স্বরচিত নতুন একটি কবিতা " হে নারী"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। বেশ কিছুদিন হলো কোনো কবিতা লিখতে পারছি না। আসলে কিছুদিন পর পর কবিতা না লিখতে পারলে ভালো লাগে না। আমার কবিতা লিখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে। এখন দেখছি "আমার বাংলা ব্লগ " কমিউনিটিতে অনেকেই খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখছে। সত্যি বলতে আমি
অনেক মজা করে কবিতা গুলো পড়ি। বিশেষ করে আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন এই কবিতা গুলো পড়লে আমার মন ভালো হয়ে যায়। ভাবলাম আজ নারীদের নিয়ে একটি কবিতা লিখি। বর্তমান যুগেও এখনও নারীরা অবহেলিত। এই নারী ছাড়া পুরুষরা অক্ষম। আবার এই নারীর গর্ভে পুরুষের জন্ম। তারপরও পুরুষরা নারীদের নীচ চোখে দেখে, অত্যাচার, অবজ্ঞা করে। আবার বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকে নারী পুরুষের সমান অধিকার । কিন্তু কোথায় সেই অধিকার। এখন নারীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই। বরং এখন তারা পুরুষের থেকে বেশি শক্তিশালী। একটা পুরুষ যা না পারে একটা নারী তাই করতে পারে। এসব কথা না বলে চলুন কবিতাটি শুরু করা যাক। আশা করি, আমার অন্যান্য কবিতার মতো এই কবিতাটি ও ভালো লাগবে।
"হে নারী"
নারী হলো বিধাতার এমন এক সৃষ্টি,
সবাই তাকে তুচ্ছ করে পায়না সে সুদৃষ্টি।
নারী হলো এই পৃথিবীর অবহেলিত বস্তু,
সময়ে তার প্রয়োজন হলেও অসময়ে উৎবস্তু।
এই পৃথিবীর জন্মদাত্রী সবার সে মা,
যতক্ষণ সে কাজ করতে পারে সবাই দেয় তাকে বাহবা।
বয়স হলে সেই মা পড়ে থাকে ঘরের কোণে,
নিপীড়ন আর অনাদরে প্রহর কাটে তার আনমনে।
আবার এই নারীর জন্ম হয় সবার ধিক্কারের মাঝে,
জন্মের পর সবাই বলে অলক্ষ্মী এলো এই ঘরে।
যাইহোক শোনো ভাই সেই দিন আর নাই,
পুরুষের সাথে নারীরা আজ কোন অংশে পিছিয়ে নাই।
নারীরা আজ শাসন করছে বিভিন্ন দেশ-বিদেশ,
নারীরা আজ সবার শীর্ষে পুরুষ জাতির অহংকার হল শেষ।
ঠিক বলেছেন,, নারী জাতি মানেই অবহেলিত। মুখে মুখে ঠিকই সমান অধিকার বলে কিন্তু আসলেই কি সমান অধিকার। নারীরা একটু ভুল করলেই বলা হয় নারীরা তো তাই এমনই হবে,অথচ একটা পুরুষ করলে তখন বলা হয় ভুল হয়ে গিয়েছে। পুরো কবিতাটা বেশ সুন্দর হয়েছে।প্রতিটি লাইনই অনেক চমৎকার। ধন্যবাদ
নারীর জীবনের বাস্তবতা আপনি তুলে ধরেছেন এই কবিতার মধ্য দিয়ে। কে বাস্তবতার বাস্তব দৃশ্য আমি স্বচক্ষে দেখে আসছি ছোট থেকে। আসলে তেমনই যেখানে কুসংস্কার লেগে থাকে। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝে না আমাদের ঘুনের ধরা সমাজ।
হ্যা দিদি বর্তমানে অনেক মেম্বার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সুন্দর সুন্দর কবিতা প্রতিনিয়ত শেয়ার করছে ৷ সেই কবিতা গুলো পড়লে সত্যিই আমারও অনেক ভালো লাগে ৷ আর হ্যা দিদি , কথায় আছে নারী পুরুষ সমঅধিকার , কিন্তু কাজে নেই ৷ এখনো নারীদের নিচু চোখে দেখা হয় ৷ নারীরা এখনো অবহেলিত ৷ নারীকে নিয়ে লেখা আপনার কবিতাটি সত্যিই দারুণ হয়েছে ৷ অনেক ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে ৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে নারীরা মায়ের জাত। আর মা জাতির সম্মান সব সময় অনেক বেশি। কিন্তু আমাদের সমাজে নারীরা সবসময় অবহেলিত। নারীরা যেন সমাজে সবসময় অবহেলায় পেয়ে থাকে।এটা কখনোই ঠিক না। নারীদের সম্মান করতে হবে। আজকে আপনার নারী কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
জ্বী বৌদি এটা সত্য যে, আমার বাংলা ব্লগের অনেক ইউজার এখন খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখছে বা লেখার ক্ষেত্রে চেষ্টা করছে, নিঃসন্দেহে এটা ভালো একটা দিক। আর এটা সত্য যে, অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সমাজে এখনো নারীদের খাটো করে দেখা হয়, যা অনাকাংখিত।
আজকের কবিতাটির মাধ্যমে নির্মম সত্যটা তুলে ধরেছেন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ পরিবর্তন হচ্ছে সকলের দৃষ্টিভঙ্গি।
বৌদি একদম ঠিক বলেছেন,বর্তমান যুগে এখনও নারীরা অবহেলিত,এটি খুবই লজ্জাজনক।সমাজ এগিয়েছে আধুনিকতার পথে তবুও নারীদের পদদলিত করে রাখা হয়।এখন নারীদের অবস্থান দেশ বিদেশে এবং শাসন করার মাঝে।খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন যার মাধ্যমে নারীদের অবস্থান উঠে এসেছে।
নারীদের নিয়ে লেখা আপনার কবিতাটি সত্যিই অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই সমাজে পুরুষরা নারীদেরকে নীচ চোখে দেখে। বর্তমান যুগে নারী পুরুষের সমান অধিকার লেখা থাকলেও এখনো নারীরা অবহেলিত রয়েই গেছে। তারপরেও নারীরা আজ পিছিয়ে নেই ।সমাজের সর্বস্তরে নারীদের অবস্থান ।সত্যি বেশ ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি।
নারীরা আজও আমাদের সমাজে অবহেলিত। হয়তো মুখে মুখে সবাই বলে নারীরা তাদের যোগ্য সম্মান পেয়েছে। কিন্তু অন্তরে এখনো তারা নারীদের যোগ্য সম্মান দিতে পারেনি। এই সমাজের মানুষগুলোর চোখে আজও নারী শুধুমাত্র একজন তুচ্ছ মানুষ। যার গর্ভে তাদের জন্ম তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিলা করতেও তাদের একটুও বাধেনা। বৌদি আপনার লেখা কবিতাটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন আমাদের সমাজের পুরুষেরা নারীদেরকে নিচ চোখে দেখে । আপনি ঠিক বলেছেন অথচ এই নারীর গর্ভে পুরুষের জন্ম। আপনি নারীদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। এই কবিতা আপনি নারীদের প্রাপ্য সম্মান এবং অধিকার তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুমনি।