"আমার জন্মদিনে আমার মায়ের নিজের প্রথম লেখা কবিতা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আমার নিজের কোনো কবিতা শেয়ার করছি না। আজ যে কবিতা শেয়ার করছি সেটি আমার মা লিখেছে। আমার জন্মদিনের দিন মা সকালে এক বাটি পায়েস দিয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলো, আর এই কবিতা টি উপহার দিয়েছিলো। কিন্তু তখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারিনি কারণ তখন সাহস হয়নি। আপনারা কে কি ভাববেন তাই তখন হয়ে উঠিনি।আজ মা চলে যাওয়ার পর খুব খারাপ লাগছিলো তখন এই কবিতাটি আমি বার বার পড়ছিলাম আর পুরনো স্মৃতি মনে করছিলাম। সত্যি কথা বলতে আজ আমার পোস্ট করার কোনো মন মানসিকতা ছিলো না। ঠিক তখন আমার প্রিয় মানুষটি আমার কষ্ট বুঝতে পেরে বললো তোমার মায়ের লেখা কবিতা টি আজ পোস্ট করো। এতে তোমার মন টা একটু হলে ও হালকা হবে। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম। আসলে সত্যি কথা বলতে আমার মা বেশি দূর পর্যন্ত লেখা পড়া করার সুযোগ হয়নি। সে সকল কথা আপনাদের সাথে পড়ে একদিন শেয়ার করবো। কিন্তু আজ আমার মা বাবার জন্য আমি এই পর্যন্ত আসতে পারছি। আমার আমি যা কিছু হয়েছি তার পিছনে আমার মায়ের অবদান সবথেকে বেশি।আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। মায়ের হাতের লেখা খুব একটা ভালো না তাই সেই লেখাটি শেয়ার করতে পারছি না। কারণ অনেক বছর আগে ছেড়ে দিয়েছে। এই প্রথমবার কবিতা লিখছে। তাই হয়তো খুব একটা ভালো হয়নি। কিন্তু তারপর ও সে যে এত বছর পর এসে কবিতা লিখছে এটি ভেবে আমি অবাক হয়েছি। আজ যদি সে আমার মতো সুযোগ পেতো তাহলে তো এর থেকে অনেক সুন্দর কবিতা লিখতে পারতো। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। আশাকরি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
"আশীর্বাদ"
আজ তোর জন্মদিন ১৬ ই জানুয়ারি
এই দিনে এসেছিলি আমার কোল আলো করে।
জন্মদিনে রইলো আশীর্বাদ আমার,
সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক জীবন খানি তোর।
হাজার দিন আয়ু হোক,
নির্মল হোক জীবন তোর।
তোর মুখের হাসি যেনো থাকে সর্বদা।
এই হাসি দেখে যেনো মরতে আমি পারি।
একে একে পূরণ হোক তোর মনের সকল আশা,
ভরে থাকুক তোর জীবন সবার ভালোবাসায়।
ঈশ্বর তোর সকল স্বপ্ন পূরণ করবে জানি।
সেই আশীর্বাদ করি আমি সর্বদা,
মুছে যাক আজকের দিনে সব গ্লানি দুর্ভাবনা,
স্মৃতিময় হোক স্মরণীয় হোক এ মোর শুভকামনা।
তুই যে আমার আমার সোনা মেয়েটা।
এত বড় আশীষ বার্তা শুধু মায়েরাই দিতে। প্রত্যেকটি লাইন জুড়েই ভালোবাসার ছড়াছড়ি সত্যিই দারুণ লিখেছেন আন্টি খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা দুজনের জন্যই।
বাহ! সত্যি দারুণ লিখেছে তো আন্টি। আপনার আম্মুর লেখাও কিন্তু বেশ বৌদি, এই জন্যই বোধহয় আপনার কবিতার হাত এতো পাকা। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য এবং আন্টির জন্য, ভালো থাকুন-সুস্থ থাকুন।
আশা করি বৌদি ভালো আছেন? আন্টির কবিতা পড়ে আমি খুব মুগ্ধ হলাম তিনি খুব সুন্দর করে কবিতা লিখতে পারেন। তার লেখা কবিতার প্রতিটি লাইন মাঝে আমি আপনার জন্য আশীর্বাদে প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। তার লেখা কবিতাটা অসাধারন হয়েছে। আপনাদের পরিবারের সকলে যেন খুব সুখে শান্তিতে আনন্দের জীবন অতিবাহিত করতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ভালো থাকবেন বৌদি।
বৌদি আপনার মায়ের লেখা কবিতাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। মাসিমা যে আপনার জন্য ঈশ্বরে কাছে প্রার্থনা করেছেন তার নিম্নে কবিতায় প্রকাশ পায়।আর আমি মনে করি মায়ের আশীর্বাদ সর্বদা সন্তানের মঙ্গল। অনেক সুন্দর হয়েছে কবিতার লাইন গুলো।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য এবং পরিবারের সকলের জন্য।
রত্নগর্ভা মার সন্তান আপনি । শুভেচ্ছা রইল আপনার মা ও আপনার পরিবারের জন্য। ভালোই লিখেছেন আপনার মা । ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কবিতাটি শেয়ার করার জন্য বৌদি ।
বৌদি আমিতো সম্পূর্ণ কবিতাটিতে শুধু অফুরন্ত ভালোবাসা দেখতে পেলাম। এ ধরনের কবিতায় ছন্দ বাঁ হাতের লেখার সৌন্দর্য খুঁজতে নেই। সন্তানের প্রতি মায়ের আশীর্বাদ আর নির্মল ভালোবাসার কাছে অন্তমিল, ছন্দ বাঁ হাতের লেখার সৌন্দর্য নিতান্তই তুচ্ছ। আপনি সত্যি বলেছেন, আন্টি যদি একাডেমিক ভাবে লেখা পড়ার সুযোগ পেতেন তাহলে হয়তো কোন প্রতিষ্ঠিত কবি হতে পারতেন। যা লিখেছেন তাও অসামান্য। যে যাই বলুক না কেন আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে
মাসীমার জন্য অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাচ্ছি প্রথমে। এই লেখা নিয়ে মন্তব্য করার কোনো সাহস বা স্পর্ধা আমার নেই দিদি। এটা একটা অনুভূতি, একটা ভালোবাসার খন্ড চিত্র, একটা আশীর্বাদ ভালো থাকার।
তুমি এবং মাসিমা সব সময় ভালো থাকো সুস্থ থাকো এই প্রার্থনা করি।
পৃথিবীর বুকে যদি সেরা কেউ থেকে থাকে সে হচ্ছে মা। আর সেই মাকে নিয়ে মন্তব্য করার মতো কোনো কিছুই নেই। কারণ যার ছায়া আলো বাতাস দেখেছি তার সবকিছুই সেরা। আমি মনে করি মাসি মা যেই কবিতাটি আপনাকে উপহার দিয়েছে সেটা আপনার জন্য আপনার জন্মদিনের সেরা গিফট। এবং আপনার এই সেরা জিনিসটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা অবিরাম।
আপনার জন্মদিনে আপনার মায়ের দেওয়া এই উপহারটি আমার মনে হয় সবচেয়ে সেরা উপহার ছিল। মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। তিনি আপনার জন্মদিন উপলক্ষে এতো সুন্দর একটি কবিতা উপহার দিয়েছে যা বলে বোঝানোর ভাষা নেই আমার। সত্যিই আমি যখন কবিতাটি পড়ছিলাম তখন মনের অজান্তেই চোখে দু ফোটা জল চলে এসেছিল। আসলে আমার মনে হয় সব মা সবসময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করে। কিন্তু এই মা বাবাকে ছেড়ে আমাদেরকে দূরে থাকতে হয়। এযেন জীবনের কঠিন বাস্তবতা। আপনার মায়ের লেখা কবিতাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি।
এই লাইনগুলো পড়ে মনটা ভরে গেলো বৌদি।আসলে আন্টি এতো বছর পর এসেও কবিতা লিখেছেন।বাবা মা এর ভালোবাসাটা এমন ই।দোয়া করি আন্টি এবং আন্টির মেয়ে সবসময় খুব ভালো থাকে।