বাটা মশলার স্বাদে মুরগির মাংস ভুনা
হ্যালো বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই আপনাদের পরিবারকে নিয়ে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
আজকে আবারও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে চলে এসেছি। আজকে শেয়ার করবো বাটা মশলার স্বাদে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি। তবে হ্যাঁ, আপনারা এটা মনে করবেন না আমি সত্যি সত্যি মশলা বেটে তারপর রান্না করেছি। আমি আজ গুঁড়া মশলার মধ্যে বাটা মশলার স্বাদ আনার চেষ্টা করেছি। মশলা বেটে মাংস রান্না করলে তার স্বাদ একদম ভিন্ন আসে আর খেতেও খুবই সুস্বাদু লাগে। কিন্তু বর্তমান যুগে শহরের মানুষ তো দূরের কথা গ্ৰামের মানুষেরাই তো বাটা মশলা খায় না। ছোটবেলায় মা কে দেখেছি রান্নার আগে মরিচ থেকে শুরু করে সব ধরনের মশলা বেটে তারপর মাংস রান্না করতো। তখন যেনো মাংসে আলাদা একটা স্বাদ পেতাম। কিন্তু এখন আর সেই স্বাদ পাওয়া যায় না।
তবে আমি আজ সেই স্বাদ ফিরেয়ে আনার চেষ্টা করেছি। যদিও সম্পূর্ণ স্বাদ আসবে না তবে খারাপও লাগবে না। আপনারা রান্না শুরু করার আধা ঘন্টা কিংবা একঘন্টা আগে সব ধরনের গুঁড়া মশলা আর লবণ অল্প পানি দিয়ে গুলিয়ে রেখে দেবেন। তাহলেই বাটা মশলার স্বাদ একটু হলেও পেয়ে যাবেন। এই মশলা দিয়ে মাংস রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমি প্রায় সময়ই এভাবে মুরগির মাংস রান্না করার চেষ্টা করি। আমার পরিবারের সবাই এভাবে মুরগির মাংস খেতে খুব পছন্দ করে। তাহলে চলুন তাহলে চলুন ধাপগুলো দেখে নেই।
𒆜প্রয়োজনীয় উপকরণ 𒆜 |
---|
নাম | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির মাংস | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদ অনুযায়ী |
হলুদের গুঁড়া | দেড় চামচ |
মরিচের গুঁড়া | দুই চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১ চামচ |
পেঁয়াজ কুঁচি | ২টি |
পেঁয়াজ বাটা | পরিমাণ মতো |
আলু | একটি |
তেজপাতা,এলাচ, দারচিনি | গোটা কয়েকটি |
রন্ধন প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
😋১ম ধাপ😋
প্রথমে আমি সবগুলো গুঁড়া মশলা অল্প পানি আর লবণ দিয়ে গুলিয়ে রেখে দিলাম।
😋২য় ধাপ😋
এবার মাংস গুলো হলুদ ও অল্প মরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নেবো।
😋৩য় ধাপ😋
এরপর একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দেবো। তেল গরম হয়ে আসলে মিডিয়াম আঁচে মুরগির মাংস হালকা লাল করে ভেজে নেবো।
😋৪র্থ ধাপ😋
এখন আলুর টুকরো গুলো হালকা লাল করে ভেজে নেবো।
😋৫ম ধাপ😋
সবগুলো একটি প্লেটে তুলে নিয়ে একই তেলে পেঁয়াজ কুচি ও তেজপাতা,এলাচ আর দারচিনি দিয়ে দেবো। এরপর একটু সময় ভেজে নেবো। এরপর পেঁয়াজ বাটা,আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে নেবো।
😋৬ষ্ট ধাপ😋
এবার গুলিয়ে রাখা মসলা দিয়ে আবারও কষিয়ে নেবো।
😋৭ম ধাপ😋
এরপর মুরগির মাংস দিয়ে মসলার সাথে একটু সময় নিয়ে কষিয়ে নেবো।
😋 শেষ ধাপ😋
এবার পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেবো। যখন পানি অল্প শুকিয়ে ঝোল একটু ঘন হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নেবো। তাহলেই হয়ে যাবে আমার আজকের বাটা মশলার স্বাদে মুরগির মাংস ভুনা।
😋 ফাইনাল আউটপুট 😋
সবশেষে এবার এই রেসিপি একটি বাটিতে নিয়ে সাজিয়ে নিলাম। এরপর বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আমার মতো আপনাদের কাছেও যদি এভাবে বাটা মশলার স্বাদে মুরগির মাংস ভুনা খেতে ভালো লাগে তাহলে একবার তৈরি করে দেখবেন। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয়,আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
ওয়াও দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করছেন আপু। মুরগির ভূনাটি দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্না টি অসাধারণ হয়েছে। এই ভাবে মুরগির মাংস ভূনা করে খেতে খুবই ভালো লাগে।আপনি মুরগির মাংস ভূনা করার সব গুলো ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে মুরগির মাংস ভুনা খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বাটা মসলা দিয়ে তরকারি রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার মাকে দেখেছি সব সময় বাটা মসলা দিয়ে তরকারি রান্না করতে। মুরগির মাংস খুবই লোভনীয় লাগছে। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাইয়া এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে বলে আমরা তা ভুলে গিয়েছি। তারজন্য পুরোনো স্বাদ আর খুঁজে পাই না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
মসলা বেটে যেকোনো তরকারি রান্না করলে খেতে খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে মুরগির মাংস তো আরো বেশি মজা লাগে। আজকে আপনার শেয়ার করা মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার এর রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাইয়া বাটা মশলা দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
কতদিন যে বাটা মসলা খাওয়া হয় না। আগে ছোট বেলায় বেশ খেতাম। আপনার বাটা মসলা দিয়ে এমন করে মুরগির মাংস রান্না দেখেলে কিন্তু সত্যি বেশ ভালোই লাগছে। আপনার রেসপিটি যে সুস্বাদু হয়েছে সেটা কালার দেখেই বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে খেয়ে দেখবেন আশা করি বাটা মশলার স্বাদ পাবেন। হ্যাঁ আপু খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ।
আপু, আমিও ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের বাড়িতে সব মসলাই বেটে তাই দিয়ে রান্না করা হতো। আসলে মসলা বেটে রান্না করলে মাংসের স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তবে বর্তমান সময়ে মিক্সারে করে মসলা বেটে তাই দিয়ে মাংস রান্না করা হয়। যার ফলে আর পাটায় বাটা মসলার মত রান্নার স্বাদ হয় না। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা এই বাটা মশলার স্বাদে রান্না করা মুরগির মাংসের এই রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার। এতো সুন্দর একটি সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আগের মানুষেরা টাটকা সব ধরনের খাবার খেতো বলেই তাদের রোগ বালাই কম ছিল। এখন আমরা যত বেশি আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ততই সমস্যা হচ্ছে। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। যাইহোক, আধুনিকতা বাড়লে সমস্যা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।
বেশ অসাধারণ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। বাটা মশলা দিয়ে যেকোনো মাংস রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে বাটা মশলার স্বাদে মুরগির মাংস ভুনা করেছেন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
https://x.com/tanjimaABB/status/1830639760848888038?t=fZ42HvPJ-j4ovCLgy2MX5Q&s=19
বাটা মসলা দিয়ে যেকোনো জিনিস রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। বাটা মসলা ব্যবহার করলে রেসিপির স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যায়। মুরগির মাংসের দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বেশ লোভনীয় লাগছে রেসিপি টা দেখতে। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু বাটা মশলা দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। একবার খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
বাসায় গিয়েই এমন পদ্ধতিতে রান্না করে খেয়ে দেখব কেমন লাগে। রান্নাটি দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে আর খেতেও খুব মনে চাচ্ছে কিন্তু কিছুই করার নেই আপনার বাসা তো অনেক দূরে তাই নিজে নিজেই রান্না করে খেতে হবে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আজকেই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আর আমাকে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।