"টিনটিন বাবুর জন্মদিন ও পূজার কেনাকাটা শুরু"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনারা সবাই জানেন হিন্দুদের বড় উৎসব দুর্গা পূজা আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। আবার এদিকে আমার ছোট সোনা বাবা টার জন্মদিন। এবার পূজো বাংলাদেশে কাটানোর ইচ্ছা ছিলো। তাই এবার কেনা কাটা একটু বেশি।তবে আমার কেনা কাটা একটু বেশি হয় সবসময়। কারণ আমি প্রতিবারই একটা না একটা অজুহাত দেই। আমি বছরে এই দুইবারই বেশি কেনাকাটা করি।এক আমার
বাবুর জন্মদিনে ও দুই পূজোর সময়। আমি প্রতিবারই পূজো আসার কয়েকদিন আগের থেকে কেনাকাটা করি। আসলে আমার প্রিয় মানুষটির শপিংয়ে যেতে ভালো লাগে না। আসলে পকেট খালি হবার ভয়ে না। ওর ব্যাস্ততার জন্য সময় বের করতে পারে না। আর ও বেশি সময় ধরে কেনাকাটা করতে বিরক্ত লাগে। ও বলে দোকানে যাবে দ্রুত কিনে চলে আসবে। কিন্তু আপনারাই বলুন তাড়াতাড়ি কিছু কেনা যায় সময় তো লাগবেই।
আপনারা জানেন আর শপিং করতে খুবই ভালো লাগে। আমার ম্যাচিং করে শাড়ি গয়না কিনতে খুবই ভালো লাগে।তবে আমি শাড়ি খুব বেশি পড়ি না। আমি জামা
পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কিন্তু শাড়ি কিনতে ভালো লাগে। তবে ঠিক করলাম এবার কলকাতায় শাড়ি কিনতে যাবো। আমরা সবাই মিলে কলকাতায় গেলাম। প্রতি বছর আমার দেবোর আমাকে, দিদিকে ও মাকে শাড়ি কিনে দেয়। এবার ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আমি যে কয়টা শাড়ি পছন্দ করি ও তাই কিনে দেয়। বিয়ের পরে এ বাড়ীতে আসার পর থেকে আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই পূজোয় আমাকে কিছু না দেয়।তা আবার আমার পছন্দ অনুযায়ী।
আমি বিয়ের পর থেকে পূজোয় একদিন আমার প্রিয় মানুষটির পছন্দ করা শাড়ি পড়ি। এবার ও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আমার দেবোর আমাকে ৫ টি শাড়ি দিয়েছে। প্রথমে ভাবছি একটা শাড়ি কিনবো। কিন্তু সে বললো তোমার যা পছন্দ হয় তাই কিনো।
কিন্তু পরে দেখি অনেক কেনা হয়ে গেলো। আর আপনাদের দাদার কথা কি বলবো। ও প্রতিবার কেনার আগে বলে এবার বেশি দিবো না। কারণ তোমার অনেক আছে তুমি শুধু কিনে কিনে আলমারি ভরে রাখো কিন্তু পড়ো না। আবার সেই মানুষটি বেশি দেয়। এরপর টিনটিন বাবুর জন্য একটি পার্টি ড্রেস কিনলাম। আর আমার জন্য একটা ড্রেস কিনতে কিনতেই বাবু কান্নাকাটি জুড়ে দিলো। টিনটিন বাবু আর কেনাকাটা করবে না তার তখন খেতে যেতে হবে।
আমার খুব রাগ হচ্ছিলো কিন্তু কি আর করা অবশেষে বাধ্য হয়ে যেতেই হলো। এখনো অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেল। বাকি কেনাকাটা গুলো অন্য একদিন শেয়ার করবো।
আর আমি অনেক কিছু অনলাইনে কেনাকাটা করেছি। কারণ আমি বেশিরভাগ সময়ই অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালো লাগে। কি কি শপিং করেছি সেগুলো অন্য একদিন শেয়ার করবো । সবার জন্য শপিং হলে তখন। আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
ব্ল্যাকস দাদার পছন্দ ভালো দিদি। শাড়ির গুণগত মানও ভালো দেখছি। আপনার জন্য ৫টি শাড়ি কিনে দিয়েছে দাদা। সত্যি এমন দেবড় পাওয়াও সৌভাগ্যের। যাক, পূজোটা তাহলে বাংলাদেশে কাটাতে পারবেন দিদি। টিনটিন বাবু কান্না না করলে আপনার শপিং পূর্ণ হতো। যায়হোক, পরের পর্বে দেখে নেবো আরও কি কিনলেন 🥰। ধন্যবাদ দিদি
হুম পকেট ফাঁকা হওয়ার ভয় প্রতিটি পুরুষ মানুষের হৃদয়ে থাকে সেটা আর বলতে হয় নাকি, হি হি হি। তবে এটা সত্য বলেছেন বৌদি, আমার বউও শাড়ি কিনতে বেশ পছন্দ করে কিন্তু জোর করেও তাকে শাড়ি পড়াতে পারি না। তাহলে শপিংটা অপূর্ণ রয়ে গেলো সোনামনির জন্য, তবে কি কি শপিং করেছেন সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আর আমাদের সোনাবাবুটার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইল। ধন্যবাদ
আপনারা ইনকাম করেন তো আমাদের জন্য। সত্যি বলছি তো ভাইয়া। আপনি কি বলেন? সব মেয়েরাই শাড়ি কিনতে পছন্দ করে কিন্তু পড়তে না। হা হা হা
নমস্কার বৌদি। এবার পুজোর কেনাকাটা বেশ ভালোই করেছেন দেখছি। আসলে শুধু দাদা না পৃথিবীর কোন পুরুষ মানুষেরাই শপিং করার জন্য টাইম দিতে চায়না।শ্বশুর বাড়ির সবাই কোন কিছু উপহার দিলে বেশ ভালোই লাগে, ছোট দাদা আপনাকে পাঁচ টা শাড়ি কিনে দিয়েছেন খুবই ভালো হয়েছে। আপনাকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে বৌদি। টিনটিন সোনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা রইল। ঈশ্বর আপনাকে সবসময়ই ভালো রাখুক এই প্রার্থনা করি। পুজোর পুরো শপিং দেখার অপেক্ষায় রইলাম বৌদি। ধন্যবাদ।
পকেট ফাঁকা হওয়ার ভয় আমাদের দাদার নেই এটা আমরা সকলেই জানি। তবে পুজোর সময় সবাই একটু বেশি কেনাকাটা করে। যেহেতু সামনে পুজো এবং টিনটিন বাবুর বার্থডে তাই দুটো মিলে মিশে বেশি কেনাকাটা হতেই পারে। মেয়েরা সাধারণত শাড়ি কিনতে পছন্দ করে। তবে পড়তে ততটা কমফোর্টেবল ফিল করে না। আসলে আলমারি ভর্তি শাড়ি দেখলে মনের মাঝে প্রশান্তি আসে। 😍😍
দিদি পূজা আর টিনটিন বাবুর জন্ম দিন উপলক্ষে আপনাদের কেনাকাটা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ পূজার আর মাত্র কয়েক দিন ৷ এবার পূজা বাংলাদেশ করবেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ দাদা আপনাকে শপিংয়ে নিয়ে যেতে চায় না 🥰 ৷ আসলে কাজ ব্যস্ত মানুষের সময়ের মূল্য অনেক ৷ ছোট দাদা এবার পাঁচটি শাড়ি কিনে দিলো জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ আর কেনাকাটা শেষ না হতেই টিনটিন বাবুর খাওয়া দাওয়ার জন্য বায়না , শপিংটা আর পূর্ণতা পেলো না ৷
সত্যিই বৌদি ,কেনাকাটা করতে বেশ সময় লাগে।নিজের পছন্দসই সব আবদারগুলি পূরণ করা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার যেটা আপনার পরিবার আপনাকে দিয়েছে।আমিও মাঝে মাঝেই অনলাইনে কেনাকাটা করি।তাছাড়া উপরের শাড়িটির মতো সেম শাড়ি আমার মায়ের একখানা আছে।সবমিলিয়ে টিনটিন বাবুর জন্মদিন ও পূজা উপলক্ষে আপনি জমিয়ে কেনাকাটা করেছেন বুঝতে পারছি।ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটার অনুভূতি পড়ে, ধন্যবাদ বৌদি।
দিদিভাই একটু সুস্থ্ হয়ে যে পুজোর কেনাকাটায় লেগে পরেছেন এটা দেখেই খুব ভালো লাগছে সত্যি। আমার তো শপিং করার ছবি দেখতে খুব ভালো লাগে কিন্তু দাদার মত আমিও 😉,, বেশি ঘুরতে ভালো লাগে না। টিনটিনের চিৎকার করাটা আমার দারুন লাগে 👌। ওর খাওয়া নিয়ে বায়না করার কথা পড়তেই চিৎকারের শব্দ টা যেন কানে চলে আসলো। হিহিহিহি। খুব ভালো একটা পূজো কাটুক। মা আমাদের সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়ে যাক 🙏
হুম,গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে ঠিকই ভালো লাগে😜😜,কিন্তু বিয়ে করলে বউ নিয়ে ঘুরতে ভালো লাগে না😉😉
বউকে পাঠাবো আপু আর দিদিভাইয়ের সাথে 🥰
আর আপনি যাবেন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে😉😉
ছোট ভাইকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে দেখি 🤪😉
বউ বাদে অন্য সবাইকে নিয়ে ঘুরতে ছেলেদের খুব ভালো লাগে। বউকে নিয়ে ঘুরতে গেলে বোরিং লাগে এটা তো বুঝি ভাই।
লে হালুয়া,,, দিদিভাইও আমার পক্ষে নাই 🤔☹️। সময় সব উত্তর দিয়ে দেবে। তবে আমার বউকে শপিং করতে আপনার সাথেই পাঠাবো এটা কনফার্ম 😀
একদম ঠিক কথা।আমিও একমত।বউ তো আর ছেড়ে যাবে না,তাই আর কি😜😜
ছেলেরা বুঝি এমনই হয়,মার্কেটে ঢুকতেই বলা শুরু করে,বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবেনা। তাই মেজাজ খারাপ লাগে।আমারও শপিং মলে ঘুরে ঘুরে ম্যাচিং করে কথা কিনতে ভালো লাগে।বৌদি কি কি কিনলেন দেখাবেন কিন্তু, আপনারা শপিং করেন আর আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শপিং মল স্বপ্ন দেখি😜😜।আর বাচ্চাদের কথা কি বলবো,এরা তো সব সময়ই এমন😄😄
হ্যা ঠিক বলেছেন আপু কেনাকাটার বিষয়ে সময় দিতে চায় না।আপনাদের দাদার জন্য কেনাকাটা করি তারপর একসাথে দেখাবো। ধন্যবাদ আপু
সুন্দর সুন্দর নতুন নতুন ড্রেস পরা দুইজনের ছবি দেখবো😜😜।হা হা
প্রথমে আমাদের সোনাবাবু টিনটিনের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। জন্মদিন উপলক্ষে এবং পূজার জন্য অনেক কেনাকাটা করতে হবে। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে শাড়িতে মেয়েদের খুবই ভালো লাগে। শাড়ি পরা মেয়ে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি শাড়ি পড়লে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে। আর এই পূজা এবং টিনটিন বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটার ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে।
আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর মুচকি মুচকি হাসছিলাম।কি সুন্দর ভালোবাসা আপনাদের।আর আসলেই আপনি ভাগ্যবান সবাই কত্ত ভালোবাসে আপনাকে।আর টিনটিনের ছবি দেখতে পাবো ভেবেছিলাম কিন্তু পেলাম না।