★চিকেন পাকোড়া তৈরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আদা বাটা
রসুন বাটা
মরিচের গুঁড়া
লবন
তেল
ভিনেগার
সয়া সস
ময়দা
ডিম
কার্যপ্রণালী
প্রথমে চিকেন গুলো ছোট ছোট পিস পিস করে কেটে দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপরে চিকেনের ভিতরে আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া,সয়া সস, ভিনেগার ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
সবকিছু দিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর একটি ডিম ভেঙে দিয়েছি, তারপর আবার মাখিয়ে নিয়েছি তারপর কিছু ময়দা দিয়ে দিয়েছি।
তারপর ভালোমতো মাখিয়ে মেরিনেট হতে রেখে দিয়েছি এক ঘন্টার জন্য। এক ঘন্টা পরে ফিরে এসে দেখি আমার চিকেনগুলো কেমন মাখামাখা হয়ে গিয়েছে। তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিয়ে দিয়েছি।
তেল গরম হয়ে গেলে একটা একটা করে চিকেন গুলো তেলের ভিতর দিয়ে দিয়েছি। তারপরে হালকা জাল দিয়ে একটু একটু করে ভেজে ভেজে একেবারে ব্রাউন করে নিয়েছি। যখন পুরাপুরি ব্রাউন হয়ে যাবে তখন তেল ঝরিয়ে একটা টিস্যুতে তুলে নিয়েছি।
ব্যাস এভাবেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার চিকেন পাকোড়া। এই মুচমুচে চিকেন পাকোড়া খেতে খুবই মজা। আপনারা চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে নিশ্চয়ই।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
চিকেনের আইটেম গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।আমার বাচ্চারাও চিকেন ফ্রাই বলতে খুবই পছন্দ করে।আপনি খুব সুন্দর করে মজাদার একটি চিকেন পাকোড়া তৈরি করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু চিকেন জাতীয় যে কোন জিনিস আমার অনেক ভালো লাগে। আর বাচ্চারা তো পছন্দ করেই। ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
বাচ্চারা কেন আমার কাছেও মুরগি জাতীয় যেকোনো জিনিস অনেক ভালো লাগে খেতে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আপু এত সুন্দর ও সুস্বাদু করে বানালে খাওয়ার জন্য লোভ সামলানো মুসকিল হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
চিকেন পাকোড়া তৈরি করেছেন দারুন হয়েছে। এভাবে চিকেন ভেজে পকোড়া তৈরি করলে খেতে ভীষণ মজা লাগে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
একদম তাই এভাবে করে চিকেন ভেজে পাকোড়া তৈরি করলে খেতে অসাধারণ টেস্ট হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ইস আপু তৈরি করার আগে এই ভাইকে তো একবার একটা খবর দিতে পারতেন ☹️,,!! এমন মজার রেসিপি বানিয়ে একা একা কেউ খায় বুঝি!!! কষ্ট পেলুম ☹️
চিকেন ফ্রাই এর থেকে এই পকোড়া টাই বেশি লোভনীয় লাগছে আমার কাছে। ছোট ছোট পিস করার জন্য সব ধরণের মসলাই হয়তো ভালো ভাবে ঢুকে গেছে। আর খেতে আরো বেশি মজা লাগবে। খুব একটা কঠিন লাগলো না। বেশ সহজ। কিন্তু একা একা তো বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করে না ☹️☹️☹️।
আহারে আপনি যদি আগে থেকে বলে রাখতেন তাহলে নিশ্চয়ই খবর দিতাম। কি আর করা তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু দেখেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজেদের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য চিকেনের বিভিন্ন ধরনের আইটেম বানাতে হয়। কারণ বাচ্চারা চিকেন ছাড়া অন্য কিছু বোঝেইনা। আমার ছেলেও চিকেন খুব পছন্দ করে। আপনার এই চিকেন পপকন এর রেসিপিটি শিখে নিলাম। এরপরে আমার ছেলেকে বানিয়ে দেব। খুবই সুস্বাদু হয়েছে মনে হচ্ছে। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে।
আসলেই তাই এইসব খাবার বাচ্চাদের জন্যই বেশি বানানো হয়। আর আমাদের কাছেও ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপু চিকেন পাকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখবো।আপনার পোস্টের ধাপগুলো অনুসরণ করে ।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু আমার রেসিপিটি দেখে ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ছেলের খুব পছন্দের একটি খাবার,আমার কাছে ও খুব ভালো লাগ খেতে।চিকেন পাকোড়া খুব লোভনীয় একটি খাবার । একবার খেতে শুরু করলে খেতেই মন চায়।খুব সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি।ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চিকেন পাকোড়া এমন একটি খাবার যে এটি ছোট বড় সবারই পছন্দ আর দেখলেই খেতে মন চায়। আর নিজেরা তৈরি করে খেতে তো আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপু এসব রেসিপি দেখলে তো আমাদের ভিতরের খাদক অনুভূতি গুলো অমাদের ভিতরে আন্দোলন শুরু করে দেয়। সেই আন্দোলন থামাতে গিয়ে তেলে ভাজা জিনিষ খেতে না চাইলেও আমাদেরকে রেস্টেুরেন্টে গিয়ে খেতে হয়। তবে যায় বলেন খেতে কিন্তুু ভালেই লাগে। আপনার ছেলের ভাগ্য অনেক ভাল যে আপনার মত মা পেয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
তেলে ভাজা জিনিসই তো আমাদের বেশি পছন্দ। আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে এসব খাবার খেতেই হবে তা না হলে তো চলবে না। ধন্যবাদ আপনাকে।