ফটোগ্রাফি: জীবনে প্রথম বার লঞ্চ ভ্রমণ
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আগেই বলেছি আমি গ্রামের মেয়ে। কিন্তু গ্রামে খুব একটা থাকতে পারিনি। লেখাপড়ার জন্য বাইরে থেকেছি। তারপর ও গ্রাম আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে হ্যা বর্ষার সময় না। কারণ আমি জল কাদা একদম পছন্দ করি না। আর আমি জলে খুব ভয় পাই। আবার আমি সাঁতার পারিনা। আমার জলে নামতে ভীষণ ভয় লাগে। আমি কখনও নৌকাতে উঠিনি তারপর আবার লঞ্চ। আমি নদী পার হওয়ার কথা শুনলে আমার হাত পা কাঁপতে থাকে। তো রাখি উৎসবের পরের দিন ১২ ই আগস্ট শুক্রবার প্রথমবার লঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো।সেদিন আপনাদের দাদা প্রথমবার আমাকে রেখে কোথাও যাবে। আমি ও ওই দিন যেতে চাইনি আবার সে বললো তুমি আজ থেকো বাড়ীতে আমার বাড়ীতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। পুরো সারাদিনের দখল তোমার কষ্ট হয়ে যাবে। তুমি পারবে না। পরে আমি ও চিন্তা করে দেখলাম এটা ঠিক আমি পারবো না। এরপর তো সে রেডি হয়ে বের হওয়ার সময় আমার খুব খারাপ লাগছিলো। এই প্রথম বার ও আমাকে ছাড়া সারাদিন বাইরে থাকবে। হয়তো আপনারা অনেকে ভাবতে পারেন আমার কথা শুনে এটা একটু বেশি বাড়াবাড়ি। তবে এটা ঠিক আমরা বিয়ের পর এখন ও পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড়া কোথাও যায়নি। আর বিয়ের পর থেকে দেখে আসছি ও সারাদিন বাড়ীতে থাকে এবং কাজ করে। তাই বলতে পারেন সারাদিন আমার চোখের সামনে থাকে।এইভাবে চলতে চলতে আমি এখন ওকে বাড়ীতে থাকতে পারি না।কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।তাই ওকে বলছিলাম তুমি থাকছো না আমার ভালো লাগছে না।আমার সময় কাটবে না। তখন ও বললো তুমি ও কোথা থেকে ঘুরে এসো স্বাগতা কে নিয়ে। দেখবে ভালো লাগবে। আর গাড়ি তো আছে একটা বাড়ীতে। আর আমি তোমার সাথে কথা বলবো।
এরপর আমি স্বাগতা কে ফোন দিলাম।ওকে কখনও আমি সকালে ফোন দেই না। আমি ফোন দেওয়াতে খুব খুশি হলো। তখন আমি ওকে সবকিছু বললাম। ও আমার এক কথাতে রাজি হয়ে গেলো। আসলে সে ও খুব ব্যাস্ত থাকে ওর পড়াশুনা, কলেজ আছে। এরপর ও আমাকে বলে চলো আজ তোমাকে গঙ্গার ঘাটে ঘুরতে নিয়ে যাবো। আর একটা সারপ্রাইজ দিবো। দেখবে তোমার অনেক ভালো লাগবে দাদার থেকে বেশি মজা করবো। কিন্তু আসলে ওইদিন ওর কলেজ ছিলো আমাকে কিছু বলেনি। এরপর আমরা তো তাড়াতাড়ি স্নান করে খাওয়া দাওয়া করে ৩ টার দিকে রওনা দিলাম। টিনটিন বাবু সহ্ আমরা তিন জনে গিয়েছিলাম। স্বাগতা কলেজ করে বাড়ীতে না গিয়ে আমার সাথে বেরিয়েছিলো। আসলে ওর কিছু কিছু কাজ আমাকে অবাক করে দেয়। তারপর আমরা বাগবাজার গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলাম। আর ওই দিন বাবুও খুব বিরক্ত করছিলো।সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছিলো আর বলছিলো বাবা নেই। তখনই আমি বুঝতে পারছিলাম ওর বাবাকে খুঁজছে। এটাই তো স্বাভাবিক বাবু কখনো ওর বাবাকে ছাড়া কোথাও যায়নি এবং থাকেনি। সেই দিন স্বাগতা বাবুকে ঠান্ডা করার জন্য প্রচুর চেষ্টা করছিলো। যা আমি ওর মা হয়ে এখন ও করিনা।
ও বললো চলো লঞ্চে উঠি। আমি তো ভয়ে বলছি না থাক আমার নদী ও জলে খুব ভয় লাগে। কোন ভয় নেই আমি তোমাকে ধরে থাকবো। আমি তো রাজি হয় নি। ও আমাকে অনেক টা জোর করলো। ঠিক আছে উঠবো। এরপর টিকিট কেটে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। প্রায় আধা ঘন্টা পর লঞ্চ আসলো আমরা লঞ্চে উঠে পড়লাম। এই জীবনের প্রথম আমি লঞ্চে উঠেছি।আগামী পোস্টে বাকি গুলো শেয়ার করবো।আজ এই পর্যন্ত।
বিয়ের পর আপনারা এখন পযর্ন্ত একজন আরেকজনকে ছাড়া কোথাও থাকেননি এটাই প্রমাণ করে আপনাদের মধ্যে কত ভালোবাসা কত মিল। তবে বৌদি সাঁতারটা দ্রুত শিখে নেবেন। বেশ মজার জিনিস এই সাঁতার। আমি কখনো লঞ্চে উঠিনি তবে নৌকায় অনেক উঠেছি।।
আমার বেশ ভালে লাগে নৌকায় উঠতে তবে কখনো
লঞ্চে উঠা হয়নি আমার। যাইহোক দাদার আর আপনার কথা শুনে ভালো লাগলে দুজন দুজনকে ছাড়া এভাবে দিন অতিক্রম করেন্নি। আর সত্যি বলতে স্বাগতা আপুকে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে কষ্ট পেলাম আপনাদের ৩ জনের একটি ছবিও পেলাম না। আশাকরি পরবর্তী পর্বে পাবো।
জীবনে প্রথম বার লঞ্চ ভ্রমণ।লঞ্চভবন করতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আমি আজও কোনদিন লঞ্চে ভ্রমণ করিনি। কিন্তু আমার অনেক শখ লাঞ্চ ভ্রমণ করা।
আর আপনার লঞ্চ বহন করে দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ইচ্ছে করছে এখানে লঞ্চ ভ্রমন করতে যাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লঞ্চে করে ঘুরার মজাই অন্যরকম দিদি। আপনি প্রথমবারের মতো স্বাগতা দিদিকে নিয়ে লঞ্চে করে ঘুরে বেড়িয়েছেন আশা করি আপনার কাছেও ভালো লেগেছে। দাদা ছাড়া এই প্রথম বাহিরে কোথাও ঘুরতে গেলেন। গঙ্গার পাড়ে অনেক মানুষ আসে ঘুরতে দেখায় বুঝা যাচ্ছে। আর টিনটিন বাবুকে স্বাগতা দিদি সামলেছিল। পরের পর্বে আপনার লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানতে পারবো।
নদী ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে পদ্মার তীরে বাড়ি হওয়াতে মাঝে মাঝেই এমন ভ্রমণ করা হয়।। আপনি প্রথমবারের মতো লঞ্চ ভ্রমণ করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ ছিল।।
সম্পর্ক গুলো ভালো থাকুক। আমিও জল নদীতে ভয় পাই কিন্তু লঞ্চ এ করে নদী পার হতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।ভালো থেকো বৌদি।
দাদাকে ছাড়া আপনি যেহেতু কখনো কোথাও যান নি তাই আসলে একা কোথাও গেলে খায় না খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আর লঞ্চ আসনে আমি অনেকবার ভ্রমণ করেছি তাই এর অভিজ্ঞতা রয়েছে ভালোই লাগে লঞ্চে ভ্রমন করতে। আপনারা মনে হয় যখন উঠেছিলেন তখন ভালো লেগেছিল। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন বৌদি অনেক ধন্যবাদ আপনাক।
দিদিভাই, দাদা তো তখন আমার সাথেই ছিল 🥰। আপনারা যে জায়গা তে যাচ্ছিলেন ওখানে তো পুরো লাইফ টাইম মেমোরি আমার। দাদা আর আমি এই নিয়ে বেশ হাসাহাসি করছিলাম 😊। কি আর বলবো। আমি নিজেও সাঁতার পারিনা তাই জল দেখে খুব ভয় করি। তবে দিনশেষে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন এটা বুঝতেই পারছি। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
বৌদি আপনার জীবনের প্রথম লঞ্চ ভ্রমণের অনুভূতির কথাগুলোর জানতে পারলাম আপনার এই পোস্টটি পড়ে। আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি যদি ব্যস্ত ও থাকি তোমার জন্য আমি সবসময় ফ্রি এটা তুমি জানো। আমার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে চলো চলো আরেকদিন ঘুরে আসি। দারুন মজা হয়েছিল কিন্তু সেদিন ❤️❤️। ভালোবাসা নিও ❤️❤️
হ্যা পরীক্ষা শেষ হলে যাবো।তুমি থাকলে আমার খুব ভালো লাগে। তুমি আমাকে অনেক ভালবাসো এটা আমি জানি।তুমি তো আমার খুব কাছের মানুষ এবং বন্ধু।