টিনটিন বাবুর জন্মদিনের কিছু ফটোগ্রাফি

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। কাল আমার বাবুর জন্মদিন ছিলো। আমি আগেই বলেছি এই দিনটি আমাদের কাছে খুবই স্পেশাল। এই দিনে আমাকে প্রথম যখন নার্সরা ওকে দেখিয়েছিলো তখন আমি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম। একদিকে মনে হয়েছিলো আমার এ জীবন সার্থক আজ। আসলে তখন যে অনুভূতি কাজ করছিলো সেটা বলে বোঝানো যায় না। যারা মা - বাবা হয়েছেন তারাই এটা ভালো ভাবে বুঝতে পারবে। যাই হোক তবে আমি আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলেই আপনারা আমার একটা পরিবার। কাল আপনারা এত দূরে থেকেও এত সুন্দর ভাবে আমার বাবুর জন্মদিন পালন করেছেন এবং নিজেরা নিজেদের মতো করে আনন্দ করেছেন । সবার আনন্দ অনুভূতি গুলো প্রকাশ করেছেন যা দেখে আপনাদের দাদা ও আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি কাল কম বেশি সবারই পোস্ট দেখেছিলাম এবং বাবুকে ও দেখিয়েছিলাম। বাবু এখনও কিছু বোঝে না। তবে যেদিন বোঝার মতো সেদিন আমি আবার ওকে সবকিছু দেখাবো এবং আপনাদের সবার কথা বলবো। কাল আমি মাঝে মাঝে আপনাদের দাদার সাথে শুনছিলাম তবে ব্যাস্ততার জন্য শেষ পর্যন্ত শুনতে পারিনি। তবে যেটুকু শুনেছি এতেই আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি আপনাদের সবার কৃতজ্ঞ। আমি কখনো ভাবিনি যে দূর দেশে ও আমার বাবুর জন্মদিন এত সুন্দর ভাবে পালন করা হবে। আপনারা সবাই কতটা আমার বাবুকে ভালোবাসেন কাল সেটা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেছে।
আমি আপনাদের দাদার মতো থাকতে পারি না আপনাদের মাঝে।সেজন্য আমার খারাপ লাগে। কিন্তু আমি সবকিছু সামাল দিয়ে সত্যি পেরে উঠি না। পুরো পরিবারের সবকিছু আমার হাতে। আমি ছাড়া আমার পরিবারের কেউ কিছু করতে পারে না। এরপর উপর আমার বাবু আছে। এখন স্বাগতা একটু একটু জানে ও বুঝতে পারে আমার সারাদিন কিভাবে যায়। তবে আপনাদের দাদা আমাকে সবকিছু জানায়।আমি আপনাদের সাথে না থাকতে পারলে ও আপনাদের সবাইকে আমার পরিবার মনে করি।