মেসে প্রথমবার লুচি আলুরদম ||১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox ও ৫% @abb-school এর জন্য
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। প্রায় অনেক বছর হলো কলকাতাতে রয়েছি, কিন্তু কখনো নিজে মাতব্বরি করে লুচি ও আলুর দম বানানোর চেষ্টা করিনি। মেসে রান্নাবান্না করে খাই ,এত পরিশ্রম কে করে! তবে বেশ অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ।তাই আজকে সেই ইচ্ছে মিটিয়ে ফেললাম। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি প্রথমবার আমার মেস বাড়িতে বানানো লুচি ও আলুর দম অর্থাৎ আলুর দমের রেসিপি।
কি কি উপকরণ লেগেছে চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক।
১. পেঁয়াজ - মাঝারি ৩ টে
২. আদা কুচি - ২ চামচ
৩. রসুন কুচি - ১ চামচ
৪. টমেটো একটা
৫. কাঁচা লঙ্কা - ৭ টা
৬ . শুকনো লঙ্কা - ২ টো
৭. আলু - ৫০০ গ্রাম
৮. হলুদ - হাফ চামচ
৯. লবণ - ১চামচ
১০. কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো
১১. জিরের গুঁড়ো - ১/২ চামচ
১২. সরষের তেল - হাফ কাপ
১৩. জল পরিমাণ মত
১৪. ধনে পাতা
প্রথম ধাপ
দেখতেই পারছেন প্রথম ধাপেই আমি পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছি । কাঁচা লঙ্কা, আদা কুঁচি করে নিয়েছি। রসুন কুচির সাথে একটা মাঝারি সাইজের টমেটো কুচি করে কেটে নিয়েছি।আর নিয়েছি ধনেপাতা কুচি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখানে আমি ৫০০ গ্রাম মতো আলু সিদ্ধ করে নিয়েছি প্রথমেই।
তৃতীয় ধাপ
সমস্ত কিছু রেডি করে নেওয়ার পর কড়াইয়ে দিয়ে দিয়েছি হাফ কাপ মতো সরষের তেল ।আপনারা চাইলে সাদা তেল ব্যবহার করতে পারেন। তারপর একে একে দিয়ে দিয়েছি কাঁচা লংকা, আদা রসুন কুচি ,পেঁয়াজ কুচি কিছুক্ষণ ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
আলুর দম আরও বেশি যাতে ভাল হয় তাই টমেটো কুচি অ্যাড করে দিলাম।
এবার প্রায় দশ মিনিট ধরে পুরো মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিতে থাকলাম।
পঞ্চম ধাপ
মসলাগুলো ঠিকভাবে কষানো হয়ে গেলে এবারে যে আলু সিদ্ধ করে রেখেছিলাম ,সেই আলু গুলো এড করে দেবো।
ষষ্ঠ ধাপ
এবারে একটা করে মশলা দিয়ে দিচ্ছি। দিয়ে দিচ্ছি হলুদ গুঁড়া , লবণ ,একটু কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো আর জিরেগুঁড়ো।
এবার আলু গুলোর সাথে মসলাটাকে ভালভাবে মিশিয়ে নিচ্ছি।
সপ্তম ধাপ
এবার এর মধ্যে অ্যাড করে দিচ্ছি ধনেপাতা কুচি। ভালোভাবে সমস্ত কিছু মিশিয়ে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
আবার ভালোভাবে ধনেপাতা দেওয়ার পর পাঁচ দশ মিনিট খুন্তি নাড়তে থাকবো।
নবম ধাপ
এবারে দিয়ে দিচ্ছি দেড় কাপ মতো জল। তারপর ১০ মিনিটের জন্য ওভেন হাই রেখে তরকারীটা ফুটতে দেব।
ফাইনাল লুক
আর এভাবেই খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার স্বাদের অনেক টেস্টি আলুর দম।
নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করে স্টিলের থালা উল্টো করে আজকে আমি আর আমার রুমমেট ভাই মিলে লুচি বানিয়েছি। ভাগ্যিস লুচি বেলার জন্য বেলনাটা আমাদের বাড়িওয়ালা খুব সহজেই একবার চাইতে আমাদেরকে দিয়ে দিয়েছিল, না হলে আমাদের আজকে আর লুচির সাথে আলুর দম খাওয়া হতো না।
আসলেই আলুরদম মানে প্রথমে খেয়াল আসে লুচির কথা। ফুলকো ফুলকো লুচির সাথে জমজমাট ঝাল ঝাল আলুর দম কিযে ভালো খেতে লাগে আমার, তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না।
আশা করছি আমার এই প্রচেষ্টা আপনাদের সকলের খুব ভালো লেগেছে ।আমি নিজেও অনেক মজা পেয়েছি পুরো রান্নাটা করতে পেরে ।প্রথমবার এই কমিউনিটিতে রান্নার পোস্ট শেয়ার করলাম। বেশ মজা লাগছে ।সকলে ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা।
সকাল-সকাল লোভ লাগিয়ে দিলেন ভাইয়া। লুচি আর আলুর দম খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আপনার তৈরি করা লুচি আর আলুর দম গুলো দেখে আমি কোন ভাবে লোভ সামলাতে পারছিনা। মেসের সবাই একত্রিত ভাবে এই ধরনের লুচি ও আলুর দম তৈরি করার মধ্যে মজাটাই অন্যরকম।
লুচির সাথে অনেকেই অনেক কিছু পছন্দ করেন খেতে। কিন্তু আমারতো আলুর দমটা বেশি ভালো লাগে, ঠিক যেমন আপনার ভালো লাগে। আপনাদের আমন্ত্রণ করতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো।
ধন্যবাদ দাদা মন্তব্য করার জন্য।
লুচি আলুরদম আমার খুব প্রিয় একটি খাবার। আমার কাছে খবর ভালো লাগে লুচি দিয়ে আলুর দম খেতে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে চা দিয়ে লুচি খেতে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার আলুর দম এবং লুচি রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
চা - এর সাথে আপনার লুচি খেতে ভালো লাগে শুনে বেশ ভালো লাগলো। অনেকের পছন্দ অনেক রকম হতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে দিদি আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্যে।
বাহ দাদা আলুর দম সাথে লুচি আর কি চাই । আপনার আলুর দম দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে । অবশ্য সাথে দুখানা মিষ্টি হলে ব্যাপারটা পুরো জমে যেত । চমৎকারভাবে রেসিপি শেয়ার করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
হ্যাঁ দাদা আলুর দমের সাথে লুচিটা খুব ভালো লাগলো খেতে। এতদিন মা দিদি বোনদের হাতেই খেয়ে এলাম। কিন্তু মেসে নিজের হাতে বানাতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে।কোলকাতায় থাকলে আপনাকেও এই রেসিপি নিশ্চয় খাওয়াতাম।😁
কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়ো দিলে তরকারির কালার খুব সুন্দর আসে। আপনার আলুর দম রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। তাছাড়া আপনি খুবই সুস্বাদু করে রান্না করেছেন । আপনার লুচির সাইজগুলো কিন্তু সুন্দর হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে আমার কাছে।
দিদি মেসে পড়াশোনা করতে এসে রান্নার স্কিলটা যে এত ডেভেলপ হয়ে যাবে ভাবিনি। এখন নানান সুস্বাদু পদ আমি সহজেই রান্না করতে পারি। যেমন এই রেসিপি টা যেমন আজ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আলুর দম দিয়ে লুচি খাওয়ার চেয়ে স্বাদ মনে হয় এখন আমার জিভে লেগে আছে। আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার আলুর দম আর লুচি। আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি আমার পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ।যে আমার খুবই ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি রেসিপি আপনি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং পুরো প্রক্রিয়া দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ দিদি। আপনাদের এই ভালো লাগা শুনে আমি খুবই খুশি আজ। অনেক পরিশ্রম করে রেসিপিটা বানিয়েছিলাম। তবে যখনই দেখলাম লুচি গুলো দারুন ভাবে ফুলে উঠেছে, মুহূর্তেই সমস্ত ক্লান্তি চলে গেলো।
কি ফাজিল রে তুই!!! আমাকে দিলি নাহ!!!
দাড়া! থানায় ডাইরি লিখব তোর বিরুদ্ধে!
কষ্ট পাইসি 🥺😣
না রে দেবো তোকেও। ইচ্ছে আছে নেক্সট বার লুচি - মাংস করবো। তখন তোকে না দিয়ে খাবো না।
আপনি খুবই মজাদার একটি খাবার তৈরি করেছেন লুচি আলুরদম আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বলতে পারেন আমার পছন্দের একটি খাবার। আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপ গুলো খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন না আপনার জন্য শুভকামনা।
হ্যাঁ লুচি আলুরদম কমবেশি সবারই ভালো লাগে। আমার তো ভীষণ প্রিয়। আপনারও যে বড় ভালো লাগে, টা শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে।
সত্যি কথা বলতে ভাই আপনার আলুর দমের রেসিপি দেখে জিভে জল আটকে রাখতে পারি নাই আমি। আলুর দম খেতে বেশি ভালো লাগে আমার। অসাধারণ ভাবে ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। এরকম করে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি আলুর দমের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জিভে জল আসার মতই হয়েছে দাদা। আর হ্যাঁ ঝাল ঝাল করেই বানিয়েছি রেসিপিটা। খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ মেছে আপনি খুব সুন্দর আলুর দম আর লুচি বানিয়ে ফেলেছেন। ঠিকই বলেছেন আলুর দম বানানো হলে প্রথমেই লুচির কথা মনে আসে ।আপনার আলুর দম দেখেতো জিভে পানি চলে এসেছে ।এত সুন্দর কালার হয়েছে মনে হচ্ছে যে খুবই মজা হয়েছে। খুব মজা করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ দিদি খুব সুন্দর হয়েছে। নিজে খেয়ে তৃপ্ত হয়েছি। আপনাদের খাওয়াতে পারলে আরো ভালো লাগতো। ধন্যবাদ দিদি মন্তব্য করার জন্যে।
মেসে প্রথমবার লুচি আলুরদম রেসিপি দেখে তো খাওয়ার লোভ জাগলো। দারুন খাবার উপভোগ করেছেন আজকে যেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এ ধরনের রেসিপি মাঝে মাঝে খেতে সত্যিই ভালো লাগে। আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে আমারও বেশ ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।