বাঙালি রেসিপি" মশলা আলু পনির"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো " মশলা আলু পনির" ।এটি অনেক সুস্বাদু একটি খাবার।পনির দুধ দিয়ে তৈরি করতে হয়। পনির একটি উপকারী খাবার। এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর উপকারিতা পরে এক সময় বলবো। এখন আমরা মূল রেসিপিতে ফিরে আসি।
উপকরণ:
১. পনির - ২৫০ গ্রাম
২. আলু - ১ টি
৩. তেল - ১ কাপ
৪. গোটা জিরা - ১ চামচ
৫. তেজ পাতা - ২ টি
৬. লবণ -২ চামচ
৭. হলুদ - দের চামচ
৮. জিরা গুড়া - ১ চামচ
৯. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
১০. গরম মশলা - ১ চামচ
১১. টমেটো কুচি - বড় সাইজের একটি
১২. আদা বাটা - এক চামচ
১৩. কাচা মরিচ বাটা - ১ চামচ
১৪. দারচিনি - ১ টুকরো
১৫.
পনির
আলু কুচি , টমেটো কুচি
তেজ পাতা, ও দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ
আদা বাটা ও কাচা মরিচ বাটা
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, তেল ও গরম মশলা।
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে পনির ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
২. কাটা পনির গুলো সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে।
৩. আলু ও ছোটো ছোটো করে কেটে নিতে হবে। টমেটো কুচিয়ে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
৪. চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিতে হবে।
৫. তেল গরম হলে পনির গুলো দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। কেটে রাখা আলু ও হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
৬. হালকা বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে। বেশি ভাজলে পনির শক্ত হয়ে যায়। ভাজা হলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৭. একই কড়াইতে আবার তেল দিয়ে তেজ পাতা , কাচা মরিচ বাটা পরিমান মতো দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে।
৮. এবার টমেটো কুচি দিয়ে দিতে হবে। এবং আদা বাটা ও কাচা মরিচ বাটা দিয়ে ও পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
৯. মশলা কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা আলু দিয়ে আবারও কষিয়ে নিয়ে ২ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে।
১০. ঝোল ফুটতে শুরু করলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ১০ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে। এরপর ঢাকনা তুলে নিয়ে ভেজে রাখা পনির গুলো দিয়ে দিতে হবে।
১১. এরপর আরও ৫। মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের "মসলা আলু পনির"। এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটি গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করা ।
পনির কখনো ট্রাই করিনি।তবে আপনার এই রেসিপিটা ভাল্লাগলো।আম্মুকে বলবো বানানোর জন্য।
নতুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে এটা আমি আগে কখনো খাই তবে নাম শুনেছি খাওয়ার ইচ্ছে ছিলো।এখন আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম একদিন আমি বানিয়ে খেয়ে দেখবো।ধন্যবাদ বৌদি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। রেসিপির বর্ণনা অনেক গোছালো এবং ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি রেসিপিটি।আমিও আজ ভাবছিলাম রেসিপিটি শেয়ার করবো কিন্তু তার আগেই আপনি শেয়ার করে দিলেন।আপনার রেসিপিটি দারুণ হয়েছে।আমি পনির খুব পছন্দ করি।ধন্যবাদ বৌদি।
এই পনিরের নাম আমি অনেক শুনেছি। কিন্তু এটা কখনো দেখি নাই। পশ্চিমবঙ্গে পনির একটি জনপ্রিয় খাবার। আপনার রেসিপি টা সুন্দর লেগেছে।
মজার একটি রেসিপি বৌদি এটা। ইন্ডিয়াতে ঘোরার সময় এমন একটি বাড়ি নেই যেখানে এই পনির খাইনি । অসম্ভব মজার একটি খাবার। ইন্ডিয়াতে সুন্দর প্যাকেট করে দোকানে দোকানে কিনতে পাওয়া যায় পনির। কিন্তু বাংলাদেশে এভাবে পাওয়া যায় না। তাই খুব একটা খাওয়া হয়ে ওঠে না। মাঝে মধ্যে মা বাড়িতে দুধের ছানা কেটে পনির তৈরি করে। এমনভাবেই খাওয়া হয় এখানে।
বৌদি আপনি অলওয়েজ সেরা । সুন্দর বানিয়েছেন রেসিপিটা ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনার রেসিপি টি খুবই স্বাদের হয়েছে মনে হচ্ছে।দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।যদিও এই জাতীয় খাবার এখন পর্যন্ত খাওয়া হয় নি।আপনার টা দেখে লোভ হচ্ছে।
দেখেই মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক সু্স্বাদু হয়েছে।রেসিপিটা এই প্রথম দেখলাম দিদি।আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ দিদি
পনির দিয়ে আমি কোনদিনও কোন রেসিপি করি নাই, তবে টিভির সিরিয়ালে দেখেছি পনির দিয়ে অনেক ধরনের রান্না হয়। আমি ট্রাই করবো একদিন আপনার রেসিপিটি।