জেনারেল রাইটিং|| সব সুখ সরকারি চাকরিজীবীদের

আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম জানাই। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের নতুন ব্লগ।

এতক্ষণে আমার টাইটেল পড়ে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন আজ কি ব্লগ নিয়ে এসেছি। আজ একদম সত্য কথা বলতে আমার এই ব্লগ লেখা। হয়তো কেউ কেউ একমত হবেন আবার কারো কাছে খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু তাই বলে তো সত্য বলা থামানো যাবে না। আমাদের এই সমাজে যেমন বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে তেমনি বিভিন্ন ধরনের কর্মজীবী মানুষও রয়েছে। কেউ ছোট কাজ করে আর কেউবা বড় কাজ করে। কিন্তু আমি মনে করি ছোট কিংবা বড় যাই হোক কাজ তো কাজই। তবে বড় কাজে কষ্ট একটু কম। কেন এই কথা বলেছি জানেন।

ধরেন যারা সরকারি চাকরি করে আর যারা রিক্সা চালায় এই দু'টো কাজ কি এক? না, এই দু'টো কাজ এক নয়, একজন খুব শান্তিতে বসে কাজ করে আর একজন সারাদিন শরীরের ঘাম জড়িয়ে পরিশ্রম করে ইনকাম করে। কিন্তু সেই সব মানুষকে কেউ মূল্য দেয় না। তারা যদি কিছু টাকা ভাড়া বেশি চায় তখন কত গালাগালি শুনতে হয়। কিন্তু যখন একজন সরকারি চাকরিজীবী আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দেবে বলে ঘুষ চায় তখন আমরা কতই খুশি হই?

আমরা চিন্তা করি কিছু টাকার বিনিময়ে কাজটা হয়ে গেলে তো ভালোই হয়। তখন আর টাকা দিতে আমাদের সমস্যা হয় না। কিন্তু রিকশাওয়ালা কে ১০ টাকা বেশি দিতে যত সমস্যা। সামনে ঈদ আসছে তারজন্য সরকারি চাকরিজীবীরা যতটাকা বেতন পায় তার অর্ধেক টাকা হয়তো বোনাস পাবে। তাছাড়া ছুটি তো রয়েছেই। কিন্তু যারা বেসরকারি কিংবা দিনমজুর আর রিকশাওয়ালা রয়েছে তাদের কে বোনাস দেবে? তারা প্রতিমাসে বিনামূল্যে কত ধরণের রেসন পায় কিন্তু কয়জন বেসরকারি চাকরিজীবী ও দিনমজুররা এভাবে রেসন পায়।

তাদের থাকার জন্য দেওয়া হয় কোয়ার্টার কিন্তু যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের কে দিবে কোয়ার্টার? গতকাল নিউমার্কেট গিয়েছিলাম মার্কেট করতে আর তখন দেখলাম আজিমপুর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার বানানো হচ্ছে। তখন যেন বারবার আমার মাথায় সাধারণ মানুষদের পরিশ্রমের কথা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। শুধু একটা কথাই ভেবে যাচ্ছিলাম, "দু'কলম লিখে শিক্ষিত হয়েছে বলে তাঁদের এত সম্মান কিন্তু বাকি মানুষদের কোনো মূল্য নেই।"

হয়তো সরকারি চাকরিজীবীদের মতো তাদের এতো মূল্য দেওয়া যাবে না। তাহলে সবাই সমান হয়ে যাবে আর এতে হয়তো কেউ কষ্ট করে পড়ালেখা করবে না। আমি সরকারি চাকরিজীবীদের সাথে তুলনা করছি না। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি,' তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তাছাড়া তাদের অন্তত একটু সম্মান দেওয়া উচিত। তাহলেই দেখবেন এই মানুষগুলো খুব খুশি হবে। তাহলে তাদের কখনো মনে হবে না তারা ছোট কাজ করে।

যাই হোক অনেক কথা বলেছি আর আপনারা সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লে বলবেন, না,আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমরা যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়াই তাহলে তারা তাদের এই ছোট কাজকে নিয়ে গর্ব করবে। আজ এই পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন এই দোয়া কামনা করি। এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।

আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।

---

---