পূজার সময় কলকাতার রাতের দৃশ্য ও রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। পূজার সময় আমার কখনো কলকাতায় যাওয়া হয় নি। হটাৎ করে আপনাদের দাদা বললো চলো এবার কলকাতা থেকে ঘুরে আসি। তাই গতকাল বিকালে আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরলাম। কলকাতায় পৌঁছে দেখি লোকজন সেজে গুজে পূজোর প্যান্ডেল দেখতে বেরিয়ে পড়েছে। কলকাতার রাস্তায় লোকজনের ভিড় পরে গেছে। তো ভাবলাম কলকাতায় আসছি যখন একটু ঠাকুর দেখি। তাই গাড়ি থেকে নেমে ঠাকুর দেখার জন্য লাইনে দাড়ালাম। কিন্তু অসম্ভব লোকের ভীড়ে জন্য বাবু খুব বিরক্ত করছিলো তাই একটা প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখে চলে এলাম। গাড়িতে বসে সিধান্ত নিলাম একটা রেস্টুরেন্ট রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরবো। আর বাবুও বাইরে খেতে খুব পছন্দ করে। আর এদিকে আপনাদের দাদার ও পোস্টের সময় হয়ে যাচ্ছিলো। তাই খুব তাড়া দিয়েছিলো। বাড়ির কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম।এরপর খাবার অর্ডার করলো।
রেস্টুরেন্টের ভিতরের দৃশ্য। খুবই সাধারণ জিনিস দিয়ে সুন্দর করে সাজানো।
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা
তারিখ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
পূজোয় কলকাতা শহর। চারিদিকে আলোর ছড়াছড়ি।
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা
তারিখ:২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
পাঁপড় ভাজি।
চিংড়ি মাছের কাটলেট
চিতল মাছের পেটি, ও কমপ্রেট মাছ ভুনা
চিকেন কারি
আম দই
বেকড রসগোল্লা
ঐরকম মানুষের ভীড়ে যে টিনটিন শান্ত থাকবে না এটাই স্বাভাবিক বৌদি। এইসময়ে তো প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভীড় হবেই। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আম দই এটা প্রথম দেখলাম। সাধারণ দই সঙ্গে এটার পার্থক্য কী বৌদি??
আমাদের এদিকেও দেখেছি পূজার সময় প্যান্ডেল গুলোতে অনেক ভিড় হয়। ছোট বেলায় অনেক গিয়েছি এই প্যান্ডেলগুলোতে। যাক তাও তো একটা প্যান্ডেলে ঢুকতে পেরেছেন। বাচ্চারা বাইরে খেতে কেন যেন খুব পছন্দ করে। অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি। আম দই দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে।
এখনি যদি বৌদি এতো প্যান্ডেল গুলোতে ভীড় হয় , তাহলে সপ্তমীর পড়ে তো পুজো দেখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে । তবে খাবার যেমন লোভনীয় লাগছে , তার থেকেও বেশি ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা ।
পুজোর সময় প্যান্ডেল গুলোতে সত্যিই অনেক ভিড় থাকে । আমিও ছোটবেলায় অনেক গিয়েছি । তবুও তো আপনি একটা প্যান্ডেলে ঢুকতে পেরে শেষ মেষ পুজো দেখেছেন । শেষে রেস্টুরেন্টে বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন বৌদি ।খাবারগুলো বেশ আকর্ষণীয় ছিল । খুব সাধারণ জিনিস দিয়ে রেস্টুরেন্টটি খুব সুন্দর করে সাজানো । সব বাচ্চারাই মনে হয় বাইরে খেতে খুবই পছন্দ করে ।বেশ ভালো লাগলো।
আহা। কলকাতার পুজোয় ঘোরা! ক্লান্ত হয়েও যেন কত আনন্দ এতে।
পুজোর সময় আপনি এবারই প্রথম কলকাতায় এসেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো বৌদি। পুজোর তৃতীয় দিনে যদি কলকাতার প্যান্ডেল গুলোতে এত বেশি পরিমাণে ভিড় হয় তাহলে শেষের দিনগুলোতে কি হবে তা ভাবতেই তো মাথা ঘুরে যাচ্ছে। আপনারা যে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন সেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো কেননা ডেকোরেশনটা খুবই সুন্দর ছিল।
আমাদের এখানে ও পূজোর সময় অনেক ভিড় থাকে। আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকে পূজোর প্যান্ডেলগুলোতে প্রায় যেতাম। যাইহোক ভীরের ভিতরে এক জায়গায় ঠাকুর দেখতে পেরেছেন। অনেক খাবার খেয়েছেন। পাঁপড় ভাজি ও চিংড়ি মাছের কাটলেট অসাধারণ খাবার।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রাতের দৃশ্য ও রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া শেয়ার করার জন্য।
বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের এদিকে অনেক বড় বড় পূজার গেইট হয় এবং অনেক বড় বড় মণ্ডপ সাজে। আপনারা যদি এই বছর বাংলাদেশে আসেন নারায়ণগঞ্জ এসে পুজো দেখে যাবেন, ভাল লাগবে। আপনার ছবিগুলোতে বড় বড় পূজার গেইট দেখা যাচ্ছে যা দেখে মনে হচ্ছে পুজো খুব বড় হচ্ছে। রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র ডিজাইন আমার খুব ভাল লেগেছে। খাবারের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজার। অন্য মাছের কাটলেট খাওয়া হয়েছে কিন্তু চিংড়ির কাটলেট খাওয়া হয়নি, বড়া খেয়েছি। বেকড রসগোল্লা আমি কখনো খাইনি। ধন্যবাদ দিদি।
বাচ্চাদের নিয়ে আসলে কোথাও যাওয়াটা খুব মুশকিল।কারণ ওরা একেবারেই ভীড় সহ্য করতে পারেনা।চিংড়ি মাছের কাটলেট হয় এই প্রথম দেখলাম,খাবারগুলো তো বেশ মজার লাগছে।
বৌদি আপনাদের ছবি চাই,নিশ্চয় খুব সুন্দর লাগছিলো দেখতে।
আমি দেখেছি পুজোর সময় অনেক ভিড় থাকে,তবে এত আগে থেকেই ভিড় তাহলে তো সময় যত কাছে আসবে ততই ভিড় বাড়বে।বাবুর মত আমারও রেস্টুরেন্টে খেতে বেশ ভালো লাগে।ইশ আপু খাবারের ছবিগুলো এত লোভনীয়।বিশেষ করে মিষ্টি র আইটেম গুলো।দারুন সব আইটেম।তবে এবার বাংলাদেশে আসলে বেশ ভালো হইত।