বাঙালি রেসিপি "টক মিষ্টি জলপাই ভাজি"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব "জলপাই ভাজি"। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি। এখন বাজারে প্রায় জলপাই দেখা যায়। জলপাই আমার খুবই ভাল লাগে। জলপাই দিয়ে অনেক মুখোরসক খাবার তৈরি করা যায়। আমি কলেজ জীবনে থাকতে প্রায় এই খাবার খেতাম। এটি রান্না করতে খুব বেশি সময় ও লাগে না। অনেক তাড়াতাড়ি রান্না করা যায়। আমাদের বাসার সবাই জলপাই পছন্দ করেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণঃ
১. জলপাই - ২৫০ গ্রাম
২. চিনি - ২ চামচ
৩. লবণ - ১ চামচ
৪. হলুদ - ১ চামচ
৫. কালো সরিষা - ১ চামচ
৬. সরিষার তেল - ২ চামচ
জলপাই
চিনি
লবণ, হলুদ, কালো সরিষা ও সরিষার তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে জলপাই দুই পাশ কেটে নিতে হবে এরপর জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।
২. এরপর চুলার ওপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে । কড়াইতে তেল দিয়ে দিতে হবে।চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৩. তেল গরম হয়ে এলে কালো সরিষা দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে কেটে রাখা জলপাই দিয়ে দিতে হবে। জলপাইয়ের ভিতরে এক চামচ লবণ, এক চামচ হলুদ, দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে নিয়ে ২ মিনিটের মতো ভেজে নিতে হবে।
৪. জলপাই ভাজা হলে ১ কাপ এর মত জল দিতে হবে।এবার চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে ২ চামচ চিনি দিয়ে দিতে হবে।
৫. এরপর ৫ মিনিটের মতো রান্না করে নিতে হবে।যখন দেখবেন জলপাই সেদ্ধ হয়ে গেছে এবং ঝোল গাঢ় হয়ে কমে গেছে তখনই লবণ টেস্ট করে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু টক মিষ্টি জলপাই ভাজি। এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে তাহলে আমার রেসিপি দেখে ঝটপট করতে পারেন।
জলপাই এর রেসিপি টা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। জলপাই এর কথা শুনলেই আমার সেই ছোট বেলার একটা গল্পের কথা মনে পরে যায়। আজ ও তার ব্যাতিক্রম নায়। জলপাই খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তবে কাঁচা জলপাই টা বেশি ভালো লাগে।
জলপাই এমন একটা ফল যে ভাবে খাওয়া হয় সেই ভাবে ভালো লাগে।
আপনি জলপাই দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসছে খুবই সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
হ্যা, এটি খুব ই টেস্টি ছিল।আপনি একদিন ট্রাই করে দেখুন।
😍😍😍
আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের উপহার দিয়েছেন জলপাই বাজি। মুখরোচক খাবারের মধ্যে জলপাইয়ের কোন তুলনাই হয়না। টক জাতীয় যেকোনো ফল আমার খুব প্রিয় জলপাই এর ব্যতিক্রম নয়। আপনি অনেক সুন্দর করে জলপাই ভাজি রেসিপি টা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
দুপুরে গরম এর সময় ভাবি এই আচার টা যা লাগবে খেয়ে 😋😋😋। খুব সহজ একটা রেসিপি। চাইলে তৈরি করা ফেলা পসিবল। ভালোবাসা রইল আপনার পরিবারের সকলের জন্য ভাবী।🥰🥰😍😍
ধন্যবাদ ভাইয়া,এটা রান্না করা খুব সহজ।
জলপাই আমরা আচার বানিয়ে খাই, ভাজি করে কখনো খাই নি। একদিন টেস্ট করতে হবে। তাবে অনেকটা আচার বানানোর মতই শুধু পাচফোরন দেন নাই। আচারে পাচফোরন দেওয়া হয়।
ভাজিতে পাঁচ ফোড়ন দেওয়া যায় কিন্তু আমার কাছে গন্ধ লাগে। তাই পাঁচ ফোড়ন খাই না। আমি প্রতিবছর আচার তৈরি করে থাকি।
আপনার রেসিপিটি খুবি সুন্দর হয়েছে, রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছিল । রেসিপিটি দেখে জলপাই খাওয়ার কথা মনে পরলো,ছোট বেলা এই জলপাই গাছ থেকে জলপাই চুরি করে বাবার হাতে মার খেয়ে ছিলাম। যাইহোক আপু আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি জলপাই ভাজি রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো। জলপাইয়ের আচার অনেক খেয়েছি কিন্তু এভাবে জলপাই ভাজি রান্না কখনো খাইনি। দিদি আপনি খুব সহজ ও অসাধারন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। জলপাই ভাজিও খুব টেস্টি। আপনি একবার ট্রাই করে দেখুন।
জলপাই আমার অনেক অনেক বেশি প্রিয়। আর আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন তাতে তো একেবারে জিভে জলে আসলো।দেখেই বুঝা যাচ্ছে টক মিষ্টি জলপাই ভাজটি আসলে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। জলপাই হাতের কাছে পেলে অবশ্যই আপনার রেসিপিটি ট্রাই করবো অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
🥰🥰🥰
দিদি দিলেন তো জিভে জল এনে এই জিনিস্টা আমাদের এইদিকে ফেরি করে বিক্রি করে বেরায় অনেকে আমি মাঝে মধ্যেই খাই।অনেক সুন্দর লাগে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা দিদি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জলপাই আচার খেয়েছি অনেক। কিন্তু এই প্রথম জলপাই ভাজি দেখলাম। আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লাগলো। বাড়ির গিন্নিকে একদিন ট্রাই করতে বলা যেতে পারে।
জিভে জল চলে আসলো বৌদি। 😊
বাড়ীতে ট্রাই করে দেখুন খুব টেস্টি একটি খাবার।