লাইফস্টাইল || ছেলের মুরগির ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে গিফট কিনে দেওয়া
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
আজ আবারও ভিন্ন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। সব সময়ই ইউনিক পোস্ট করতে খুব ভালো লাগে। তাই তো মাঝে মাঝেই পোস্টের ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি। আজকে একদম ভিন্ন ধরনের লাইফস্টাইল নিয়ে এসেছি। এতক্ষণে টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছে কি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখবো। হ্যাঁ আজকে ছেলের মুরগির ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে গিফট কিনে দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি। আমার মনে হয় প্রত্যেকের ঘরে একটি করে মাটির ব্যাংক রয়েছে। তেমনি আমার ছেলেরও রয়েছে তবে তা মাটির নয় প্লাস্টিকের মুরগি।
এটি কিনে দিয়েছিলো আমার ছোট ভাই। সবাই মিলে একদিন কিছু টুকিটাকি জিনিস কিনতে গিয়েছিলাম। তখন আমার ছেলে এই মুরগি দেখে বলে মামা আমি মুরগি কিনবো। আমার ভাই তখন এই মুরগির ব্যাংক কিনে দেয়। ছেলে আমার ছোট তো তাই ব্যাংক কি বুঝে না। তখন বাসায় এসে তার মামা বুঝিয়ে দিলো এটা তোমার ব্যাংক আর এর মধ্যে টাকা জমাতে হয়। এই বলে ভাগ্নিনাকে দেখিয়ে এর ভিতরে কিছু টাকা রাখে।
সত্যিই ছোটরা সবসময় বড়দের অনুকরণ করে। তারা যা দেখে তাই শিখে। সে এতটুকু বুঝেছে এর মধ্যে টাকা রাখতে হয়। এরপর থেকে তার বাবার মানি ব্যাগে কোনো কয়েন থাকে না। ছেলে আমার যার কাছে কয়েন দেখে এনে মুরগির ভিতরে রেখে দেয়। নানুর বাসায় গেলে সাথে করে এই মুরগি নিয়ে যাবে। তারপর সবাইকে বলবে আমার ব্যাংকে টাকা দাও। তার এই মিষ্টি কথা শুনে সবাই খুব মজা পেতো। আমার ছেলেও এই বিষয় গুলো খুব উপভোগ করতো।
এভাবে সময় যেতে যেতে প্রায় একটি বছর হয়ে গেলো। সে একাই টাকা জমাতো। আমরা এর মধ্যে হাত দেয়নি কখনো। এক তারিখে যেহেতু ছেলের জন্মদিন ছিল আর ব্যাংকে টাকা জমানোর বয়স যেহেতু একবছর হয়ে গিয়েছে সেজন্য ওর বাবা বলতেছে চলো এই ব্যাংক থেকে টাকা বের করে দেখি। আমাদের ছেলে কত টাকা জমিয়েছে আর সেই টাকা দিয়ে এমন একটি গিফট কিনে দেবো যা সে সারাজীবন মনে রাখে। এরপর তারা বাবা ছেলে শুরু করেছে টাকা বের করে আর হিসাব করার কাজ। আমি এই ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
সব স্মৃতি মুছে গেলেও এই ফটোগ্রাফি গুলো রয়ে যাবে আমার বাংলা ব্লগ প্লাটফর্মে সারাজীবন স্মৃতি হয়ে। যখন ইচ্ছে করবে তখনই দেখতে পারবো। এরপর সবটাকা বের করে হিসেব করে দেখালাম আমার ছেলে এক বছরে ৩১২ টাকা জমিয়েছে। ওতো কিছু বুঝে না কিন্তু তার জমানো টাকা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছে। এরপর সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে গিয়ে সুন্দর দেখে মগ কিনে আনলাম। কাকতালীয় ব্যপার কি জানেন সেই মগে লেখা রয়েছে 'মম' আর এই লেখা দেখে খুব ভালো লাগলো।
আমার হাসবেন্ড বলতেছে ভালোই হলো ছেলে বড় হলে বলবে ছোটবেলায় আমার মা আমাকে এই মগ কিনে দিয়েছে।এটা আমার মায়ের স্মৃতি কেই ধরবা না। আমার ছেলে এত সুন্দর গিফট পেয়ে খুব খুশি হয়েছে আর বাসায় এসে বলছে আম্মু আমাকে এই মগে চা দাও😃। তার এই কথা শুনে সবাই হাসাহাসি শুরু করলাম। এরপর চা খেয়ে বলে এবার সুন্দর করে সাজিয়ে রাখো আর ধরবা না। তার এই মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে সেদিন খুব ভালো লাগলো।
এভাবে তার ব্যাংকের টাকাগুলো শেষ হলো। মাঝে মাঝে ছোট ছোট জিনিস দিয়ে বাচ্চাদের আনন্দ দিতে হয় তাহলে তারা খুব মজা পায়।যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয় আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/6) Get profit votes with @tipU :)
প্রথমে বলতে হয় আপনার ছোট ভাই খুব সুন্দর একটা গিফট কিনে দিয়েছে। আপনার ছেলেকে মুরগির ব্যাংক গিপট করেছে।আপনার ছেলে এক বছরে অনেকগুলো টাকা জমিয়েছে ছোট মানুষ হিসেবে এই অনেক।আর আপনি বুদ্ধি করে জমা টাকা দিয়ে গিফট কিনে দিয়েছেন। এটাও অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন। গিফটাও সুন্দর হয়েছে। আপনার ও আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু ছোট মানুষ হিসেবে ও অনেক টাকা জমিয়ে যা দেখে খুব ভালো লেগেছে। আপনার কাছে গিফট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ছোটবেলায় আমারও এমন একটা ব্যাংক ছিল। আব্বার কাছ থেকে আম্মুর কাছ থেকে দুলাভাইয়ের কাছ থেকে টাকা পেলেই আমি জমাতাম। তবে হঠাৎ একদিন ব্যাংকটা কিভাবে পড়ে ভেঙে গেছিল। এরপর থেকে আর কখনো টাকা গোছানো হয়নি। ঠিক সেই সুন্দর স্মৃতি মনে আসলো আপনাদের এই সুন্দর পোস্ট দেখে। আপনার বাবুর বিষয়টা শুনে অনেক ভালো লাগলো। একদম ছোটবেলায় ফিরে গেছিলাম ক্ষণিকের জন্য।
আপু আমারও এমন একটি ব্যাংক ছিল আর মোটামুটি তখন ভালোই টাকা জমিয়ে ছিলাম। আপনার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
আসলে ছোটরা সব সময় বড়দেরকে অনুকরণ করে। ও ছোট হিসেবে অনেক কয়েন জমিয়ে বেশ ভালো টাকা জমিয়েছে। এবং ওই টাকা দিয়ে যে গিফট কিনেছে ওই গিফটটিও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এটা তার সারা জীবন মনে থাকবে। পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু ছোট হিসেবে অনেক টাকা জমিয়েছে আর গিফট যাতে ওর সারা জীবন মনে থাকে সেজন্যই মূলত কিনে দেওয়া। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
ছেলের টাকা জমানো দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।মামা মুরগির ব্যাংক কিনে দিয়েছিল। আর ছেলে তখন থেকে টাকা জমিয়ে ৩১২ টাকা জমিয়েছিল।আপনি সেই টাকা দিয়ে একটি মগ কিনে দিয়েছেন।মগটা সুন্দর হয়েছে।মগের মধ্যে আবার মম লেখা থাকাতে আরো বেশী ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে আমার এই পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু বাচ্চাদের এখন থেকে মৃত ব্যয়ী হওয়া উচিত। এমন অভ্যাস ছোট থেকে করলে সত্যি অনেক ভালো হয়।এটা ঠিক বলেছেন আপু এ ফটোগ্রাফি গুলো স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে আজীবন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই ফটোগ্রাফি গুলো স্মৃতির পাতায় সারা জীবন রয়ে যাবে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
মামার কাছে প্লাস্টিকের মুরগি কিনে নিয়ে তাতে টাকা ফেলানোর বিস্তারিত জেনে বেশ ভালো লাগলো।ঠিক বলেছেন ছোটরা বুড়োদের কে অনুকরণ করে।তবে খুব ভালো লাগলো ছেলের জমানো টাকা দিয়ে সুন্দর একটি মম লেখা মগ কিনে দিয়েছেন। স্মৃতি হয়ে থাকবে এটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ছোটরা সবসময় বড়দের অনুকরণ করে। তাইতো সেই সময়টা আমাদের ভালো কিছু করা উচিত যাতে করে তারা শিখতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
হ্যাঁ আপু ছোটরা সবসময় বড়দের অনুকরণ করে। তাইতো সেই সময়টা আমাদের ভালো কিছু করা উচিত যাতে করে তারা শিখতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার ছেলের মুরগির ব্যাংকে জমানো টাকা দিয়ে অনেক সুন্দর একটি মগ কিনেছেন। মগটা দেখে আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। অল্প অল্প করে ছোট ব্যাংকে টাকা জমালে তেমন বুঝা যায় না। যখন ব্যাংক ভাঙ্গা হয় তখন দেখা যায় অনেক টাকা। আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অল্প অল্প করে জমানোর সময় বুঝা যায় না কিন্তু ব্যাংক ভাঙ্গার পর বুঝা যায়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।