বাঙালি রেসিপি " গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন । আমাদের বাড়ি চালের পায়েস কেউ পছন্দ করে না।তাই খুব একটা রান্না করা হয় না। শুধু কারও জন্মদিন হলে তৈরি করা হয়। এই পায়েস রান্না করেছিলাম টিনটিন বাবুর জন্মদিনে। এটি
খুব সুস্বাদু ও মজার একটি খাবার। পায়েস আমাদের কম বেশি সবাই পছন্দ করে। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ:
১. গোবিন্দ ভোগ চাল - ১ কাপ
২. চিনি - ১কাপ
৩. দুধ - ১ লিটার
৪. খেজুরের গুড় - ১ কাপ
৫. কিশমিশ -২ চামচ
৬. কাজু বাদাম - ২ চামচ
৭. এলাচ গুঁড়া - ১ চামচ
৮. লবণ - ১ চিমটি
গোবিন্দ ভোগ চাল
দুধ
খেজুরের গুড়
চিনি
এলাচের গুঁড়া
কিশমিশ ও কাজু বাদাম
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে চুলায় কড়াই বসিয়ে এক লিটার পরিমান দুধ দিয়ে ভালো করে গরম করে নিতে হবে।
২. চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে দুধে জ্বাল দিতে দিতে একটু গারো হয়ে গেলে এক কাপ ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে দিতে হবে।এভাবে চাল ফুটা পর্যন্ত জ্বাল দিতে হবে।
৩.পায়েস এর চাল ফুটে গেলে পরিমান মতো খেজুরের গুড় ও চিনি দিয়ে আবারো জ্বাল দিতে হবে।এবার কাজু বাদাম, ১ চামচ কিশমিশ ও এক চিমটি লবণ দিয়ে পায়েস নাড়তে হবে।
৪.পায়েস নাড়তে নাড়তে হালকা গাঢ় হয়ে গেলে এক চামচ এলাচ এর গুঁড়া দিয়ে আবারো রান্না করতে হবে।
৫.এবার পায়েস টেস্ট করে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। নামানোর পর অল্প কিছু কিশমিশ ওই পায়েসের উপর ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার গোলাপের পাপড়ি ও একটি গোলাপ ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু মজাদার গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস। পায়েস গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে সুন্দর ডেকোরেশন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পায়েস আমার অনেক প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
দিদি পায়েসের উপর গোলাপের পাপড়ি গুলো দেখে আমি অন্য কিছু ভাবছিলাম। খুব সুন্দর ডেকোরেট করেছেন। পায়েস আমার অনেক ভালো লাগে খেতে। পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। অনেক ভালো লাগলো দেখে। আপনাকে ধন্যবাদ দিদি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চালের পায়েস খেতে আমি খুব পছন্দ করি। যদিও আমি নিয়মিত চালের পায়েস খাই না। এই চালের পায়েস শুধু বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে খেয়ে থাকি। আপনার সুস্বাদু ও মজাদার পায়েস দেখে আমার পায়েস খাওয়ার ইচ্ছা জেগে গেলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। রেসিপি তৈরি করার পর আপনি গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই উপস্থাপনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো বৌদি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি পায়েস খেতে এমনি সুস্বাদু লাগে, তারপরেও যদি হয় গোবিন্দভোগ চালের পায়েস তাহলে তো আর কথাই নেই, খেতে অনেক সুস্বাদু। দিদি আপনি খুবই সুন্দর ভাবে অনেকগুলো উপকরণের মিশ্রণ এর মাধ্যমে গোবিন্দভোগ চালের পায়েস রান্না করেছেন। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো, আপনার পায়েস রান্না দেখে পায়েস খাওয়ার আগ্রহ দ্বিগুন বেড়ে গেল। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি পায়েস খুব পছন্দ করি। আমার ওয়াইফ খুব চমৎকার পায়েস রান্না করে। আপনার পায়েস দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ বউদি আপনাকে।
হ্যা অনেক মজা হয়েছিল। আপনাকেও ধন্যবাদ।
বৌদি গোলাপের পাপড়িগুলো একটু সরান খেয়ে না হোক দেখে অন্তত্য স্বাদটা নেয়ার চেষ্টা করি, হি হি হি হি
রান্না নিয়ে কোন কথা হবে না, কারণ পায়েস আমার বেশ পছন্দের আর সেটা যদি খেজুরের গুড়ের হয় তাহলে স্বাদটা আরো বেড়ে যায়। খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পায়েস টা যে আমার কতটা পছন্দ তা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না বৌদি।
আমি সবসময়ই আপনার রেসিপির অনেক বড় একজন ফ্যান। আপনি প্রত্যেকটা রেসিপি এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এবং বুঝিয়ে লিখেন যা আসলে সত্যিই অসাধারণ।
আপনার রেসিপির শুধু ছবিগুলো দেখে দেখেই তৈরি করে ফেলা যাবে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু।
গোবিন্দ ভোগ চালের পায়েস আসলে অনেক ভালো লাগে। চালের পায়েস খেতে এবং আপনি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন যা দেখার মত ছিল। ছোটবেলা খেতাম খুবই ভালো লাগতো আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করার জন্য।
দিদি ভাই,, রং টা যা হয়েছে না,, উফ একদম ভোগের পায়েস যেমন হয়। সবাই পায়েস রান্না করলেও আসল পায়েস রান্না কিন্তু কম জনই পারে। আমার মা যেটা বলে , দুধ আর চালের অনুপাত। এটা অনেক বড়ো একটা ব্যাপার। আর খেজুর গুড়ের পায়েস তো অমৃত লাগে।
লোভ লাগিয়ে দিলেন গো বৌদি।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া। দুধ আর চালের অনুপাত ঠিক না হলে পায়েস হয় না। পায়েস রান্না সহজ হলেও সঠিক ভাবে পায়েস রান্না করতে কম জন ই পারে।
দিদি,আমি চালের পায়েস খুবই পছন্দ করি।
আপনার চালের পায়েস রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে। আপনি সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। চালের পায়েস সবসময় খাওয়া হয় না।তবে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয় আমার খুব পছন্দের এই রেসিপিটি।দিদি, আপনার থেকে অনেক কিছু আমার শিখার আছে। শুভকামনা রইল দিদি