টিবাঙালি রেসিপি " নারকেল বাটা দিয়ে শাপলা চিংড়ি ভাজি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমি শাপলা চিংড়ি ভাজি শেয়ার করবো। কিছুদিন আগে বাজার থেকে শাপলা এনেছিলাম।শাপলা দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজি করছি। এটি অনেক মজার একটি খাবার। চলুন আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১. শাপলা
২. চিংড়ি মাছ
৩. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৪. আদা ও রসুন বাটা - ১ চামচ
৫. হলুদ - ২ চামচ
৬. লবণ - পরিমান মতো
৭. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
৮. নারকেল বাটা - ১ কাপ
৯. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
১০. কাচা মরিচ - ৫ টি
১১. সাদা তেল - ১ কাপ
১২. গোটা জিরা -১ চামচ
শাপলা
নারকেল বাটা
চিংড়ি মাছ
পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন বাটা, লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া , শুকনো মরিচ গুঁড়া ও কাচা মরিচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে চিংড়ি মাছ গুলো মেখে নিতে হবে।
২. এবার চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হলে সামান্য জিরা দিতে হবে। জিরা ভাজা হলে লবণ ও হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে তুলে নিতে হবে।
৩. এবার ওই বাকি তেলের ভিতর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ কুচি গুলো ভাজা হয়ে গেলে একে একে পরিমান মতো আদা ও রসুন বাটা, লবণ, হলুদ ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে এক সাথে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
৪. মসলা কষানো হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে আবারো কিছুক্ষন কষিয়ে নিতে হবে। চিংড়ি মাছের ভিতর নারকেল বাটা দিয়ে দিতে হবে। নারকেল বাটার ভিতরে কাটা শাপলা গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৫. এবার শাপলার ভিতর কয়েকটি কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে। এরপর ৫ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। শাপলা থেকে জল শুকিয়ে গেলে ভালো করে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। এবার শাপলা গুলোর গা মাখা ঝোল থাকতে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু শাপলা চিংড়ি ভাজি। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
বৌদি এই প্রথম জানলাম শাপলা চিংড়ি ভাজি। আমি জীবনে খাইনি। তবে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম নতুন একটা ইউনিক রেসিপি। নারকেল বাটা আর চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে সেই সুস্বাদু হয়।আপনার রান্না ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার হয়ছে।টমেটো দিয়ে বানানো গোলাপ টা আমার অনেক সুন্দর লাগে। বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এই রকম একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমাদের বাজার থেকে শাপলা কিনে আনার প্রয়োজন হয় না। আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক শাপলা। যাই হোক আমি রেসিপিটির টেস্ট সম্পর্কে অবগত। জাস্ট অসাধারণের রেসিপি আর চিংড়ি মাছ হলে তো কোন কথাই নেই।
আহা কি সুস্বাদু দেখতে! কখনওই নারকোল বাটা দিয়ে খাই নি। শাপলার ডালটাই বেশী হয় বাড়িতে। বড় জোড় শুধু চিংড়ি দিয়ে। এবার ভাবছি একদিন নারকোল আর চিংড়ি দুই সহযোগেই বানাবো।
না বৌদি আমি একদমই ভালো নেই, জ্বর, সর্দি, সব একসাথে ধরেছে। যাই হোক এভাবে নারিকেল বাটা ও চিংড়ি দিয়ে শাপলা খাওয়া হয়নি,তবে ইলিশ ও সরিষা বাটা দিয়ে খাওয়া হয়েছে। একদিন এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবো।ধন্যবাদ
এই সর্দি এখন প্রতি ঘরে ঘরে। আমার ও বেশ কিছুদিন ধরে মাথা ব্যাথা, জ্বর লেগেই আছে। সাবধানে থাকবেন আপু। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখুন অনেক টেস্টি একটি খাবার।ধন্যবাদ আপু
হ্যা,সাথে ডায়রিয়া তাই বেশ দুর্বল হয়ে গেছি।হ্যা একদিন খেয়ে দেখবো, তারপর কিন্তু আমি জানাবো।
ওয়াও দিদি সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। নারকেল বাটা দিয়ে চিংড়ি ও শাপলা রান্না করে খাওয়া যায় আমার জানা ছিল না। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। যাইহোক রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা দারুণ হয়েছে। নারকেল বাটা দিয়ে শাপলা চিংড়ি ভাজি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নারিকেল বাটা দিয়ে শাপলা চিংড়ি বেশ স্বাদের ও চমৎকার রেসিপি।নারিকেল বাটা দেওয়াতে স্বাদ দ্বিগুণ হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।তবে বৌদি আমার কাছে এটি ভাজা রেসিপি মনে হচ্ছে না ,বেশ মাখা মাখা রসা রেসিপি মনে হচ্ছে।যাইহোক চিংড়ি সবসময় প্রিয় ,শাপলা শুধু ভাজিই বেশি খাওয়া হয় বাড়িতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
নারকেল বাটা দিয়ে শাপলা চিংড়ি ভাজি রেসিপিটি ইউনিক একটি রেসিপি হয়েছে। আমি শাপলা দিয়ে করা কোন রান্না এখনো খেয়ে দেখিনি। আপনি এত সুন্দরভাবে রান্না করা দেখিয়েছেন মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। নারকেল বাটা নিশ্চয়ই স্বাদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সবার শেষে ফুল দিয়ে পরিবেশন চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি।
নারকেল বাটা দিয়ে চিংরি মাছের রেসিপি এটা আমই প্রথম দেখলাম।এমন রেসিপি আগে খাইনি বা দেখিনি।দিদি আপনি মানেই একটা নতুন রেসিপির উদ্ভাবন সত্যি বলতে দারুন হয়ছে আপনার রেসিপিটা এবং গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
রেসিপি টা কিন্তু একেবারেই ইউনিক ছিল বৌদি। শাপলা এর সঙ্গে চিংড়ি আবার নারিকেল বাটা। বেশ দারুণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা। তবে টিবাঙালী এই নামটা বেশ ভালো এবং আকর্ষণীয় ছিল।।
ঠান্ডা আর গলা ব্যাথা নিয়ে বেশ ভুগছি 😢। ভালো আর থাকতে দিল কই। তবে দিদিভাই এই শাপলা যে খাওয়া যায় এটা আমি এই আমার বাংলা ব্লগে প্রথম দেখলাম। একদম আইডিয়া নেই কেমন খেতে। রান্নার উপকরণ বলে দিচ্ছে দারুন মজার হবে। কারণ চিংড়ি মাছ আর নারিকেল বাটা যেখানে আছে সেখানে মজা না হয়ে উপায় কই! দিদিভাইয়ের রান্না সব সময় সেরা 😊😊