দুধ পায়েস পুডিং রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব দুধ পায়েস পুডিং রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
এই রেসিপিটা আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটা রেসিপি। এটি আমি ইউটিউবে দেখেছিলাম। রেসিপিটা দেখেই আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমি সব সময় নতুন রেসিপি দেখলে সেটা ট্রাই করার চেষ্টা করি। যখন রেসিপিটি তৈরি করি তখন দেখলাম বেশ ভালই হয়েছে। থেকেও বেশ দুর্দান্ত লেগেছে। এই ধরনের রেসিপি গুলা ছোট থেকে বড় সবাই ভীষণ পছন্দ করে। আবার ধরুন কোন মেহমান আসলেও এ ধরনের নাস্তা তৈরি করে দেওয়া যায়। যখন আমি তৈরি করেছিলাম সবাই বেশ মজা করেই খেয়েছে। তাই ভাবলাম আরো একবার তৈরি করব। আপনাদের কাছে নতুন হলে আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আতপ চাল | ১ কাপ |
নারিকেল কুড়ানো | ২ কাপ |
গুড়া দুধ | ১/২ কাপ |
চিনি | ১/২ টেবিল চামচ |
আগার আগার পাউডার | ২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি ব্লেন্ডারের জাগে নারিকেল কুড়ানো নিয়ে নিলাম। তারপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর নারিকেল গুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর একটি বাটির উপরে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে এর উপরে ব্লেন্ড করা নারিকেল গুলো নিয়ে নিলাম। এরপর এগুলোকে ভালোভাবে চেপে নারিকেল দুধ তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর চুলায় একটি ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে চালগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে দিয়ে দিলাম। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করতে থাকি। কিছুক্ষণ পরে পরে নেটে ছেড়ে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করব।
ধাপ - ৫ :
এরপর একদম একটু নরম হয়ে পানি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করব। একদম শুকিয়ে গেলে একবার চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর চুলা নারিকেলের দুধ একটা ফ্রাই প্যানে নিয়ে বসিয়ে দিলাম। এরপর এভাবে কিছুক্ষণ দুধটা গরম করে নিব।
ধাপ - ৭ :
এরপরে এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিব।
ধাপ - ৮ :
এরপরে এর মধ্যে পাউডার দুধ এবং আগার আগার পাউডার গুলোর দিকে ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর এরমধ্যে আগে থেকে রান্না করা আতপ চাল দিয়ে দিলাম। দিয়ে ভালোভাবে একটু নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
এভাবে আরো কিছুক্ষণ চুলায় রান্না করে ঘন করে নিলাম। একটু ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১১ :
এরপর চুলা থেকে নামিয়ে একটা বক্সে নিয়ে ভালোভাবে চেপে সমান করে নিলাম। এভাবে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলাম কিছুক্ষণের জন্য। কিছুক্ষণ পর ফ্রিজ থেকে বের করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর কেটে পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপনার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। সাজিয়ে গুজিয়ে আপনি রেসিপিটি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে ছোটবেলার কথা কথা মনে হয়ে গেল আমরা যখন ছোট ছিলাম দেখতাম ও খেতাম মসজিদে বা কেউ মানত করলে খিচুড়ি অথবা পায়েস রান্না করে বাচ্চাদের দিতো।বেশিরভাগ মানুষ পায়েস রান্না করে বাচ্চাদের দিত। তবে গ্রামের মানুষ এখনও অনেকে আছে পায়েস রান্নার সময় দুধ ও চাউল লবণ সবকিছুই ঠিকঠাক দেয় বাট চিনি দেয় না। যেটাকে আমরা লবণ পায়েস বলি।
এটা আসলে পায়ের মতো হলেও কিন্তু এর স্বাদ ভিন্ন রকম। যেহেতু পুডিং এর মত তৈরি করলাম।
আসলে আমি আবার মিষ্টি খাবার একটু খেতে পারি ৷ বলতে গেলে মিষ্টি খাবার খুব বেশি ভাল লাগে না ৷ তবে ঝাল খাই বেশি ৷ তবে শুধু ঝাল খেলে হবে না ৷ মিষ্টি ও প্রয়োজন আছে ৷
আপনার করা পায়েস রেসিপি টি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ৷ অনেক গুলো উপাদান দিয়ে তৈরি করেছেন ৷
ভালো লাগলো দেখে ৷
আমি নিজেও মিষ্টি কম পছন্দ করি। কিন্তু এই রেসিপিটি খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল।
দুধ পায়েস পুডিং তৈরি করার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে আমি কোনদিন এই ধরনের পুডিং দেখেছিলাম না। নারকেল কুড়ানো দেবার ফলে আপনার তৈরি করা এই পুডিং টি সবথেকে বেশি সুস্বাদু হয়েছিল বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
ঠিক বলেছেন নারিকেলের দুধ দিয়ে তৈরি করেছে এজন্য বেশি মজাদার হয়েছে।
আমি প্রথমে কাচা গোল্লা ভেবেছিলাম।হাহাহা।আপু টেস্ট টা কি পায়েসের মত হয়? কৌতুহল থেকে প্রশ্ন করা,যেহেতু আতপ চাল দেওয়া। রেসিপি টি ইউনিক লেগেছে,অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে হবে।ড্রাই ফ্রুট দিলে আরো বেশ হত।ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে শেয়ারের জন্য।
কিছুটা পায়েশের মতো কিন্তু ফ্লেভারটা আবার অন্যরকম হয়। ঠিক বলেছেন ড্রাই ফ্রুট দিলে আরো ভালো লাগতো। আমার কাছে তখন ছিল না বলে দিতে পারেনি।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
জি আপু রেসিপিটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। ঠিক বলেছেন ছোট বড় সকল বয়সী মানুষ এটি খুব পছন্দ করবে। দুধ পায়েসের পুডিং দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। যদিও মিষ্টি জিনিস আমার খুব কম পছন্দ কিন্তু আমার নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করতে খুবই ভালো লাগে।
এই রেসিপিটি একেবারে মিষ্টি নয় আপু। মিষ্টি একটু কম করে দিলেও হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। ইউটিউব দেখা রেসিপিগুলো দেখতে সুন্দর মনে হলেও বাস্তবে অতটা ভালো লাগেনা কিন্তু আপনার রেসিপাটা মনে হচ্ছে ব্যতিক্রম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ইউটিউব থেকে বেশিরভাগ রেসিপি তৈরি করলে দেখা যায় যে রেসিপিগুলো ভালো হয় না। কিন্তু এই রেসিপিটি ইউটিউবে দেখে করলেও আমি নিজের মতো করেই তৈরি করলাম এই জন্য ভালো লেগেছে।
দুধ পায়েশের পুডিং রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। সত্যিই আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে।
খেতে সত্যি অনেক মজাদার হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দুধ পায়েশের পুডিং দেখেই লোভনীয় লাগছে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এই ধরনের রেসিপি গুলো সত্যিই ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করবে। রেসিপিটি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপিটি খুব সহজ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই ছোট থেকে বড় সবাই ভীষণ পছন্দ করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যে রান্না করে অনেক বেশি দক্ষ সেটা আপনার এই রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ইউটিউব দেখেই আপনি এই রেসিপি তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে আপনি নতুন কিছু সৃজনশীল প্রতিভা তুলে ধরেছেন। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে জাগ্রত করেছেন। আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি এ ধরনের পুডিং ছোট বড় সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
youtube দেখে করলেও আমি নিজের মতো তৈরি করার চেষ্টা করলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।