"আন্তর্জাতিক বইমেলায় কাটানো একটি দিন"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আপনারা সবাই জানেন আমরা ২ ই মার্চ ২০২২ বুধবার কোলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় গিয়েছিলাম। এটি ৪৫ তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। আমরা প্রতিবছর বইমেলায় গিয়ে থাকি। কিন্তু গত দুই বছর আমি যেতে পারি নি করোনার জন্য। তারপর টিনটিন বাবু ছোট ছিল। কোলকাতার বইমেলা সবথেকে বড় বই মেলা। বইমেলায় ঢোকার জন্য ৯ টি গেট রয়েছে। এখানে ২০০ টির অধিক বইয়ের স্টল রয়েছে। এই বইমেলা শুরু হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ই মার্চ পর্যন্ত চলবে। আমরা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পয়েলা মার্চ যাবো। কিন্তু সেদিন ছিল শিবরাত্রি। তাই ভাবলাম পরেরদিন যাবো। আর তোমাদের দাদার সবথেকে প্রিয় জিনিস হলো বই। তাই ও কোনো বছর এই বই মেলায় যেতে ভুলে না। ও প্রচুর পরিমাণে বই কিনে এবং পড়ে। তার প্রমাণ আপনারা নিশ্চয়ই পেয়েছেন। এমন কোন দিন নেই যে ও বই কিনে না। প্রতিদিন অনলাইনে বই অর্ডার দেয়। আর যে শুধু কিনে তা নয় সময় পেলে বই পড়ে। বই না পড়ে ঘুমায় না। শুধু যে বইমেলা থেকে বই কিনা হয় তা নয়। কয়েকমাস পর পর কলেজস্ট্রিটে যাওয়া হয় বই কিনতে।
মঙ্গলবার সারারাত ঘুমায়নি শিবরাত্রি পালন করছিলাম। এরপর সকালে তাড়াতাড়ি ঘরের সব কাজ সেরে নিলাম। সারারাত জাগার জন্য পরেরদিন শরীর চলছিলো না কিন্তু ওই যে তাকে কথা দিয়েছি বইমেলায় যাবো। আমি কাউকে কথা দিলে তা জীবন দিয়ে হলেও তা রক্ষা করার চেষ্টা করি। আর আমি এক কথার মানুষ আর প্রচন্ড একঘেয়েমি। যাই হোক থাক ওসব কথা। এরপর আমি সবকাজ সেরে টিনটিন বাবুকে স্নান করিয়ে রেডি করিয়ে দিলাম। আপনারা জানেন টিনটিন বাবু ১২ টার আগে ঘুম থেকে উঠে না। ওর বাবার মতো রাত করে ঘুমায়। আর একবারে দুপুরে ভাত খায়। এটা ওর অনেক ছোট থেকে অভ্যাস। আপনারা জানেন আমাদের সাথে @winkles গিয়েছিলো। আমরা প্রায়ই তাকে নিয়ে যাই। ওকে আমাদের পরিবারের একজন মনে করি। ও খুব ভালো ছেলে। আমরা প্রায়ই ২ টার দিকে রওয়ানা দিয়েছিলাম। বইমেলায় যেতে আমাদের ১ ঘণ্টা সময় লেগেছিলো।
আমরা ৭ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকেছিলাম। বইমেলায় ঢুকে আমরা তুলি কলম পাবলিকেশন এর দোকানে গিয়ে বই দেখতে লাগলাম। দোকানে ঢুকে টিনটিন বাবু বই দেখে খুব খুশি। টিনটিন বাবু ও বই খুব পছন্দ করে। এখন থেকে আমরা ৯ টি বই কিনেছিলাম। আমার ও বই। কিনতে ও পড়তে ভালো লাগে। আমি ও সময় পেলে বই পড়ি। আমার মনে হয় কোথাও আড্ডা দেওয়ার থেকে বই পড়া ভালো। বই হচ্ছে আমাদের জীবনের পরম বন্ধু।এক জন আরেকজনকে ছেড়ে চলে যায় কিন্তু বই কখনও মানুষকে ছেড়ে যায় না। আর বই থেকে আমরা অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারি। আসলে সেদিন বই দেখে মেলায় ঘুরার কথা মনে ছিলো না। শুধু একের পর এক বই কিনেছি।
এরপর আমরা কিছুক্ষন ঘুরে লালমাটি প্রকাশন গিয়ে আরও কয়েকটি বই নিলাম। এরপর কল্পবিস্ব পাবলিকেশন গিয়ে ১০ টি বই নিলাম ।এরপর কিছু টিনটিন বাবুর জন্য বই নিলাম। এত গুলো বই নিয়ে আর মেলায় বেশি ঘুরাঘুরি করতে পারলাম না। তাই ওকে বললাম পরে একদিন আবার আসবো। এত বই নিয়ে হাঁটতে কষ্ট হয়। ও আমার কথায় রাজি হয়ে গেল। এরপর আমরা খাবারের স্টলের সামনে গিয়ে একটু চেয়ারে বসলাম।টিনটিন বাবু বায়না ধরলো আইসক্রিম খাবে। এরপর টিনটিন বাবুকে দুটো আইসক্রিম কিনে দিলাম। আর আমি বললাম বাসায় কিছু খাবার নিয়ে চলো। আমি এখানে কিছু খাবো না। ও আমার জন্য অনেক রকম খাবার নিয়ে আসলো। এরপর আমরা মঞ্চের সামনে বসে কিছুক্ষন গান শুনছিলাম।
এরপর আমরা সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।সব মিলিয়ে দিনটি খুব ভালো কেটেছিলো।
আসলে বই মেলায় যেতে আমারো অনেক ভালো লাগে। দোকানে দোকানে ঘুরে বই দেখতে।যাই হোক টিনটিন বাবু মনে হচ্ছে অনেক মজা পেয়েছে। আসলে বই পড়ুক বা না পড়ুক নতুন নতুন বই কিনে বইয়ের ভিতরের নতুন নতুন ছবি দেখতে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।
প্রিয় বৌদি, আপনি ঠিক কথাই বলেছেন, জীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে বই। একজন আরেক জনকে ছেড়ে চলে যায় কিন্তু বই কখনো মানুষকে ছেড়ে যায়না। আপনার এই মূল্যবান কথাটি অন্তরে গেঁথে নিলাম। খুবই সুন্দর একটি কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনি যে বই পাগল, তা আপনার ভাষা, আপনার কথা, ও আপনার লেখায় প্রকাশ পায়। বই কিনতে কিনতে মেলায় ঘুরাঘুরির কথাই ভুলে গেলেন। বইকে কি পরিমাণ ভালবাসলে একটি মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরির কথা ভুলে যাওয়া যায় তা আপনাকে না দেখলে বোঝা যায় না। মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর ঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার পোস্টের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বইমেলায় কাটানো দিনটি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি।
বইমেলা নিঃসন্দেহে অন্যান্য সকল মেলার থেকে আলাদা। আমাদের দেশেও বইমেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু কলকাতার এটা আন্তর্জাতিক। এখন থেকে টিনটিনকে বইমেলায় নিয়ে যাচ্ছেন ভবিষ্যতে টিনটিন এর উপর এর একটা ভালো প্রভাব পড়বে। আপনার এবং দাদার ছেলে যে বইপোকা জ্ঞানপ্রেমি হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক সুন্দর ছিল পোস্ট টা বৌদি।
যদিও গতরাতে দাদার মুখ থেকে আপনাদের বইমেলার ঘোরাঘুরির ঘটনাটা আমরা শুনেছি, তবে ভালই লাগলো আপনার অনুভূতি জেনে । টিনটিন দেখি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে বৌদি । ওর প্রতি যত্ন নিবেন , শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
বইমেলা যেতে আমার ও অনেক ভালো লাগে আর বিশেষ করে বই হচ্ছে একজন মানুষের উত্তম সঙ্গী
বৌদি আপনি করোনার বিপর্যয় কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পরে বই মেলায় গিয়েছেন। এর মাধ্যমে আপনি সাহিত্যের প্রতি ভালবাসার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া আপনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে এসেছেন এবং বইমেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু খুব ভালো একটি দিন কাটিয়েছেন টিনটিন বাবুর মুখের হাসি বলে দিচ্ছে। দিবারাত্রি পালন করে বই মেলায় যাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। যাই হোক আপু আমার কাছে আপনার একটি কথা অনেক ভালো লেগেছে আপনি এক কথার মানুষ। কথা দিয়ে যারা কথা রাখে তারা আসলেই অনেক ভাগ্যবান।
বৌদি বইমেলায় আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনার লেখাটা পড়ে বুঝতে পারলাম। আসলে বই মেলায় গেলে বেশ ভালই লাগে। বিভিন্ন রকমের বই কিনে মনে অন্যরকম প্রশান্তি পাওয়া যায় ।আপনারা দুজনই যেহেতু বই পড়তে পছন্দ করেন সেহেতু বইমেলা আপনারা খুবই ভালো উপভোগ করেছেন ।আর ছবিতে টিনটিন বাবুকে বেশ বড় বড় লাগছে ।টিনটিন বাবুর জন্য অনেক আদর ও ভালোবাসা নিবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম সঠিক কথা বলেছেন বৌদি,আমার ও তাই মনে হয়।আমার ও বই কিনতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে।বিশেষ করে গল্পের বই আমার বেশি পছন্দের।টিনটিন বাবু ছোট থেকেই একদম দাদা ও আপনার মতোই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে যেটি জেনে খুবই ভালো লাগলো।আপনারা সবাই মিলে দারুণ সময় পার করেছেন।বইয়ের নতুন পাতার গন্ধ আমার খুবই ভালো লাগে বৌদি।টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।
বৌদি আপনি বই মেলায় খুব সুন্দর একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন। আমার কাছেও বই মেলায় যেত অনেক ভালো লাগে। টিএনটি সোনা খুব একটি সময় কাটিয়ে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল