চিকেন দোপেয়াজা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব চিকেন দোপেয়াজা রেসিপি রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
চিকেন এইভাবে তৈরি করলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। প্রথমে চিকেনগুলোকে ভেজে এরপর আবারো সবগুলো মসলা দিয়ে একটু রান্না করলে খেতে অনেক বেশি মজা হয়। আমি প্রায় সময় এই রান্নাটা করে থাকি। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে রান্না করতে। মুরগির মাংস গুলোকে একটু বড় বড় পিস করে এইভাবে তৈরি করলে বাড়ির সবাই ভীষণ পছন্দ করে। বাচ্চারাও ওই ধরনের রেসিপি খেতে ভীষণ পছন্দ করে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | ২ কেজি |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ২ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি মুরগির মাংস গুলোকে বড় বড় পিস করে এরপর ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপরের মধ্যে সামান্য পরিমাণে হলুদের গুঁড়া, লবন, মসলা গুড়া এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এই সবগুলো উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। এইভাবে ১০ মিনিট ধরে রেখে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে কয়েক টুকরো মাংস দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর উল্টাপাল্টা মাংসগুলোকে ভেজে নিলাম। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আবারো চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে মাংস ভাজার তেলগুলো দিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর এরমধ্যে রসুন বাটা আদা বাটা এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে এরমধ্যে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, মসলা গুড়া দিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে কষিয়ে নেব।
ধাপ - ৮ :
এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। পানি দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর এরমধ্যে ভেজে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দিলাম। মাংসগুলোর দিয়ে এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করব।
ধাপ - ১০ :
যখন ঝোল কিছুটা কমে আসবে, এরপর হয়ে গেলে নামিয়ে নেব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
দেখে মনে হচ্ছে এটি বয়লার মুরগি। আর বয়লার মুরগি ভেজে একটু মসলা দিয়ে রান্না না করলে, সেটি এমনিতে খেতে ভালো লাগে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এটি ব্রয়লার মুরগি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জি সেটা আমি দেখেই বুঝতে পেরেছি অনেক অনেক ধন্যবাদ রিপ্লে দেওয়ার জন্য।
এই দুপুর বেলা আপনার চিকেন দোপেয়াজা রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো আপু। মুরগির মাংস আমার খুব একটা ভালো লাগে না খেতে। আপনি প্রথমে মাংসগুলোকে ভেজে তারপর রান্না করেছেন। এভাবে রান্না করলে আমার কাছে ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আসলে আমার কাছেও এইভাবে রান্না করলে বেশ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার একটি চিকেন দোপেয়াজা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি একদম সত্য কিছু কথা বলেছেন সেগুলো হল চিকেন আগে একটু ভেজে নিয়ে তারপরে নতুন করে মসলা যোগ করে যদি রান্না করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমি কয়েকবার খেয়েছি এরকম ভাবে। মজাদার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার নিজের কাছেও এইভাবে তৈরি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রান্না টা ভীষণ সুন্দর হয়েছে। রংটাও খুব সুন্দর এসেছে। অনেক মানুষ আছে যদি রান্নার রং সুন্দর না হয় তবে তা মুখেই তোলে না। আপনার রান্নার রং এত সুন্দর যে আলাদা আর এডিটের প্রয়োজন নেই।দোপেঁয়াজা নাম হওয়ার পেছনে কিন্তু একটা ইতিহাস আছে। এই রান্নায় দুবার পেঁয়াজ পড়ে বলেই এর নাম দো পেঁয়াজা। খুব ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু দুইবার পেঁয়াজ পড়ে বলে মনে হয় এর নাম দো পেয়াজা।
আপু আমারো মুরগীর মাংস এভাবেই ভাল লাগে।বেশি ঝোল থাকবে না।একটু মাখা মাখা হবে।পোলাও অথবা গরম ভাত যার সাথেই খাব একদম জমে যাবে।ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই মাখামাখ হলে খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার মতো আমার কাছেও মাংসগুলো তেলে ভেজে আবার মালাগুলো দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমার শ্বাশুড়ি সবসময় এভাবেই মাংস রান্না করে খুবই ভালো লাগে। যাই হোক আপনার মুরগির মাংসের দোপেয়াজা দেখে জিভে জল চলে আসল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু এভাবে রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে চিকেন গুলো ভেজে এরপর মসলা দিয়ে কষিয়ে চিকেন রান্না করলে খেতে সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। আমাদের বাড়িতে বেশিরভাগ সময় এভাবেই চিকেন রান্না করা হয় এবং খেতেও খুবই সুস্বাদু লাগে। আমাদের এখানে এই রেসিপিটাকে ভুনা মুরগির মাংস বলে। আপনি খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এভাবে রান্না করেছি বলে সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।