DIY-event এসো নিজে করি "রঙিন কাগজের তৈরি ওয়ালম্যাট দোলনায় এক জোড়া কাপোল"
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন হলো কিছু তৈরি করিনি।তাই ভাবলাম আজ কিছু তৈরি করি আর তাই আপনাদের শেয়ার করবো। রঙিন কাগজ দিয়ে একটি ওয়ালম্যাট তৈরি করলাম। আমি স্কুল জীবনে থাকতে কাগজ দিয়ে তৈরি করতাম। কিন্তু অনেক বছর হলো কোনো ওয়ালম্যাট তৈরি করিনি। আজ একটু চেষ্টা করলাম জানি না আপনাদের ভালো লাগবে কি না। যদি ভালো লাগে তাহলে আমার ওয়ালম্যাট তৈরি করা সার্থক হবে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আমরা মূল পর্বে যাই।
উপকরণ :
১. রঙিন কাগজ
২. পেনসিল
৩. রবার
৪. রং পেনসিল
৫. গাম
৬. কেচি
রঙিন কাগজ, পেনসিল, রবার, গাম, কেচি, ও রং পেনসিল
প্রস্তুত কারক:
১. প্রথমে একটি কাগজে পেনসিল দিয়ে একটি গাছ আঁকতে হবে।
২. গাছ আঁকা হলে এবার মেটে রঙের পেনসিল দিয়ে গাছটিতে রং করে নিতে হবে।প্রতিটি শাখা ওপ্রশাখায় ও রং করে নিতে হবে।
৩. এবার ওয়ালম্যাট টির চার পাশে কালো কাগজের পাইপ বানিয়ে গাম দিয়ে চারপাশ লাগিয়ে দিতে হবে।
তাই কালো কাগজ মাঝ বরাবর ভাজ করে কেচি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কাটা কাগজ থেকে এক টুকরো নিয়ে পাইপের মতো গোল করে নিতে হবে।
৪. ঠিক একই ভাবে চারটি পাইপ তৈরি করে নিতে হবে।
৫. এবার পাইপ চারটি ওয়ালম্যাট এর চার পাশে গাম দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
৬. এরপর লাল রং এর কাগজ নিয়ে ছোটো করে ভাজ করে নিতে হবে।
৭. ভাজ করা কাগজ গুলো কেচি দিয়ে কেটে নিতে হবে। ঠিক একই ভাবে সবুজ রং এর কাগজ ও। গোলাপি রঙের কাগজ ভাজ করে নিয়ে কেটে নিতে হবে।
৮. লম্বা করে কেটে রাখা কাগজ কেচি দিয়ে ছোটো ছোটো করে নিতে হবে। বিভিন্ন রংয়ের কাগজ ও কেটে নিতে হবে।
৯.এবার ওই ছোটো ছোটো কাগজের টুকরো গুলো পেনসিল পিছনের পিট দিয়ে ভাজ করে গাম দিয়ে গাছের শাখা ও প্রশাখায় নিজের পছন্দ মতো লাগিয়ে দিতে হবে।
১০. শুধু সবুজ রঙের কাগজ বাদে বাকি কাগজের টুকরো গুলো বিভিন্ন শাখায় ফুলের মতো লাগিয়ে নিতে হবে।
১১.সব গুলো শাখা ও প্রশাখায় ফুল লাগানো হলে নিচের একটি শাখায় ফুল লাগানো যাবে না।
১২. নিচের যে শাখা বাকি আছে সেই শাখায় একটি দোলনা বানিয়ে দিতে হবে। ওই দোলনার উপর একটি কাপোল আঁকতে হবে।
১৩. এবার ওই দোলনার নিচে সবুজ কাগজের ছোটো ছোটো ঘাস বানিয়ে দিতে হবে।
১৪. গাছের নিচে পুরো অংশটি তে সবুজ ঘাসের নিচে লাগানো হয়ে গেলে আমার ওয়ালম্যাট তৈরি হয়ে গেল।
তৈরি হয়ে গেল আমার রঙিন কাগজের ওয়ালম্যাট। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
বৌদি অনেক সময় নিয়ে আর্ট করেছেন। আপনাকে মনে হয় টিন টিন বাবু হামলা করেনি তাই অনেক সুন্দর চিত্র আকিয়েছেন। আপনি প্রসংশার দাবিদার। যেভাবে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন অবাক আমি।
রঙিন কাগজের তৈরি ওয়ালমেটটি খুবই সুন্দর হয়েছে বৌদি। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশু দোলনায় দোল খাচ্ছে এই চিত্রটি আমার বেশি ভাল লেগেছে। আপনার ওয়ালমেট এর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আপনি দারুণভাবে রঙিন কাগজের ব্যবহার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুবই চমৎকার একটি ডায়া প্রজেক্ট, দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সময় ও ধৈর্য নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ডায়াপ্রজেক্টটি বানিয়েছেন, আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল বৌদি।
ধন্যবাদ আপু। আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য। আপনাদের ভালো লাগলে আমার বানানো সার্থক।
ওয়াও বৌদি আপনার ডাই প্রজেক্ট টি দারুন সুন্দর হয়েছে ।এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন যা বলার মতো না ।দেখে মনে হচ্ছে গেছে যেন সত্যি সত্যি লাল রঙের ফুল ফুটে আছে ।আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি এগুলো কি দিয়ে তৈরি। পরে আপনার প্রতিটি ধাপ দেখে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম আপনি কিভাবে বানিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু কি বানাবো তা বুঝতে পারছিলাম না। পরে ভাবলাম একটা গাছ আঁকি কিন্তু যা ভাবি তা করতে পারি না হয়ে যায় অন্য কিছু।
ওয়াও! একদম পারফেক্ট বৌদি!
সত্যি দেশের দৃশ্যটা বেশ দারুণ এবং আকর্ষণীয় হয়েছে, বিশেষ করে ফুলের দৃশ্যগুলো বেশ লাগছে আর সবুজ ঘাষগুলো মনে হচ্ছে হাতছানি দিচ্ছে দোল খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ চমৎকার একটি ওয়ালম্যাট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ওয়ালম্যাট আপনাদের ভালো লেগেছে এতেই আমার বানানো সার্থক।
বৌদি একা হাতে আর কত কি করতে পারেন গো ! আমি আপনার ফ্যান এক রকম। সব কাজ এত যত্ন নিয়ে করেন সব সময়। আজকের ওয়ালমেট টা একদম বাঁধিয়ে রাখার মত হয়েছে দিদি। কি চমৎকার ফুটে উঠেছে। আমি বেশি অবাক হই নি আপনার কাজে, কারণ একটা লক্ষ্মী বউয়ের কাজ এমন মিষ্টি হবে এটাই তো স্বাভাবিক।
এবার একটু লজ্জা লাগছে! আমি চেষ্টা করি সবকিছু করার। কিন্তু সময় পাই না। তবে অনেক দিন কিন্তু আপনার গান শুনিনি। একটি গান শুনতে চাই কিন্তু দিদি।
দিদি গান গাইতে পারছি না দেখে আমার নিজেরও অনেক খারাপ লাগে । আসলে কাশ্মীর থেকে আসার পর প্রচন্ড ঠান্ডা লেগে গেছিলো, 6,7 দিন গলা ব্যাথা নিয়ে খুব ভুগেছি। একটু সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু। গান নিয়ে বসার সুযোগ টাই পাচ্ছিনা গো দিদি। তবে আজ থেকে পুজো শেষ। কদিন যা ধকল গেল, একটু সুস্থ হয়ে নেই তারপর আবার গাইবো। ❤️❤️❤️
বৌদি আপনার সব জিনিসই ইউনিক। আপনার রান্না যেমন ইউনিক হয় তেমনি আজকে আপনার ওয়ালমেটটি ও ইউনিক হয়েছে।আপনি খুবই সুন্দর করে ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। একদম অন্যরকম ভাবে তৈরি করেছেন। ছোট ছোট কাগজের টুকরো গুলো কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছেন যা দেখতে সত্যি অসাধারণ লাগছে। এক কথায় আপনার ওয়ালমেটটি চমৎকার হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু।আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বৌদি বলতে হবে আপনার কোন তুলনা নেই। আপনি একা হাতে রান্না ছবি আঁকা ডাই সব ধরনের গুণে গুণান্বিত। আপনার আজকের এই কারুকাজ দেখে সত্যি খুব ভাল লাগলো। আর কালার কম্বিনেশন টাও দারুন লেগেছে সবুজ আর লাল এর মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি ওয়ালমেট বানিয়ে ফেললেন সাথে কাপল জোড়ার দোলনার মধ্যে দোল খাওয়ার ব্যাপারটা ও বেশ ইন্টারেস্টিং।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। তবে আপনাদের ভালো লাগলে আমার বানানো সার্থক।
❤️❤️❤️🙏🙏🙏
ওয়াও দিদি, আপনি এত সুন্দর একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে। দেখে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। দিদি "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে আসার পর আপনার রেসিপি দেখেছি গল্প পড়েছি এবং অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা পড়েছি কিন্তু কখনো আমি আপনার তৈরি ওয়ালমেট দেখিনি। এই প্রথম আমি দেখলাম সত্যি দিদি অনেক সুন্দর হয়েছে।নিখুঁত এবং দক্ষতার সাথে আপনি ওয়ালমেট তৈরি করেছেন।ওয়ালমেট তৈরি প্রতিটি ধাপ আপনি বর্ণনা সহকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ দিদি,এত সুন্দর একটা ওয়ালমেট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপু অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার তৈরি করা ওয়ালমেটটি।গাছের নিচে পড়ে থাকা সবুজ পাতা এবং গাছের লাল পাতা খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দর করে দোলনায় বসে থাকা ছেলে এবং মেয়ের ছবিটি খুব রোমান্টিক ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।