সুজির কাটলেট রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সুজির কাটলেট রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
সুজির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে সুজির কাটলেট আমার অনেক প্রিয় একটি রেসিপি। আমি মনে করি বাচ্চাদের জন্য এই রেসিপিটি অনেক পারফেক্ট একটা রেসিপি। আসলে আমি আমার মেয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। আসলে একটু আলাদা আলাদা রেসিপি তৈরি করলে বাচ্চারা খেতে পছন্দ করে। তবে আমি রেসিপিগুলো এমন ভাবে তৈরি করি যাতে বাচ্চা এবং বড়রা সবাই খেতে পারে এমনকি সবাই ভীষণ পছন্দ করে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সুজি | ২ কাপ |
তরল দুধ | ২ কাপ |
পাউডার দুধ | ৪ টেবিল চামচ |
চিনি | ১ টেবিল চামচ |
ডিম | ১ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে একটা ডিম ভেঙে নিলাম। এরপরে ডিমের মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে ভালোভাবে চামচ দিয়ে ফেটিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে তরল দুধের মধ্যে পাউডার দুধ গুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপর এর মধ্যে পরিমাণ মতো কিছুটা তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে এরমধ্যে সুজি গুলো দিয়ে দিলাম। সুজিটা নেড়েচেড়ে ভালোভাবে তেলের মধ্যে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে চুলে থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে চুলায় আবারো একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরপরে এর মধ্যে দুধ দিয়ে দিলাম। দুধটা হালকা গরম করে নিব।
ধাপ - ৬ :
এরপরে দুধের মধ্যে ডিম টাকে আস্তে আস্তে ঢেলে সাথে সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিব। এভাবে আমি পুরো ডিমটা দুধের সাথে মিশিয়ে নেব।
ধাপ - ৭ :
এরপরে এর মধ্যে পরিমাণমতো চিনি এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এর ফোনের চারি মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে এরমধ্যে ভেজে রাখার সুজি গুলো দিয়ে দিলাম। সুজিতা দিয়ে সাথে সাথে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এভাবে কিছুক্ষণ চুলায় রেখে নেড়েচেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিব। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
চুলা থেকে নামিয়ে একটা খোলা বাটিতে নিয়ে চেপে চেপে সমান করে নিলাম। এরপরে কোনা করে একটু একটু করে কেটে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আসলে এই বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের রেসিপি পছন্দ করে এজন্য আমি তৈরি করলাম।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
আমাদের এখানে শব-ই-বরাতে প্রচুর বানানো হয়।সবাই সবার বাড়িতে দেয়।অনেক মজার একটি খাবার।ধন্যবাদ আপু সুন্দর,সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া শবেবরাতের রেসিপিটা অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলেছেন আপু বাচ্চারা প্রতিদিন এক জিনিস খেতে পছন্দ করে না।মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন ধরনের জিনিস পেলে ওদের কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার সুজির কাটলেট দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।খেতে মনে হচ্ছে অনেক মজা। এভাবে একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করব।
অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। রেসিপিটি বাচ্চারা ভিশন পছন্দ করে।
আপু রেসিপি টা আমার কাছে অনেক ইউনিক লাগছে। আমি বাসায় তৈরি করে একবার দেখবো। বাচ্চাদের জন্য একটা পারফেক্ট খাবার। আপনার রেসিপির ধাপ গুলো ও চমৎকার ছিলো।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই বানিয়ে দেখবেন আপু বাচ্চাদের জন্য সত্যিই পারফেক্ট। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সব সময়ই ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেন। আজকেও চমৎকার ভাবে সুজির কাটলেট রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার তো খেতে ইচ্ছা করছে। আপু পাঠিয়ে দিয়েন। ধন্যবাদ আপনাকে ।
পারলে তো পাঠিয়ে দিতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুজির কাটলেট রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপি কখনো তৈরি করেনি। আপনাদের রেসিপি উপস্থাপন এবং ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
তাহলে অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন। অনেক মজাদার রেসিপি টি।
ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন জিনিস বানালে বাচ্চারা সেটি খেতে পছন্দ করে। এক জিনিস প্রতিদিন খেলে বাচ্চারাও বিরক্ত হয়ে যায়। আপনার সুজির কাটলেট দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই মজাদার হয়েছে। ডিমটা যে গরম সুজির মধ্যে ঢেলে দিলেন এতে কি ডিম জমাট বেধে যায়নি? দেখে তো মনে হচ্ছে জমাট বাঁধেনি। রেসিপিটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
না আপু ডিম দুধের মধ্যে একটু একটু করে ঢেলে সাথে সাথে নাড়তে হবে। এইজন্য আর জমাট বাঁধেনি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
সুজির বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আপু। আর সুজির কাটলেট সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
সত্যি অনেক লোভনীয় রেসিপি আপু আমারও ভীষণ ভালো লাগে।
আসলেই নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করলে বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দেরও ভালো লাগে। সুজির কাটলেট রেসিপিটি প্রথম দেখলাম। দেখে তো সুস্বাদুই মনে হচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কি বলেন আপু প্রথম দেখেছেন তাহলে তো অবশ্যই তৈরি করে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।