বাঙ্গালি রেসিপি " চালের গুঁড়া দিয়ে কুমড়ো ফুল ভাজা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আবার রেসিপি নিয়ে চলে আসছি। তবে এই রেসিপিটি কম বেশি সবাই পছন্দ করেন। আমার পরিবারের সকলের ও পছন্দের। তবে আমার খুবই পছন্দের। আজ আমি আমার দীদার রেসিপি অনুকরণ করে কুমড়ো ফুল ভাজি করবো। আমার ছেলেবেলা থেকেই কুমড়ো ফুল ভাজি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। কিছুদিন আগে আমার ভাই বাজার থেকে অনেক গুলো কুমড়ো ফুল কিনে এনেছিলো। এসে বলে সুন্দর করে ভাজি করবে আমি এটা দিয়ে ভাত খাবো।তখনই ভাবলাম দীদার মতো করে ভাজি করবো। আসলে আমার দীদার রান্নার হাত বেশ ভালো ছিলো। যেটা রান্না সেটাই খেতে ভালো লাগতো। তবে আমি অনেক বার দীদার মতো রান্না করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন বার ই ভালো হয়নি। এবারও চেষ্টা করেছি কিন্তু সেরকম হয়নি তবে খাওয়া গেছে। একদম খারাপ হয় নি। তবে কুমড়ো ফুল ভাজি আপনারা যেকোন ভাবে খেতে পারেন। আর এটি রান্না করতে ও খুব বেশি সময় লাগে না। মাত্র কয়েক মিনিটেই এটি খুব সহজে রান্না করা যায়।
উপকরণ:
১. কুমড়ো ফুল - পরিমান মতো
২. চালের গুঁড়া -২ কাপ
৩. সাদা তেল - ১ কাপ
৪. লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
৫.হলুদ - ১ চামচ
৬. লাল মরিচের গুঁড়া - হাপ্ চামচ
৭. কাঁচা মরিচ কুচি - ১ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কুমড়ো ফুল গুলোর বোটা ফেলে দিয়ে জল দিয়ে হালকা করে ধুয়ে নিতে হবে।
২. এবার একটা পাত্রে চালের গুঁড়া ও সেই সাথে পরিমান মতো লবণ, হলুদ,কাঁচা মরিচ কুচি ও লাল মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এবার অল্প অল্প জল দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর গাঢ় বেটার তৈরি করে নিতে হবে।
৩. এবার চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিলাম। ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে বেটারে কুমড়ো ফুল চুবিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
৪. এবার একে একে বেটারে চুবানো ফুল গুলো সাজিয়ে দিতে হবে।মিডিয়াম আঁচে বাদামি রঙের করে ভেজে নিতে হবে। কুমড়ো ফুল ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল চালের গুঁড়া দিয়ে কুমড়ো ফুল ভাজি।এটি আপনারা গরম ভাতের সাথেও পরিবেশন করতে পারেন।
বৌদি, এই রেসিপিটি অনেকটা সহজ একটা রেসিপি তবে এই রেসিপিটি আমার টপ টেন ফেভারিট রেসিপির মধ্যে একটি। এই রেসিপিটি মাঝে মাঝে আমিও বাড়িতে তৈরি করে খাই। খুবই ভালো লাগে এটি তৈরি করে খেতে। এই কুমড়ো ফুল চালের গুঁড়া দিয়ে ভাঁজা করে , এমনি খেতেও ভালো লাগে আবার ভাত দিয়ে খেতেও ভালো লাগে। যাইহোক, মাঝে মাঝে তুমি তোমার দিদার মত করে রান্না করার চেষ্টা করো জেনে ভালো লাগলো বৌদি। আগের কালের মানুষের হাতের রান্না গুলো একটু বেশি ভাল ছিল, এটা আমিও বিশ্বাস করি।
দিদাদের হাতের রান্না এমনিতেই খেতে মজা লাগে ।সেভাবে করে আমরা যতই ট্রাই করি না কেন একেবারে তাদের হাতের স্বাদ কিছুতেই আনতে পারব না । তবে আমার কাছে মনে হয় আপনার হাতের খাবারের টেস্ট অনেক ভালো । এই খাবারটি খুব ভালো লাগে যদিও আমি এভাবে চালের গুঁড়ো দিয়ে কখনো ভাজিনি অন্য ভাবে খেয়েছি । দেখে মনে হচ্ছে যে খাবারটি মজা হবে গরম গরম খেতে । কালারটা দারুন লোভনীয় লাগছে ।
দিদার রান্না অনুসরণ করে খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। আমার দিদুও এই রেসিপিটি করতো খুব সুন্দর। খুব মজার এই রেসিপিটি।আপনার রেসিপিটি দেখে তো খুব খেতে মন চাচ্ছে এই কুমড়ো ফুলের বড়া।মুচমুচে স্বাদের এই বড়া গুলো দারুণ হয় খেতে।ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে তৈরি করেছেন ও তৈরি পদ্ধতি শেয়ার করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর করে রেসিপিটি সহজ উপায়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চালের গুঁড়া দিয়ে কুমড়ো ফুল ভাজা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করা দেখে শিখে নিলাম পরবর্তী তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
অনেক দিন বাদে আবার বৌদির দারুণ একটা রেসিপি দেখলাম, সত্যি বলতে কুমড়ো ফুল ভাজি গরম গরম খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আর গ্রামের বাড়ীতে গেলে বেশ খাওয়া হয়। বেশ সুন্দর তৈরী করেছেন বৌদি, চালের গুড়া দিলে একটু বেশী ক্রাঞ্চি হয়। ধন্যবাদ।
কুমড়া ফুল ভাজা খেতে আমার দারুণ লাগে। আপনার দীদার রেসিপি অনুকরণ করে, চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বৌদি। শীতকালে এমন ভাজাপোড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। কুমড়া ফুল ভাজা মাঝেমধ্যে আমরাও বাসায় খেয়ে থাকি। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা এটাকে বলি কুমড়ো ফুলের বড়া। তবে সেটার প্রিপারেশন বোধহয় কিছুটা আলাদা। আসলে কুমড়ো ফুলের উপর কোটিংটা কিসের দেয়া হয় সেটা আমি এখনো জানিনা। তবে খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। আপনার কুমড়ো ফুল ভাজি দেখে মনে হচ্ছে বেশ ক্রিসপি হয়েছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি এটা যে কি মজার রেসিপি যে খেয়েছে সে জানে। আমার গ্রামের মানুষ মাঝেমধ্যে মিষ্টি কুমড়া ফুল পাওয়া যায়। আর এটা চালের ময়দা দিয়ে ভেজে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। গরম গরম ভাজি খেতে তো আরো সুস্বাদু। আপনি খুব চমৎকার ভাবে রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এজ কুমড়ো ফুলের বড়া আমারো ভীষণ পছন্দের একটি খারাব। এভাবে চালের গুড়া দিয়েই বানানো হয় আমাদের বাসাতেও।অবশ্য ব্যাটারের সাথে একটু কালোজিরা এড করে দেই। খেতে ভীষণ মুচমুচে হয়! গরম গরম খেতে ভীষণ কুড়মুড়ে! এমন মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদিদি। 😍
বৌদি আপনার রান্না যখন এত লোভনীয় হয় তাহলে আপনার দিদার হাতের রান্না আরও বেশি লোভনীয় হবে বুঝতে পারছি। যেমন দিদা তেমনি তার নাতি হবে এটাই নিয়ম। আজ আপনার দিদার রান্না অনুকরণ করে নিশ্চয়ই ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছেন। বৌদি নিশ্চয়ই আপনি তখন কল্পনার সাগরে ভেসে গিয়েছিলেন। যাই হোক আপনার এমন কুমড়ো ফুলের ভাজি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। এই ভাজি খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। এই ভাজি গরম গরম খেতে খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ বৌদি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।