বাঙালি রেসিপি" চিংড়ি মাছের মাথা দিয়ে কাঁচ কলার খোসা ভর্তা"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। কিছুদিন প্রচন্ড গরম পড়ছে আর বাইরে খুব রৌদ্র। বাইরে খুব একটা যেতে পারি না।তার ওপর আবার গাড়ীটা নেই। আজ সকালে কাঁচ কলা রান্না করছিলাম।আমরা তো সবাই কাঁচ কলার খোসা ফেলে দিই। কিন্তু খোসা ও যে রান্না করে খাওয়া যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে কাঁচ কলার খোসা ভর্তা তৈরি করে দেখাবো। এর আগে অনেক বার আমি রান্না করছি। এটি খুবই সুস্বাদু এবং টেস্টি একটি খাবার।আমার বাড়ির সবাই এটি খুব পছন্দ করে। আজ আমি চিংড়ি মাছের মাথা দিয়ে এটি রান্না করেছি।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণঃ
১. কাঁচ কলার খোসা - ৪ টি কলার খোসা
২. চিংড়ি মাছের মাথা - ৫০ গ্রাম
৩. সরিষার তেল - ৪ চামচ
৪. লবণ - ২ চামচ
৫. হলুদ - ২ চামচ
৬. কালো সরিষা - ১ চামচ
৭. কাচা মরিচ - ৩ চামচ
কাঁচ কলার খোসা
চিংড়ি মাছের মাথা
লবণ, কাচা মরিচ ও কালো সরিষা
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কলার খোসা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে ২ কাপ জল দিতে হবে।জল ফুটতে শুরু করলে কলার খোসা দিয়ে ভালো করে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
৩. খোসা গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. চিংড়ি মাছের মাথা গুলো ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৫. এবার চিংড়ি মাছের মাথায় সামান্য লবণ ও হলুদ মেখে নিতে।
৬.আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে।
৭. তেল গরম হয়ে এলে লবণ ও হলুদ মাখানো মাথা দিয়ে ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। এবং চুলার
আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৮. মাথা গুলো ভাজা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৯. এবার শিলে বেটে নিতে হবে। শীলের উপর ১ চামচ লবণ ও ১ চামচ কালো সরিষা, ৬ টি কাচা মরিচ দিয়ে বেটে নিতে হবে।
১০. এরপর ভাজা চিংড়ি মাছের দিয়ে বেটে নিতে হবে ।চিংড়ি মাছের মাথা বাটা হলে সেদ্ধ কলার খোসা বেটে নিতে ।এবার সব কিছু একসাথে বেটে নিতে হবে। সব কিছু বাটা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
১১. এবার কলার খোসা বাটা তে ২ চামচ সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের " চিংড়ি মাছের মাথা দিয়ে কাঁচ কলার খোসা বাটা"। এটি গরম ভাতের পরিবেশন করতে হবে।
আমরা অনেক তরিতরকারির উচ্ছিষ্ট ফেলে দিই।কিন্তু বিভিন্ন ধরনের তরিতরকারির উচ্ছিষ্ট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায় এবং এতেও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বিদ্দমান থাকে।আপনিও কাঁচকলার খোসা কাজে লাগিয়ে রেসিপি তৈরি করেছেন।আপনি এটার অপব্যবহার করেন নাই।আপনার রেসিপিটা দেখে অনেকেই এটা কাজে লাগাবে আসাকরি।
আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দিদি।আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দিদির রান্না হয়তো বা কোনদিন খাওয়ার ভাগ্য হবে না। শুধু জিহবা দিয়ে লালা পড়বে দেখে কি আর করার।দাদা অবশ্যই দিদির রেসিপির কথা discord এ আগেই বলেছিল কিন্তু আমি তো তখন থেকে অপেক্ষায় ছিলাম দিদি কখন রেসিপি পোস্ট করবে।অনেক মজা করে খেয়েছেন বুঝি।
হ্যা এটি খুব টেস্টি ছিল।মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর এবং নতুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে তাই না?দেখেই লোভ লাগছে।দেখতেও খুবই চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ি মাছ রেগুলার খাওয়া হলেও,কাঁচ কলার খোসা ভর্তা তেমন একটা খাওয়া হয়নি।ভিন্ন রকম একটা খাবার এর সাথে পরিচিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।আমার লেখা টি পরে মন্তব্য করার জন্য।
ওয়াও নিয়মিত নিত্যনতুন রেসিপি আপনার মাধ্যমে উপহার পাচ্ছি।অনেক সুন্দর এবং গঠনমূলক ভাবে উপস্থাপন করেছেন।অনেক ধন্যবাদ দিদি।
শুভ কামনা রইলো 😍
ধন্যবাদ ভাইয়া
এই বিষয়টি না ছোট বেলায় খুব অদ্ভুদভাবে দেখতাম এবং মাঝে মাঝে আম্মুকে বলতাম, তোমরা খিছুই ফেলাইবা না, সবই কি খেতে হয়?
মাছের মাথা, তরকারীর ছোকলা সব কিছুরই সুন্দর সুন্দর রেসিপি হতো কিন্তু এরপর খেয়ে দেখলাম সত্যিতো অনেক স্বাদের। প্রথমবার আমি খেয়েছিলাম, মিষ্টি কুমড়ার ছুকলা দিয়ে শুটকির ভর্তা, এরপর তো কলার ছুকলা, লাউয়ের ছুকলা বাদ যায় নাই কোনটা, হি হি হি ।
তবে বৌদিও পাটা ব্যবহার করেন, দেখে ভালো লাগলো। আমাদের বাড়ীতে এখনো মসলা কিংবা ভর্তার তৈরীতে পাটা ব্যবহার করা হয়।
জিআপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। তরকারির খোসা দিয়ে অনেক সুন্দর খাবার তৈরি করা যায়। আমার থেকে আমার মা অনেক সুন্দর সুন্দর রান্না করতে পারে। যেকোনো ভর্তা তৈরি করতে শীল ব্যাবহার করা হয়।ভাইয়া আমি ভুতের গল্পটা লিখার সময় পাই নি। টিনটিন লিখতে দেয় না।তাই একটু দেরি হচ্ছে ভাইয়া। আমি কিছুদিন পড়ে পোস্ট করছি।
সময় করে সুন্দর করে লিখুন, তবে আজ তো ঠিকই ভূতের গল্প পড়লাম। দাদা খুব সুন্দর লিখেন। আশা করছি আপনিও সুন্দর লিখবেন।
হ্যা, আপনার দাদার কাছে আমি কিছু না। আপনার দাদা খুব ভালো লিখেন।আমিও পড়ছি।
বৌদি চিংড়ি মাছ নাম শুনলেই ভালো লাগে, আবার তার সাথে ভর্তা,আহ কি যে মজা, খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এভাবে কখনো খাওয়া হয় নি তবে এক বার ট্রাই করে দেখতে হবে
একবার ট্রাই করে দেখুন অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বাগতম বৌদি
বৌদি আপনার মাধ্যমে যে কত নতুন নতুন রেসিপি সম্বন্ধে জানতে পারলাম তার ইয়ত্তা নেই। এত নতুন রেসিপি আপনি কোথায় পান? দাদার তো পরম সৌভাগ্য। প্রতিদিন নতুন নতুন রেসিপির স্বাদ পাচ্ছেন। এত চমৎকার রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বউদি।
খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি রেসিপিটি।আমি বিচিকলার খোসা রেসিপি করে খেয়েছি কিন্তু কাঁচকলার খোসা কখনো খাওয়া হয় নি।এটি ও নিশ্চয়ই অনেক মজার খেতে।ধন্যবাদ বৌদি।
কাচঁ কলার খোসা ভর্তা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে সেটা যদি চিংড়ি মাছ দিয়ে হই, তাহলে আরও ভালো হয়। আপনার রেসিপিটা অসাধারণ হয়েছে। আশা করছি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার সব রেসিপিগুলোই খুবই সুন্দর হয়।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।