বাঙালি রেসিপি " পেঁয়াজ রসুন ছাড়া কাশ্মীরি আলুর দম"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। "আমার বাংলা ব্লগ" সকল সদস্যদের জানাই বিশ্বকর্মা পূজার শুভেচ্ছা।আজ বাঙালির ঘরে ঘরে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের পূজা। আর একটি মজার বিষয় হলো এই দিনে প্রতি বাড়ির ছাদে ও যেকোনো খেলার মাঠে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব পালিত হয়। বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। আর এতে বাঙালির ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ লেগে থাকে। আমি কিছুদিন যাবৎ আপনাদের কমেন্টের কোনো উত্তর দিতে পারছি এবং কোনো পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে পারছি না। আমার শরীর ও মন কোনোটাই ভালো নেই। গতকাল আমার মন খুব খারাপ ছিল তাই কোনো পোস্ট ও করিনি। কাল হ্যাংআউটে সবার কথা শুনে আর @Shuvo ভাইয়ার গান ও অন্যান্য দের গান শুনে আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল।তাই @ shuvo ভাইয়া সহ সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলে হয়তো ভালো লাগবে। এখন থাক ওসব কথা। আজ আমি কোনো রান্না করিনি। তাই যে রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার প্রিয় মানুষটার তৈরি করা
খাবার " কাশ্মীরি আলুর দম"। সব কিছু সে রান্না করেছে। আমি শুধু তাকে সাহায্য করেছি।তাই পুরো ক্রেডিট তার।আমি শুধু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তবে সে আমার থেকে খুব সুন্দর রান্না করে।এটি অনেক মজার একটি খাবার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. বড়ো বড়ো আলু - ১০- ১২ টি
২. সরিষার তেল - ১কাপ
৩. গোটা জিরা - ১ চামচ
৪.লবণ - ২ চামচ
৫. হলুদ - ১ চামচ
৬. কাচা মরিচ - ৭ টি
৭. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
৮. ধনে গুঁড়া - হাপ্ চামচ
৯. কাশ্মীরি শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
১০. গরম মসলা গুঁড়া - ১ চামচ
১১. তেজ পাতা - ৩ টি
আলু
গোটা জিরা, তেজ পাতা ও কাচা মরিচ
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, সরিষার তেল, কাশ্মীরি শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মসলা, ধনে গুঁড়া
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে আলু ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়ে সেদ্ধ করতে হবে।
২. প্রায় ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে নিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। আলু গুলো গোটা রাখতে হবে।
৩. এবার সেদ্ধ আলু গুলো কাটা চামচ দিয়ে ছিদ্র করতে হবে। এতে আলুর ভিতর মসলা গুলো ভালো করে ঢুকবে। এবার চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৪. তেল গরম হলে জিরা ও গোটা তেজ পাতা দিয়ে ভেজে নিয়ে সেদ্ধ আলু দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে।
৫. সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া ও কাশ্মীরি শুকনো মরিচ গুঁড়া দিতে হবে। এবং সামান্য জল দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে।কিছু কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে।
৬. কষানো হলে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে।জল ফুটতে শুরু করলে আর একটু হলুদের গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে জ্বাল দিতে হবে।
৭. এভাবে ১০ মিনিট ধরে জ্বাল দেওয়ার পর ঝোল একটু কমে গেলে ১ চামচ গরম মসলা দিয়ে আরো ৫ মিনিট ধরে জ্বাল দিতে হবে।
৮.এবার লবণ টেস্ট করে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল " কাশ্মীরি আলুর দম" । এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটি গরম ভাত ও রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
টাইটেলটি পড়েই কিছুটা অবাক হয়েছি শুরুতে, কারন পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া আলুর দম বিষয়টি কেমন জানি লাগছে। কিন্তু রেসিপিটির পুরো দৃশ্যগুলো দেখে নিশ্চিত হলার এটা খেতে বেশ স্বাদের হবে। খুব সুন্দর তৈরী করেছেন। ধন্যবাদ ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যা ভাইয়া সত্যি খুব মজার হয়েছিল। এটি আমি রান্না করিনি। আর আমার আলুর দাম রান্না করতে ইচ্ছা করে না। তবে আমি খেয়েছিলাম।
আপনাকেউ বিশ্বকর্মা পুজোর শুভেচ্ছা। আপনার মন ভালো হয়েছে এটা শুনে ভালো লাগল। এবং আপনার রেসিপি তো সবসময়ই খুব ভালো হয়। আজকের কাশ্মীরী আলুর দম রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছেন।
এটা আমি তৈরি করিনি। আজ এটি আমার প্রিয় জন রান্না করেছে।আর সে রান্না করেছে আমি শুধু খেয়েছি।
😍😍😍😍😍 বলেন কী!!
আলুর দম খেতে ভালবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গরম ফুলকো লুচির সঙ্গে বাঙালির প্রিয় পদ আলুর দম। কাশ্মীরি দম আলু রুটি, লুচি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। লুচির সঙ্গে আলুর দম ,এটা যেন আমাদের রক্তে মিশে আছে।
বৌদির রেসিপি এমনিতেই সেরা।বৌদির উপস্থাপনা আমার খুব ভালো লাগে।ধাপে ধাপে ছবির সাথে সাথে বর্ণনাটা মিলে যায় যা বোঝতে সুবিধা হয়।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর মন্তব্যে করার জন্য।
আপনাকে অভিনন্দন।
এটা বাঙালির প্রধান খাবার বলা যেতে পারে। ডিম এবং আলুর বুনা আমার কাছে খুবই প্রিয়।আপনি রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দিদি।দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।অনেক ধন্যবাদ দিদি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ।
দাদা ওইদিন বলছিলো আলুর দমের কথা আর আজকে বৌদি আপনি রেসিপি ও দিয়ে দিলেন।বাহ বাহ!😍
আমাদের আলুর দম করে তবে আপনার মতো করেনা, আমি অনেকবার আম্মুকে বলি কিন্তু কেনো জানিনা আম্মুকে ভুলে যায় শেষ পর্যন্ত। আপনাদের এই আলুর দম রান্নাটা যে আমাকে কি পরিমাণ টানে তা বলে বুঝাতে পারবোনা বৌদি।টানে বলতে আপনাদের এই আলুর দমটা আমার দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে। তবে বৌদি এতো বড় আলুগুলো এভাবে পুরো পুরো দিয়ে দিলে খাওয়ার সময় কাঁচা কাঁচা লাগেনা ভেতরটা খেতে?নাকি পুরোটাতেই মশলা ঢুকে।
আমি এভাবে কখনো খাইনি তো তাই জিজ্ঞেস করছি।
না ভিতরে কাচা থাকে না। কারণ আলু ছিদ্র করে দিলে সব মসলা ভিতরে ঢুকে যায়।একদিন আপনি রান্না করে দেখবেন।
আচ্ছা বৌদি বুঝেচ্ছি,অবশ্যই চেষ্টা করবো তাহলে একদিন।
এতো ব্যস্ততার মাঝেও আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন দেখে সত্যিই খুব বেশি ভালো লাগলো আমার। অনেক অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা আপনার জন্য। 😍😍😍🥰
রান্না টি অসাধারণ হয়েছে দাদা এবং বৌদি ।দুজনের হাতের ছোঁয়ায় রান্নার স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আলুর দম আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। লুচির সাথে এটি খেতে সত্যি অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
বাহ্! কি অসাধারণ একটি বাঙালি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে এটি খুবই ভালো লাগে খেতে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্টটি হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, এটি সত্যি অনেক টেস্টি ছিল। সম্বব হলে একদিন বাড়ীতে তৈরি করে দেখুন।
আমাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, রান্নার বিভিন্ন উপায় জানতে এবং রেসিপি জানতে পেরে আমি সত্যিই খুশি
আমিও খুব খুশি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে স্বাগতম
😊
এই খাবারগুলো ছাড়া বাঙালিয়ানা কখনো পূর্ণ হবেনা। মাঝে মাঝে মা রান্না করে। একদম তৃপ্তিভরে খেয়ে নেই। রান্নার রেসিপি টা অবশ্য কখনও খেয়াল করিনি। তবে আজ আপনার টা দেখে অনেকটাই বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ দাদা।
আহা বৌদি 👌👌 আমার ভীষণ প্রিয় একটা খাবার। সাথে লুচি হলে তো আর কোথায় নেই। অমৃত একদম। খুব লাগলো, আমিও একদিন রান্না করবো অবশ্যই।
ঠিক বলেছেন আলুর দমের সাথে লুচি হলে একেবারে জমে ক্ষির। কিন্তু আমি খুব একটা পছন্দ করি না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।