"শারদীয়া কনটেস্ট - ১৪২৯" বিজয়া দশমীতে ঘুরতে যাওয়ার ও ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে বিজয় দশমীর শুভেচ্ছা।বাঙালি সবথেকে কাছের এবং প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজার পঞ্চম ও শেষ দিন হলো বিজয়া দশমী।
দেখতে দেখতে পূজা শেষ হয়ে এলো। বিষন্ন মনে ছল ছল নয়নে মা দুর্গা কে এখন দিতে হবে বিদায়। কিন্তু মন যে চাইছে না মা কে বিদায় দিতে। মা আমাদের মাঝে আরো কিছুদিন থাকুক আর আমরা পুজোর আনন্দে মেতে থাকি। কিন্তু এ যে বৃথা আসা মাত্র। তাইতো আবার বলি "মাগো তুমি আবার এসো", আসছে বছর আবার হবে।মা আমাদের মাঝে কয়েকটা দিনের জন্য আসেন। এই কয়েকটা দিন আমরা মায়ের পূজা ও আনন্দ উৎসবে মেতে থাকি। কিন্তু দেখতে দেখতে চলে গেলো এই ৫ টা দিন। এখন
মা কে ফিরতে হবে কৈলাসে। তাই তো আমাদের
মন ভারাক্রান্ত। আবার একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে মায়ের জন্য।তাইতো বিজয়া দশমীতে মাকে বরণ করে মিষ্টিমুখ করিয়ে মা দুর্গাকে বিদায় জানাই।
কুর কুরা কুর বাজে ঢাক
কৈলাস যে দিল ডাক।
শুরু হবে সিঁদুর খেলা,
দেবীর যে আজ যাওয়ার পালা।
মনে বিষাদের সুর নিয়ে
জানাই মাকে বিদায়,
এসো মা, বছর বছর এভাবে
আনন্দ ও সুখের ডালি নিয়ে।।
মাকে বরণ করে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে চলে আসছি বাড়ীতে। দুপুরের দিকে সিঁদুর খেলা হবে। তবে আমার সিঁদুর খেলা হয়না কারণ বাবুকে রেখে যেতে পারি না। তো যাই হোক আজ খুব একটা ঘুরবো না। আপনাদের দাদা প্রোগ্রাম করছে আজ রাতে বাইরে খাবে। আসলে ও বাইরে খেতে পছন্দ করে না। ও সবসময় ঘরে বানানো খাবার খায়। তবে আমার বাইরে খেতে খুব ভালো লাগে। যাই হোক খাবারের গল্প অন্য একদিন করবো। আমরা সন্ধ্যার মধ্যে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম ঠাকুর দেখতে। কাছাকাছি কয়েকটা ঠাকুর দেখবো।আমি আগেই বলেছি আমার বাবু ছোট তাই এবার কলকাতায় পরে আর যেতে পারিনি।
এটি মধ্যম গ্রাম চৌ মাথা মোড় রবার ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়েছে।ছোট ছোট কাগজের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। খুব একটা জাক জনক পূর্ন নয় তারপরও অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এত সুন্দর মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী হরিপদ পাল। বরণ করার আগের মুহূর্তের ফটোগ্রাফি।
তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান: মধ্যমগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট
এই ড্রাগনের প্যান্ডেলটি করা হয়েছে কল্যাণী মোর লক্ষণপাড়া , মধ্যম গ্রাম। প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করার সময় চোখে পড়বে দরজার দুই পাশে চক্র বানানো হয়েছে। পুরো প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে কাপড় ও বাঁশ , বেত ও লাইটিং দিতে। আর দেয়ালের চার পাশে বুদ্ধের পেইন্টিং করা হয়েছে। যা দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে। আর মায়ের মূর্তি যেনো সোনার মত জল জল করছে।
তারিখ:৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান:কল্যাণী মোর, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৬.৩৮ মিনিট
এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে বসুনগর। প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করার আগে দুটো পরীর মূর্তি তৈরি করা। আর কাপড়ের ছোট ছোট ফুল দিয়ে এই প্যান্ডেলটি বানানো হয়েছে। এখানে মায়ের মূর্তির কারু কাজ করেছে মৃৎশিল্পী মদন মোহন পাল। পুরো পুরো প্যান্ডেলে এত লাইটিং এর কাজ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান: বসুনগর, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়:সন্ধ ৭.০৭ মিনিট
এই প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করার আগে বিভিন্ন রঙের কাপড়ের ফুল দিয়ে গেট বানানো হয়েছে। এই গেটের ভেতর দিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে মায়ের সুন্দর মুখ। আবার এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা কালী, লক্ষী ,সরস্বত ী ও হনুমান সেজেছে। এই ছোট বাচ্চাদের সাজা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। তাই আমি দেরি না করে ছবি তুলে নিলাম।
তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান: ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৭.২৫ মিনিট
![IMG_20221004_191830.jpg](
এই প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে দুই পাশে দুটি জল পরী বানানো হয়েছে। আবার বিভিন্ন ধরনের লাইট বসানো হয়েছে । আবার মাকে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে
তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান: ব্যারাকপুর, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়:সন্ধ্যা ৭.৩৮ মিনিট
এখানে মাকে বিদায় দেওয়ার জন্য বরণ করা হচ্ছে। মাকে সিঁদুরে রাঙানো হয়েছে।
তারিখ:৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
স্থান:মধ্যম গ্রাম, কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা, ৮.০০ মিনিট
আজ এই পর্যন্তই আগামীদিন নতুন কোন বিষয় আবার আসবো। সেইন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
বাহ! দিদি পূজোমন্ডপ গুলো বেশ সাজানো গোছানো। রাতের আলোয় যেন আরও সুন্দর লাগছে। বিদায় বরাবরই কষ্টের। সুখের কল্যাণ নিয়ে আবার ফিরে আসবে এটাই কামনা। আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করেছে সারা এলাকা। শুনেছি কলকতায় অনেক পূজো মন্ডপের আয়োজন করা হয়।
চমৎকার!!
বেশ পরিপাটি পরিবেশ আপনাদের পূজা মন্ডপের।ছবিগুলোও খুব সুন্দর ছিল। আশা করি ভালো কিছু হবে বৌদি।
শুভ কামনা এবং ভালোবাসা রইলো ❤️
আপনাকে ও শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বৌদি। ভালো করেছেন কলকাতায় বাচ্চাকে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে যাননি,তাতে অনেক ঝুঁকি।সত্যিই এই দিন আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে মন খারাপের ও দিন।মা আবার মর্তলোক থেকে চলে যাবেন আমাদের ছেড়ে,তাছাড়া এই দিন মহিলারা সিঁদুর খেলা করে আনন্দের সহিত।বাচ্চাদের বিভিন্ন রকম সাজসজ্জা দেখে বেশ ভালো লাগলো,ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।
পূজার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো বাদচ্ছে বৌদির মনে
বৌদি আমাদের উপহার দিল দারুণ দারুণ দশমীর থিম
তাই দেখি স্বপ্নগুলো আজ হয়েছে রঙ্গিন
সপ্তমী অষ্টমী মহানবমী বিদায়ী দশমী
মাকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছো বিধায়
মনে বাসনা ছিল মা ফিরে আসবে তাই
ভালোবাসা আনন্দর সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছো মায়ের জন্য
তাই দেখে বৌদি আমি হয়েছিলাম ধন্য।
ভাই লেখার ক্ষেত্রে এই কালার টা কি করে করেন? এই মার্ক ডাউন টা একটু বলতে পারবেন। রেড কালার দিয়ে লেখার মার্ক ডাউন আমি জানি কিন্তু এই কালারের ব্যাপারটা ভুলে গেছি।
শুরুতেই বিজয়া দশমীর প্রণাম জানাই দিদিভাই। ছোট পরিসরে হলেও বেশ ভালই ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। গোলটু বাবু আরেকটু বড় হলে কলকাতার সব পুজো দেখে আরো অনেক মজা পাবেন। অনেক মিষ্টি করে পূজোর প্রতিটা পোস্ট সাজিয়েছেন। অনেক ভালো লাগছে দেখতে এবং পড়তে। আজ বসুনগরের মায়ের মুখ টা অপূর্ব লাগলো এক কথায় 👌🙏।
বৌদি আমিও গিয়েছিলাম দশমীতে শেষ দিনের আয়োজন দেখতে। চোখ ধাঁধানো লাইটিং ও মিউজিকের তালে তালে আনন্দ করার দৃশ্য বেশ খানিকক্ষণ উপভোগ করেছি। যাইহোক আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হওয়ার চিত্রগুলো বেশি ভালো লেগেছে। তবে সিঁদুর খেলার আনন্দ মনে হয় একটু মিস করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
একেবারে চোখ ধাঁধানো সব প্রতিমা গুলো দেখে চোখ ফেরাতে পারছি না বৌদি। বিভিন্ন লাইটিং এবং সাজানো-গোছানো প্যান্ডেল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে লাইটিং গুলো বেশি আলোকিত করে রেখেছে চারপাশ। আমার কাছে তো প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে। বৌদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ছোট বাচ্চারা যে সেঁজেছে এতো মায়া লাগছে দেখতে।আসলে বিদায় সবসময় ই কষ্টের হয়।আশা করি পরের বছর আবার একই ভাবে মজা করতে পারবেন বৌদি।
বসু নগর, মধ্যমগ্রাম এর কয়েকটি প্যান্ডেল আমিও গিয়ে দেখেছিলাম বৌদি। তাছাড়া তোমার শেয়ার করা অন্য অনেক প্যান্ডেল দেখলাম আমার দেখা হয়নি। যাইহোক এবছরের মতো পুজো শেষ হয়ে গেছে। আসছে বছর আবার হবে পুজোর ঘোরাঘুরি এবং ঠাকুর দেখা।
আমার খুবি ভালো লেগেছে আপনার মাকে নিয়ে লেখা ছন্দটা।আরোবশ ভালো লাগচে বাচ্চাদের সেজে থাকা ফটোগুলো বাস্তব জিবণের রুপ বিদাই বরাবরের মতোই কষ্টদায়ক আপনার ফটোগুলো আমার ভিষন পছন্দ হয়েছে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপু।