সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রাতেই সব সময় যাই ছাদে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও খুবই অসাধারণ আপনি ছাদ থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি বাইশ তালা ছাদ থেকে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে ছাদে আপনি তেমন জান না বলেন। কিন্তু গিয়ে অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এক একটা ফটোগ্রাফি দেখার মত ছিলো। সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু আমাদের ছাদের সবসময় ইচ্ছে করলেই যাওয়া যায় না বন্ধ থাকে তো তাই যেতে ইচ্ছা করে না। তবে এত উপরে তো এজন্য আমরা সচরাচর উঠি না ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনার ছোট ভাইয়ের সুবাদে আমরাও সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিলাম। উনি না আসলে হয়তো আপনার ছাদে ওটা হতো না আর ফটোগ্রাফি গুলোও দেখতে পেতাম না। যাইহোক আপনার সাহস আছে বলতে হবে। তা না হলে বাইশ তলার ছাদে উঠে আবার ছোট্ট সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠা, শুনেই গা ছমছম করছে। সত্যি বলতে কি আমার এখনো উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে তাকাতে ভয় লাগে। তবে আপনার বাসার সামনের অংশের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। রাতের ঢাকা অনেক সুন্দর এটা আগেই জানতাম, তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এর সাক্ষী হয়ে থাকলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফির জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দিনের ঢাকা আর রাতের ঢাকার ভিতরে রাত আর দিন ডিফারেন্স অনেক ভালো লাগে রাতের ঢাকা। এজন্য আমি ছাদে গেলে রাতের বেলায় যাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই রাতের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
অসাধারণ সব শহরের দালান কোটার ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোই জানো মনোমুগ্ধকর। মনোযোগ সহকারে ফটোগুলোকে দেখে রাখলাম। তবে ভাবতে ভালো লাগলো আমাদের দেশে উন্নতির দিকে এগিয়ে গেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমাদের দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে গেলে তো আমাদেরই ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
22 তলার ছাদের উপরে উঠে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সেগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।তবে এই বিষয়টি আমার কাছে খুব বেশি ভাল লেগেছে যে কেউ ইচ্ছা করলে ছাদে উঠতে পারবে না ছাদে উঠতে গেলে সিকিউরিটি গার্ডকে জানিয়ে তার কাছ থেকে তালা খুলে এরপর উঠতে হবে। এটা আমার কাছে বেশ লেগেছে।কারণ সাবধানতা এবং সচেতনতা দুটোই ব্যাপকভাবে আমাদের স্মরণ রাখতে হবে।ছাদের উপরের বিশাল পানিট্যাঙ্কি টা দেখে আমি তো হতবাক হয়ে গেলাম।এত বড় পানির ট্যাংকি।যাই হোক আপি প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ছেলে এবং ছেলের বাবা দু'জনকেই আবছা আবছা দেখতে পাচ্ছি।♥♥