রেসিপি: চালের নাড়ু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব চালের নাড়ু রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
চালের নাড়ু রেসিপিটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সয় বহু বছর আগে থেকেই চাল এবং নারিকেলের নাড়ু গ্রাম বাংলার একটা ঐতিহ্য। এমনকি এই চালের নাড়ু খেতেও ভীষণ মজাদার। প্রায় অনেকদিন হলো এটা খাওয়া হয়না। এইজন্য আমি হঠাৎ করে ভাবলাম তৈরি করলে কেমন হয়। এইজন্য তৈরি করে ফেললাম। অনেকদিন পরে তৈরি করাতে সবাই ভীষণ মজা করে খেলো। আমার কাছে কিন্তু বেশ দুর্দান্ত লেগেছিল। রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল | ২ কাপ |
নারিকেল কোড়ানো | ১ কাপ |
গুড় | ১/২ কাপ |
পাউডার দুধ | ২ টেবিল চামচ |
তেজ পাতা | ২ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে চাল নিয়ে নিলাম। এরপর চালটা পরিষ্কার করে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপরে এরমধ্যে ধুয়ে রাখা চাল গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ভেঁজে নিব।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি অনেকক্ষণ ধরে নেড়ে ছেড়ে ভালোভাবে ফোটানো পর্যন্ত ভেঁজে নেব। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি ব্লেন্ডারের একটা জায়গায় সবগুলো চাল ভাজা নিয়ে নিলাম। এরপর ভালোভাবে ব্ল্যান্ড করে ঘুড়া করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি বড় এক টুকরো গুড নিয়ে এরপর একটা কাটার দিয়ে গুড়া করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে চুলা একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে নারিকেল কোড়ানো গুলো দিয়ে দিলাম। এরপরে দুইটা তেজ পাতা দিয়ে দিলাম। এরপরে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি এর মধ্যে গুঁড়ো করে রাখা গুড় দিয়ে দিলাম।
এরপরে নারিকেলের সাথে নেটে ছেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে এর মধ্যে গুঁড়ো করে রাখার চাল ভাজা গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর নেড়েচেড়ে চাল ভাজা গুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপরে গরম অবস্থায় হাত দিয়ে চেপে চেপে গোল করে একটা শেফ দিয়ে নিলাম। এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
অনেকদিন পর যে কোন খাবার খেলেই সেই খাবারটি খেতে অনেক ভালো লাগে। তার জন্যই তো আপনার পরিবারের সবাই অনেকদিন পর এই চালের নাড়ু পেয়ে খুব পছন্দ করেছে। এই নাড়ু বানানো আমার কাছে বেশ জটিল লাগলো। প্রথমে চালগুলোকে ভেজে আবার গুঁড়ো করেছেন। তাছাড়া নারকেল গুলো কেউ আবার ঝুড়ি করে কেটেছেন । সব মিলিয়ে বেশ কঠিন লেগেছে আমার কাছে। এত কিছু করার পর এটি খেতে যে মজাদার হয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসলে ঠিক বলেছেন অনেকদিন পর তৈরি করাতে পরিবারের সবাই ভীষণ পছন্দ করেছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন বহু বছর আগে থেকেই চাল এবং নারিকেলের নাড়ু গ্রাম বাংলার একটা ঐতিহ্য। আমার কাছেও এটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি ঠিকই বলেছেন এই চালের নাডু খেতে খুবই মজাদার।
আপনি নিজেও তো খেয়েছিলেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার চালের নাড়ু গুলো দেখতে একদম মিস্টি মত লাগছে আমার কাছে। আমি এভাবে নাড়ু তৈরি করে একবার ও খায় নাই। তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি অনেক ইউনিক ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন সাথে আমার নতুন রেসিপি শিখা হল।
ঠিক বলেছেন এটা অনেকটা মিষ্টির মতো দেখতে। কখনো অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।
দেখতে একদম নারকেলের নাড়ুর মত লাগছে। আমি চালের নাড়ু কখনো খাই নি। বানানোটা এই প্রথম দেখলাম। কয় দিন পরেই তো পূজা। দেখি মাকে বলব এই রেসিপির কথা। একটু খাটনি বেশি মনে হলো। তবে খেতে মজা হলে ঐ কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না একদম। শুভেচ্ছা রইলো।
আসলেই একটু খাটনি ছিল। কিন্তু যখন খেতে মজা হয়েছিল তখন আর কষ্টটা চলে গেল।
মজাদার চালের নাড়ু রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার চালের নাড়ু রেসিপি তৈরি করার উপস্থাপন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাল্লাহ।
চালের নাড়ু সত্যিই অনেক মজাদার রেসিপি।
অনেকদিন আগে চালের এরকম নাড়ু খেয়ে ছিলাম খুবই সুস্বাদু লেগেছিল কিন্তু নারকেল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি চাল এবং নারকেলের এরকম নাড়ু অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আমি শুনেছি। আপনার মাধ্যমে আবার নতুন করে দেখতে পারলাম। এবার বাসায় গিয়ে আপনার মত করে চাল এবং নারকেল দিয়ে নারু তৈরি করে খাব অবশ্যই।
অবশ্যই তৈরি করে খাবেন অনেক মজাদার রেসিপি।
ছোটবেলায় মায়ের সাথে বসে এভাবে নারিকেলের নাড়ু বানিয়েছি, তবে সেখানে চাউলের ময়দা ব্যবহার করত না। শুধু নারিকেল আর চিনি একসাথে তেলে ভাজতো। যাইহোক অনেকদিন পর নারিকেলের নাড়ু বানানো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অবশ্য আমাদের বাড়িতে শীতের সময় এ নাড়ু বানিয়ে থাকে।
ও আচ্ছা আপনারা তাহলে ওইভাবে তৈরি করতেন। এটাও ঠিক বলেছেন শীতের সময় খেতে বেশি ভালো লাগে।
কি সুন্দর ইউনিক রেসিপি! নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, বাদামের নাড়ু খেয়েছি! এই প্রথম চালের নাড়ু দেখলাম। আচ্ছা এটা কি চাল ব্যবহার করেছেন? মানে কোন চালে ভালো হবে?
এটা এমনিতে ভাতের চাল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Hi, @tasonya,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP