বাসার ছাদে নিজের হাতে লাগানো গাছ (পর্ব-১) || ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম, গ্ৰীষ্মের এই প্রচন্ড গরমে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুভেচ্ছা জানাই আপনাদের সবাইকে। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।
বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য এই দু'মাস গ্ৰীষ্মকাল। গ্ৰীষ্মের অতিরিক্ত গরমে হয়তো জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে তারপরেও একদিকে শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। আপনারা হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন এই গরমের মধ্যে আবার কিসের শান্তি। হ্যাঁ এই গরমের মধ্যে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের মধ্যেই শান্তি যেদিকে তাকাবেন বাজার বলেন আর বাগান বলেন সব দিকে শুধু ফল আর ফল। এই জৈষ্ঠ্য মাসের ফলের মধ্যে আমার কাছে আবার আম খেতে অনেক ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড় আসলে একটু ভয়ও করে।
যাই হোক আমি আবারো আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ আপনাদের সাথে যে পোস্ট শেয়ার করব তা হলো বাসার ছাদে নিজের হাতে লাগানো কিছু গাছের পর্ব। একদিনে সব গাছ দেখানো সম্ভব হচ্ছে না তার জন্য পর্ব দিয়ে শুরু করলাম। আজ শুধু মরিচ গাছের গল্প শেয়ার করবো। এর আগেও আমি বাগানের গল্প শেয়ার করেছিলাম কিন্তু সেটি আমার বারান্দায় ছোট্ট একটি বাগান ছিল। আমার বারান্দায়ও আছে এবং ছাদেও কিছু গাছ লাগিয়েছি। বারান্দায় অল্প জায়গায় বলে তেমন বেশি লাগানো যাচ্ছে না সেজন্য ছাদ একটু বড় ছিল বলে নিয়ে গেলাম।
আমার এই বাগান অনেক দিন ধরে। মাঝখান দিয়ে একটু যত্ন কম নেওয়াতে গাছগুলো কেমন জানি মরে যাচ্ছিলো। তার জন্য আর আমার সেই ছাদের বাগানের গল্প শেয়ার করা হয়নি। আমি এই গাছগুলোর প্রতিনিয়ত যত্ন করতে থাকি। এর ফলে গাছগুলো আবার তাদের প্রাণ ফিরে পায়। তার জন্য এতদিন পরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
আমার বাগানে বোম্বাই মরিচ, সবুজ কাঁচামরিচ ও বেগুনী কাঁচামরিচের গাছ রয়েছে। বোম্বাই মরিচ গাছে অনেক গুলো ফুল ধরেছে। আর সবুজ ও বেগুনী মরিচ গাছে অনেক গুলো মরিচ ধরেছে। আমি মাঝে মাঝে তুলে নিয়ে তরকারিতে দেই। কিছু দিন আগে আমি আপনাদের সাথে দেশি আলু দিয়ে কলমি শাক ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছিলাম সেখানে নিজের গাছের বোম্বাই মরিচ ও কাঁচামরিচ দিয়েছিলাম।
আমি সব ধরনের ভাজিতে বোম্বাই মরিচ দিয়ে রান্না করি। বোম্বাই মরিচের ঝাল যেমন বেশি ঘ্রাণও তেমনি বেশি। এই ঘ্রাণের জন্যেই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সব ভাজিতে বোম্বাই মরিচ দিয়ে খাওয়া আমার শ্বাশুড়ির কাছ থেকে শিখেছি। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এখন গাছে শুধু ফুল আছে তারজন্য মরিচ দেখাতে পারিনি।
প্রতিদিন বিকেলে আমি গাছের মধ্যে পানি দেই। আমার কাছে বিকেল বেলা অনেক ভালো লাগে। কারণ গাছের সাথে অনেকটা সময় কাটানো যায়। সবগুলো গাছের পরিচর্যা করতে হয়। আজ আমার বাগানের গাছের পর্ব এখানেই শেষ করছি। আবার অন্য গাছের পর্ব নিয়ে আসবো আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
এইরকম ভাবে আমরা আগে আমাদের ছাদের উপরে বিভিন্ন রকমের সবজি গাছ এবং ফল গাছ রোপন করতাম। তারপরে প্রতিদিন বিকেল বেলায় গিয়ে পানি দিয়ে আসতাম খুবই সুন্দর ফসল হত। আপনার ছাদের উপরে এই গাছের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খুব সুন্দর ফল পাবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই আপু ছাদে এরকম গাছ হলে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে বিকালের সময়টা চলে যায় ছাদে গেলে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1529369025527939072?s=20&t=2UBv5ZNKE-NfrUwIPMzN2w
আপনি খুব সুন্দর নিজের হাতে লাগানো কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এবং নিজের হাতে গাছের পরিচর্যা করেন। এবং নিজেই গাছের যত্ন করেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু অনেক সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন নিজের বাগানে নিজে যত্ন নিলে তার চেয়ে ভালো লাগা আর কিছুই হতে পারে না। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল।
বাসার ছাদের নিজের হাতে লাগানো গাছ গুলোর খুবই পরিচর্যা করেছেন বুঝি। আর তাইতো ফটোগ্রাফিতে দেখা আপনার গাছগুলো খুবই সতেজ দেখা যাচ্ছে। আবার ফলনও পেয়েছেন। খুবই ভালো সময় কাটানোর ব্যবস্থা করে নিয়েছেন দেখছি। আপনার ছাদ বাগানের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার সবসময় গাছ লাগাতে অনেক ভালো লাগে। গ্রামে যখন ছিলাম তখন ও গাছ লাগাতাম। তাই ঢাকায় আমার বাসার বারান্দাতে অনেক গাছ আছে এবং ছাদে গাছ লাগিয়ে ছিলাম। খুবই ভালো লাগে যখন গাছের পরিচর্যা করি তখন মন ফ্রেশ হয়ে যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি আপনার বাসার ছাদে নিজ হাতে লাগানো কিছু গাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি যে গাছগুলো বাসার ছাদে লাগিয়েছেন সেগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার তেমন একটা তরকারি কেনা লাগে না 😀😀 চেষ্টা করুন আরো অনেক ধরনের সবজি চাষ করার জন্য শুভকামনা রইল
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন আমাদের মরিচ বেশি একটা কিনতে হয় না। অনেক সুন্দর গঠনমূলক কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ছাদ বাগানের ঝাল-গাছে খুব সুন্দর সুন্দর ঝাল ধরেছে আপু। একটু যত্ন করলে হয়তো আরো অনেক বেশি ফল পাবেন। তবে চেষ্টা করুন এখন বর্ষার সময়। একটু কষ্ট করলে অনেক ভালো হবে।
ভাইয়া অনেক সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছাদ বাগানের নিজে হাতে খুবই সুন্দর কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলেন। এই গাছগুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো, আসলে ছাদ বাগানের গাছ লাগাতে পেরে খুবই ভালো লাগে।
আসলে ভাইয়া নিজের হাতে গাছ লাগানো মজাই আলাদা এবং তা যদি হয় নিজের বাসার ছাদে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমারও গাছ লাগানোর খুবই শখ। আশা আছে আমিও গাছ রোপন করব। আপনি আপনার বাগানের তো ভালো গাছ রোপন করেছেন। আসলে নিজের গাছের মরিচ খেতে ভালোই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার গাছের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার গঠনমূলক কমেন্টের জন্য। ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি আপনিও গাছ লাগাবেন সেই দোয়া করি। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল।
আপু মনি আপনি সাদের মধ্যে অনেক সুন্দর একটি বাগান তৈরি করেছেন, আর হ্যা জৈষ্ঠ্যমাসে আম খেতে খুবই মজা, এছাড়াও সাদের উপর আপনার কাঁচা মরিচের গাছ গুলো দেখে ভালোই লাগলো, এবং যথেষ্ট পরিমান মরিচ ধরেছে, এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা, এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
জি ভাইয়া কাঁচা মরিচ গাছে প্রচুর পরিমাণ মরিচ হয়েছে। আসলে আমরা যদি ঠিকমতো পরিচর্যা করি যেকোনো কিছু, তাহলে সবকিছুই ভালো হয়। আর ছাদের উপরে এরকম বাগান আমার অনেক আগেই স্বপ্ন ছিল। তবে একটু একটু করে চেষ্টা করে এখন সফল হয়েছি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু, আপনি একদম ঠিক কথা লিখেছেন গরমে জন জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে চারিদিকে একটু শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় জৈষ্ঠ্য মাস হচ্ছে মধু মাস।এই মাসে বাজার অথবা গাছগাছালির দিকে তাকালেই বোঝা যায় নানা রকমের দেশীয় ফল হয়ে থাকে। তাই জৈষ্ঠ মাস কে অনেকেই মধুমাসে হিসেবে আখ্যায়িত করে। যাইহোক আপু,আপনার মরিচ গাছের ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে আর ইচ্ছে করছে আপনার বাসায় গিয়ে আপনার বারান্দা এবং ছাদের থেকে কিছু মরিচ নিয়ে আসি।আপু,আপনি হয়তো দেখেছেন আমার রেসিপিতে আমি প্রচুর পরিমানের কাঁচামরিচ ব্যবহার করি।আমি কাঁচামরিচ ছাড়া চলতে পারি না।আপনার কাঁচা মরিচ গাছ এবং কাঁচামরিচ গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে। কাঁচা মরিচ গাছে একটু যত্ন নিতে হয় না হলে এই গরমে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
আপু তারজন্যই আপনার সবগুলো রেসিপি পোষ্ট আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আসলে নিজের ছোট বাগানের পরিচর্যা করতে ভালই লাগে। আর যখন এই মরিচগুলো নিয়ে এসে রান্না করি তখন অন্য ধরনের স্বাদ আসে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।