দোকানের স্টাইলে তৈরি মুচমুচে " এগ ডেভিল "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার প্রিয় একটি খাবার "এগ ডেভিল"।কিছুদিন আগে আমি এই খাবারটি তৈরি করেছিলাম। আপনাদের দাদা বলছিলো এই মাস টি নাকি রমজান মাস। আমি জানি না রমজান মাস কাকে বলে। ওই মানুষটির কাছে শুনেছি মুসলিম ভাই ও বোনেরা এই মাসে সারাদিন কিছু না খেয়ে সন্ধ্যার সময় খাওয়া দাওয়া করে। এই সন্ধ্যার সময় খাওয়া কে ইফতার বলে। আর আমি কিছুই জানি না। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের দাদা যা জানে তাই বলেছিলো। কিন্তু আমার কিছু মনে নেই সব এলোমেলো হয়ে গেছে। আসলে রোজা থাকা ইফতার এগুলো কোনোদিন দেখিনি তো তাই কিছু বুঝতে পারিনি।যাইহোক তাই আপনাদের চলো একদিন আমরা সবাই মিলে ইফতার করি। শুনে আমার খুব ইচ্ছা হলো। আমি বললাম ইফতার কি জানিনা কিন্তু বিভিন্ন তেলে ভাজা খাওয়া তো যাবে এটা ঠিক আছে। কারণ ইফতারের নাম যদি তেলে ভাজা খেতে পারি। কারণ আমাকে তো এ সব খেতেই দিতে চায় না। আপনারা তো জানেন আমি সেদিন কি কি তৈরি করেছিলাম। তাই আর বললাম না। ওই সব রেসিপির ভিতর থেকে এই একটি রেসিপি " এগ ডেভিল " আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এটি আপনারা ও আপনাদের ইফতারের সময় তৈরি করে খেতে পারেন। এটি খেতে অনেক টেস্টি।একবার খেলে বারবার খেতে চাইবেন। আমার পরিবারের সবাই এই খাবারটি পছন্দ করেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. ডিম - ৬ টি
২. আলু মাঝারি সাইজের - ৫টি
৩. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৪. রসুন কুচি - ২ চামচ
৫. ব্রেড গ্রাম - পরিমান মতো
৬. লবণ - ২ চামচ
৭. হলুদ - ১ চামচ
৮. কাচা মরিচ কুচি - ১ চামচ
৯. শুকনো মরিচ গুঁড়া- ১ চামচ
১০. সাদা তেল - পরিমান মতো
১১. জিরার গুঁড়া - হাপ্ চামচ
১২. শাহি জিরা - হাপ্ চামচ
ডিম
আলু
ব্রেড গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি
সাদা তেল
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও শাহি জিরা
প্রস্তুত প্রণালী :
১.প্রথমে আলু লম্বা লম্বা স্লাইস করে কেটে নিতে হবে।এরপর ভালো করে ধুয়ে আলু ও ডিম একসাথে সেদ্ধ করে নিতে হবে।সেদ্ধ হয়ে গেলে ডিম ও আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
২. এবার সেদ্ধ আলু ভালো করে মেখে নিতে হবে।
৩. চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে দিতে হবে। ঠিক একই সাথে এক চামচ লবণ এক চামচ হলুদ হাফ চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়া ও হাফ চামচ জিরা গুড়া দিয়ে দিতে হবে।
৪.এবার পেঁয়াজ কুচি ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে ম্যাচ করা আলু দিয়ে আবারো ভাল করে পেঁয়াজ ভাজার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। আলু মেশানো হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এ বার আলু ঠান্ডা করে নিতে হবে।
৫. সেদ্ধ ডিম মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে।
৬. এবার একটু আলু নিয়ে হাত দিয়ে ছোট বাটির মতো তৈরি করে নিতে হবে। সেই আলুর মাছ বরাবর এক পিস ডিম বসিয়ে দিয়ে আলু দিয়ে সেই ডিম ঢেকে দিতে হবে। ঠিক একইভাবে প্রতিটি ডিমের পিস আলু দিয়ে পুডিং করে নিতে হবে।
৭. একটা বাটিতে দুটি ডিম ভেঙ্গে নিতে হবে। এর ভিতরে সামান্য একটু লবণ দিয়ে দিতে হবে।এবার একটা চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে।
৮. এবার ডিম ও আলুর পুডিং ডিমের গোলায় চুবিয়ে ব্রেড গ্রাম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ঠিক একইভাবে সবগুলো ব্রেড গ্রামে মিশিয়ে নিতে হবে।
৯. চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে একটু বেশি পরিমাণে সাদা তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল হালকা গরম হয়ে গেলে একটি একটি করে এগ ডেভিল তেলের ভিতরে দিতে হবে। এবার মিডিয়াম আঁচে বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে।
১০. এগ ডেভিল গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আমার মুচ মুচে এগ ডেভিল। এটি আপনারা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এমনকি এই রমজানে ইফতারের সময় ও পরিবেশন করতে পারেন।
বৌদি এই এগ ডেভিল আমি আগে ও খেয়েছি কিন্তু এর নাম আমার জানা ছিল না😁😁
যদিও বিষয়টা হাস্যকর।
তবে আপনার এগ ডেভিল তৈরি একদম রেস্টুরেন্টের মতোই হয়েছে। আর কতটা স্বাদের হয়েছে সেটা কিন্তু দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
সত্যিই রেসিপি টা খুবই প্রয়োজন ছিল আমার। যেদিন থেকে আপনার হাতের তৈরি করা এই এগ ডেভিলটি দাদার পোষ্টে প্রথম দেখলাম সেদিন থেকে ভাবছি কখন এই যে এই রেসিপিটি আপনি আমদের সাথে শেয়ার করবে। অবশেষে আমার সেই কাঙ্খিত রেসিপিটি সাথে শেয়ার করেছেন বৌদি। তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর আমি সত্যি বলছি আপনার এই রেসিপি অনুসরণ করে আমি একদিন বাসায় এভাবে ট্রাই করবো। আর সম্ভব হলে রেসিপিটা পোস্ট করব।
আপনাদের দাদা আমাকে বলেছিলো। কিন্তু ভাইয়া সময় পাচ্ছিলাম না। খুব ব্যাস্ততার মাঝে সময় যাচ্ছে।তাই রেসিপি টি শেয়ার করতে একটু সময় লেগে গেলো। তবে ভাইয়া বাড়ীতে একদিন ট্রাই করে দেখুন অনেক মজার একটি খাবার।
প্রিয় বৌদি, আশা করি ভাল আছেন? আজকে আপনার এই পোস্টটি দেখে অত্যান্ত মুগ্ধ হলাম আমি। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যান্ত অসাধারণ ভাবে এগ ডেভিলটি তৈরি করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে আপনি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন নিশ্চয় অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হবে খেতে। এত অসাধারণ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
দোকানের স্টাইলে তৈরি মুচমুচে এগ ডেবিল যা দেখে মুগ্ধ হলাম। আসলে এই ধরনের কিছু তৈরি করতে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয় আপনার মধ্যে আছে দিদি ।আমি এই ধরনের কিছু আগে কখনো খাইনি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো দিদি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইশ বৌদি আপনার রেসিপিটা দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে। ইচ্ছা তো করছে কয়েকটি পিস নিয়ে আমি খেয়ে ফেলি। আপনার তৈরি রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল এটা খেতে। এভাবে করে আমি আগে কখনো সমুচা বানাইনি। তবে আপনার এসিপিটি দেখে এটি বানানোর সত্যি আগ্রহ বেড়ে গেল। আমি অবশ্যই এটা একদিন বাসায় ট্রাই করবো। খুব ইউনিক একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
বৌদি আপনার রেসিপি মানেই অসাধারণ কিছু। সাধারণের মধ্যে অসাধারণ কিছু সৃষ্টি করাই আপনার বৈশিষ্ট্য। তবে এটার নাম এগ ডেভিল কেন হলো জানতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য
বৌদি আজকে আমি আপনার পোস্ট দেখে অনেক মুগ্ধ হয়েছি। আপনি ইফতারের জন্য কষ্ট করে এগ ডেভিল বানিয়েছেন। যা অত্যন্ত সুস্বাদু। আমি মাঝে মধ্যেই খাবারটি খেয়ে থাকি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
বৌদি আপনার এগ ডেবিল দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। এত সুস্বাদু ও মজাদার খাবার মুখের সামনে ঘুরাঘুরি করলে লোভ সামলানো যায়।আপনার রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। আমি অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করব।প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছন যা দেখে আমরা সহজেই তৈরি করে নিতে পারবো।এত মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই বৌদি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনারা সবাই মিলে যে ইফতার আয়োজন করেছেন তা শুনে খুব ভালো লাগলো ।কারন পরিবারের সবাই মিলে সন্ধ্যাবেলায় আজানের সময় উপোস ভাঙ্গা হয়, যা সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে ।আর ইফতারিতে এরকম তেলেভাজা জিনিস গুলো তৈরি করা হয়। খুব ভালো লাগলো দিদি আপনার তৈরি করা এই এগ ডেভিল রেসিপি। তৈরি করে দেখতে হবে একদিন।
আজকে আপনি আমাদের সাথে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের সামনে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।