"স্মৃতির পাতা থেকে জাদুঘরের সংরক্ষণ করে রাখা হাতির দাঁতের তৈরি সামগ্রীর ফটোগ্রাফী"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ এটি ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হাজির হলাম। আসলে আজ আমার মনটা খুব খারাপ।কালকের দিনটি খুব সুন্দর ভাবে পরিবারের সবার সাথে আনন্দ করেই দিনটি কাটিয়েছি। কিন্তু সকালে যে আমার জন্য খারাপ খবর আসতে পারে তা ভাবিনি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই মা ফোন দিলো আমার প্রিয় মানুষটির কাছে। যে আমার দাদু আর নেই। আজ সকালেই মারা গিয়েছে। মায়ের সাথে কথা বলার সময় আমার থেকে দূরে যাওয়াতে বুঝতে পেরেছি কিছু একটা হয়েছে। ও আমার থেকে কিছু লুকায় না। কার সঙ্গে কি কথা হয় সবই আমাকে জানায়। যাই হোক কথাটি শুনার পর থেকে মনে হলো যেনো আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। আমাদের দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। আর আমার ও বিয়ের পর থেকে দাদুকে দেখিনি। দাদু হলো আমার মায়ের বাবা। আজ পোস্ট করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কি লিখবো বা বলবো কিছুই আমার মনে আসছে না। শুধু মাত্র প্রিয় মানুষটির কথা শুনে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাই ভাবলাম জাদুঘরের কিছু হাতির দাঁতের তৈরি কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যদি ও আমার প্রিয় মানুষটি এখনও আপনাদের সাথে শেয়ার করছে। একই জিনিষ বার বার দেখতে ভালো লাগে না। তাই আমি আজ অল্প কিছু ছবি শেয়ার করছি।
হাতির দাঁতের তৈরি আগ্রার তাজমহল।
হাতির দাঁতের তৈরি পালকিতে বউ নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য তৈরি।
হাতির দাঁতের তৈরি গরুর গাড়ি ।
হাতির দাঁতের তৈরি বালক গোপাল
হাতির দাঁতের মহিষাসরমর্দিনী।
হাতির দাঁতের তৈরি গণেশ ।
খুবই মর্মস্পর্শী খবর।শুনে খারাপ লাগছে , আপনার দাদুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।দাদু-দিদা ভালোবাসার একটি বড়ো অংশ হয়ে থাকে মানুষের জীবনে।মন খারাপ করবেন না বৌদি,সবই ঈশ্বরের ইচ্ছে।
ছবিগুলি খুবই সুন্দর, হাতির দাঁতের যে কতটা মূল্য তা এই কারুকাজ গুলি দেখলে বোঝা যায়।শুভকামনা রইলো বৌদি।
বৌদি আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে সত্যিই আমি আনন্দিত। হাতির দাঁত দিয়ে এত সুন্দর ভাস্কর্য গুলো তৈরি করেছে অসাধারণ। আমার খুবই ভালো লেগেছে। ভাস্কর্য দেখে আমি আনন্দিত হয়েছি। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
বৌদি জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রাচীনকালের এই জিনিসগুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে। হাতির দাঁতের অনেক মূল্য হয় জানতাম তবে আজকে সেগুলোর কিছু নিদর্শন দেখতে পেলাম আপনার সংরক্ষিত ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। প্রতিটি নিদর্শন খুবই চমৎকার ভাবে এবং নিপুণভাবে কারুকার্য করা। ধন্যবাদ আপনাকে এই সংরক্ষিত জিনিসের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হাতির দাঁত দিয়ে যে এত সুন্দর সুন্দর প্রাচীনকালের জিনিস বানানো হয়েছে, আসলে এটা বৌদি আপনি যদি আমাদের সাথে শেয়ার না করতেন, তাহলে জিবনেও দেখা হতো না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে স্মৃতির পাতা থেকে জাদুঘরের সংরক্ষণ করে রাখা হাতির দাঁতের তৈরি সামগ্রীর ফটোগ্রাফী আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
এই রকম কারুকাজগুলো আমাকে দারুণভাবে আকর্ষীত করে এবং নিখূঁত কাজগুলো দেখে বেশ অবাক হয়ে যাই। সত্যি তাদের কত সুন্দর দক্ষতা ছিলো, হাতির দাঁতের মাধ্যমে কিছু সুন্দরভাবে মূর্তিটি তৈরী করেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।খুবই দক্ষতার সাথে কাজটি করেছেন দেখে বুঝা যায়।
দাদার পোস্ট থেকে কিছুটা আচ করতে পেরেছিলাম কিছু একটা হয়েছে পরিবারে। দাদাও তার পোস্টে লিখেছিলেন মন খারাপের কথা। আপনার কথায় বুঝতে পারলাম মন বিক্ষিপ্ত হওয়ার একটি কারণ। যাইহোক কেউই চিরকাল বেঁচে থাকে না। যার সময় যখন শেষ হয়ে যায় তখন তাকে চলে যেতে হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আপনি আমি কেউই এর ঊর্ধ্বে নই। প্রার্থনা করি আপনার দাদু যেন পরকালে শান্তিতে থাকেন। সুন্দর এই ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি
হ্যা ভাইয়া ঠিকই বলেছেন। কেউই চিরকাল বেঁচে থাকে না।সবাই কে এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়।
খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৌদি। জাদুঘরে এসব জিনিস সংরক্ষণ করে রাখা থাকে বলে আমরা প্রাচীন কালের নিদর্শন সম্পর্কে জানতে পারি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য ও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সমবেদনা প্রকাশ করছি আপু🥺। সৃস্টিকর্তা আপনাদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক। আর আপু এটা বেশি অবাক লাগলো যে আপনার বিয়ের পর থেকেই আপনার দাদুর সাথে দেখা হয়নি।
যাইহোক হাতির দাঁতের পালকিটি বেশ অসাধারণ ছিল। একসাথে নতুন নতুন অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত কষ্টের মধ্যেও আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা রইল ❣️❣️
আমার মামার বাড়ি অনেক দূরে, তাই আর দেখা হয় নি।
শুরুতেই এমন কথা বললে দিদি, দাদুর চলে যাওয়া লেখা টা পড়তেই বুকের ভেতরে একটা চমকে উঠলো। দাদু যে জীবনের কতটা অংশ জুড়ে জড়িয়ে থাকেন সেটা আলাদা করে বোঝানোর কিছু নেই। দাদু আমার প্রাণ এখনও। আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন আজ অনেক বছর হলো। কি যে একটা শূন্যতা, যেটা কখনোই পূরণ হবার নয়। ভেঙ্গে পরো না দিদি, দাদু সাথেই আছেন আমাদের। উপর থেকে সব দেখছেন এবং আশীর্বাদ করছেন।
আর এই শিল্প কর্ম গুলো আমাকে পাগল করে দেয় গো। হাতির দাঁত দিয়ে এত কিছু সম্ভব কি করে! চমকে দেওয়ার মত কাজ একদম।
হ্যা দিদি ঠিক বলেছো। দাদুর জন্য মনটা খুব খারাপ লাগছে।দাদু দিদা আমার প্রাণ ছিলো। দাদুর মুখটা দেখতে পারলাম না এটাই খুব কষ্ট লাগছে দিদি।
হাতির দাঁতের তৈরি সামগ্রীর ফটোগ্রাফী খুবই সুন্দর হয়েছে বৌদি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এগুলো খুবই নিখুঁত কারুকার্য করা। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি আগ্রার তাজমহলটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বৌদি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন কারুকার্য দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।