বাঙালি রেসিপি " তরমুজের খোসা ভাজি"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।আজ আমি একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করবো। এটি আমি আগে কখনো রান্না করিনি। এই প্রথম রান্না করছি তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি তো প্রতিদিনের রান্না আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব " তরমুজের খোসা ভাজি" । আমরা তরমুজ খেয়ে খোসা ফেলে দিই।কিন্তু এই খোসা দিয়ে অনেক মজাদার খাবার তৈরি করা যায়। আজ তরমুজ কাটার পরে হটাৎ মনে পড়লো তরমুজের খোসা দিয়ে কিছু তৈরি করা যায়। যেই ভাবা সেই কাজ। এটি অনেক সুস্বাদু ও মজাদার একটি খাবার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. তরমুজের খোসা - ৭ টুকরো
২. চিংড়ি মাছ - ১০০ গ্রাম
৩. কাচা মরিচ - ৪ টি
৪. লবণ - ১ চামচ
৫. হলুদ - ১ চামচ
৬. পেঁয়াজ কুচি - হাপ্ কাপ
৭. গোটা জিরা - ১ চামচ
৮. তেজ পাতা - ২ টি
তরমুজের খোসা
চিংড়ি মাছ
গোটা জিরা, কাচা মরিচ ও তেজ পাতা
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে তরমুজের খোসা গুলো ছুরি বা বোটি দিয়ে কুচিয়ে নিতে হবে। কুচানোর পর জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার নিতে হবে।
২.চিংড়ি গুলো কেটে জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করার পর সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে।
৩. চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে গোটা জিরা ও তেজ পাতা দিয়ে দিতে হবে।
৪. জিরা ভাজা হলে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে ৫ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে।
৫.চিংড়ি মাছ ভাজা হলে কুচানো তরমুজের খোসা দিয়ে দিতে হবে।
৬. একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও কাচা মরিচ চিরে দিয়ে দিতে হবে।
৭. এবার চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেরে দিতে হবে। এভাবে ১৫। মিনিট ধরে রান্না করে নিতে হবে।
৮. তরমুজের খোসা খোসা দিয়ে যে জল বের হবে এতে রান্না হয়ে যাবে। নাড়তে নাড়তে জল শুকিয়ে গেলে আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে ২ মিনিট ধরে ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু খাবার তরমুজের খোসা ভাজি। এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটি ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
।। সত্যিই সম্পূর্ণ নতুন একটা রেসিপি। নতুন কিছু শিখলাম কমিউনিটি থেকে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে ও ধন্যবাদ, আমি ও কমিউনিটির মাধ্যমে নতুন নতুন কিছু সবার সাথে শেয়ার করতে পারছি।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
দিদি আপনি তো জিনিয়াস🥰 তরমুজের খোসাও নষ্ট হতে দিলেন না।😁 অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।দুর্ভাগ্য আমি পাকা তরমুজ ই খাইতে পারি না এর খোসা কেমনে খাবো🤥
ধন্যবাদ, এটা আমিও জানি না। ভাবলাম তরমুজ যদি খাওয়া যায় তাহলে খোসা একবার রান্না করে দেখি।যেই ভাবা সেই কাজ। এটি খুব টেস্টি একটি খাবার। আপনি একবার ট্রাই করে দেখুন।
এইটা ভিন্ন রকম ছিল । যদিও এইটা আমার খাওয়া হয়নি বৌদি । ভালো বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাবলাম একটু আন কমান কিছু রান্না করি।
বাহ খুব ক্রিয়েটিভ একটি রেসিপি। এতদিন আমরা শুধু তরমুজের লাল অংশটা খেতাম। এবং বাকি টা ফেলে দিতাম। কিন্তু সেই অংশটা দিয়ে আপনি একটি অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ।
এটি খুব সুন্দর একটা রেসিপি বৌদি ।👌কিন্তু বড়ো তরমুজের খোসা ভাজি কখনো খাওয়া হয় নি,তবে কচি তরমুজ অবস্থায় চিংড়ি দিয়ে প্রচুর পরিমানে ভাজি খেয়েছি।অবশ্য আমার মামাদের তরমুজ চাষ করত প্রতি বছর, এখনো প্রতি বছর তরমুজ চাষ করে।দারুণ স্বাদ খেতে তরমুজ ভাজি।আর সুন্দর একটা কচি কচি গন্ধটা আমার বেশ লাগে।😊😊ধন্যবাদ বৌদি।
তরমুজ আমার অনেক পছন্দের একটি ফল। তরমুজের খোসা ভাজি কখনো খাই নাই আর কখনো দেখি নাই। দেখেতো মনে হচ্ছে অনেক মজার একটি খাবার তারপর আবার চিংড়ি দেওয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ একদম ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ লাগে জাস্ট । আমি তো খেয়ে বুঝতেই পারিনি যতক্ষণ না বলছে এটা কি ভাজা ছিল ।
অনেক সুন্দর একটা রেসিপি আপু। দেখে যদিও খেতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু খেতে পারলাম না। তবে আমি এখনও এই রেসিপিটা আগে দেখেছিলাম না বা এখনও খাই নাই। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে খাওয়ার ইচ্ছা জাগল। আশা করি একদিন খেয়ে দেখবেনে।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
নতুন একটি রেসিপি শিখলাম দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে
তরমুজের খোসা ভাজি খুব সুস্বাদু। আগে প্রচুর খাওয়ার সুযোগ ছিলো। এখনো তেমন পাওয়া যায় না। দারুন হয়েছে রেসিপিটি বৌদি। আমাদের মাঝে ভাগ করে নেবার জন্য ধন্যবাদ।
এই ভাজির কথা আগেও শুনেছি বৌদি, তবে কখনো দেখার কিংবা স্বাদ নেয়ার সুযোগ হয় নাই। এবার মনে হচ্ছে একদিন ঠিক ঠিক স্বাদটা চেক করে ফেলবো। কারন দেখে কিছুটা লোভও তৈরী হয়েছে। ধন্যবাদ
বাড়ীতে ভাবীকে বলে একদিন ট্রাই করে দেখুন। এটি অনেক সুস্বাদু একটি খাবার।