চাল গুঁড়া করার কিছু মূহূর্ত || ১০% প্রিয় লাজুক-খ্যাক🦊এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সবার দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আমি আবারও ভিন্ন ও ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। তবে আপনাদের কাছে কতটা ইউনিক লাগবে জানিনা। সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের ভালো লাগার জন্য ভালো ও ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে শুরু করি। এর আগে কিছু পোস্টে আমি বলেছিলাম গ্রামে বেড়াতে এসেছি। তারজন্য যা আমার ভালো লাগছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। আপনারাও আমার আগের পোস্ট গুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আশা করি আজকের পোস্টও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আগামীকাল আমাদের ঈদুল আজহা সেই উপলক্ষে আমার শ্বাশুড়ি বলছে কিছু পিঠা বানাতে হবে। তারজন্য আমি আর আমার শ্বাশুড়ি মিলে দোকান থেকে আতপ চাল নিয়ে আসলাম পিঠা খাওয়ার জন্য। কিন্তু পিঠা বানাতে হলে এই চাল গুঁড়া করতে হবে। তারজন্য সকাল থেকে চাল ভিজিয়ে রেখেছিল। শ্বাশুড়ি আমার স্বামীকে বললো চাল ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসতে সে বললো তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা আছে বলে চলে গেল আর আমার দেবরকে বললো সেও পারবেনা বলে চলে গেল। এরপর আমার শ্বাশুড়ি পুরাতন একটা চাল গুঁড়া করার গাইল ছিয়া বের করে আনলো।
এখানে একটা কথা বলি আমাদের নরসিংদী চাল গুঁড়া করার এই যন্ত্রের নাম বলে "গাইল ছিয়া" আর আমার শ্বশুর বাড়ি বলে "আমানদিস্তা" এর নাম একেক জায়গায় একেকটা বলে। যাই হোক আমি সেই ছোট বেলায় দেখেছি আমার মা-চাচিরা এই গাইল ছিয়া দিয়ে অনেক চাল গুঁড়া করেছে। কারণ ঐ সময় তো এখনকার মতো চাল গুঁড়া করার মেশিন ছিল না। আমরা এই গাইল ছিয়া দিয়ার মধ্যে কত যে বড়ই ভর্তা করে খেয়েছি আজ এটা দেখে মনে হলো। এই গাইল ছিয়া বড়ই ভর্তা বানিয়ে খেতে দারুণ মজা লাগে।
ছোট বেলায় যখন ঠান্ডা লাগতো তখন মা চাউল ভেজে কাঁচামরিচ,পেঁয়াজ, রসুন আর আদা একসাথে নিয়ে এই গাইল ছিয়া দিয়ে গুঁড়া করে দিত খেতে যে কি মজার ছিল বলে বুঝাতে পারবো না। যদি আপনাদের বাড়িতে এই গাইল ছিয়া থাকে তাহলে এভাবে আপনারা গুঁড়া করে খেতে পারেন। এই গুঁড়া ঠান্ডার জন্য অনেক উপকারী। হয়তো এটা দিয়ে গুড়া করতে কষ্ট হয় তবে এই গুঁড়া মেশিন থেকে অনেক ভালো।
আমার শ্বাশুড়ি গুঁড়া করে দিয়েছে আর আমি চালনি দিয়ে চেলে দিয়েছি। এই কাজ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু আমি ছিয়া উঠাতে পারিনা বলে চাল গুঁড়া করতে পারিনা। আপনাদের সাথে এই সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
আজ এখানেই এই সুন্দর মুহূর্তের কথা শেষ করলাম। এসব কথা লিখলে মনে হয় শেষ হবেনা। আবার দেখা হবে নতুন কোনো লেখা নিয়ে নতুন কোনো পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
Twitter Share
https://twitter.com/tanjima_akter16/status/1545788781227302913?s=20&t=htFww0KKwDfEK9BcX2Xi1A
চাল গুঁড়া করার কিছু মূহূর্ত বাহ্ বাহ্ দারুন হয়েছে। চাল গুঁড়া করার এই যন্ত্রের নাম বলে "গাইল ছিয়া" বাহ্ চমৎকার নাম । প্রথম শুনলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া এই নাম সত্যি অনেক সুন্দর। গ্রামে আসলে এখনো কিছু কিছু ঘরে এই যন্ত্র দেখা যায়। আপনার গঠনমূলক মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে আসলেই ইউনিক একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
চাউল গুড়া করার নতুন একটি পদ্ধতি দেখলাম এভাবে কখনো দেখি নাই আমি খুবই ভালো লাগলো ধাপগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন চাউল গুড়া করার শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া এই কাজগুলো ছোটবেলায় গ্রামে অনেক দেখছি কিন্তু এখন গ্রাম থেকেও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটকালে আম্মুকে এবং ছোট ফুফুকে দেখতাম এ জাতীয় কাজগুলো করতে। অনেকদিন তা দেখা হয় না। খুবই ভালো লাগলো। মনের মধ্যে জেগে উঠলো আমি গ্রাম বাংলার সন্তান। আজও আমার গ্রাম বাংলায় এ জাতীয় কাজগুলো করা হয়। অনেক খুশি হলাম আপনার এই কাজ দেখে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই কাজগুলো দেখলে মনে হয় আমরা গ্রাম বাংলার সন্তান। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে ঈদে বাড়ি যেয়ে শাশুড়ির সাথে মিলে আপনি চালের গোড়া দিয়ে যে পিঠা বানিয়েছেন সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। এবং সর্বশেষ ধাপ দেখে মনে হচ্ছে পিঠাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া এখানে শুধু চাল গুঁড়া করার পদ্ধতি দেখিয়েছি পিঠা বানানো দেখাতে পারিনি।তবে এভাবে চাল গুঁড়া করে পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চালে গুড়া পিঠা অনেক সুস্বাদু হয়।মেশিনে চাল গুড়া আর এভাবে চাল গুড়া করা স্বাদ একটু আলাদা হয়। এখনকার মানুষ তেমন এটা ব্যবহার করে না। আধুনিকতা ছোয়া সব এজিলি খুঁজে। তবে আমাদের গ্রামের এখনও আছে আমরা বলি ডেকি, ডেকি চাল গুড়া করে । এটা হাত দিয়ে গুড়া করতে হচ্ছে,আমাদের টা হচ্ছে পা দিয়ে চালাইতে হয়। পুরানো দিনের
জিনিস তুলে ধরা জন্য ধন্যবাদ।
পা দিয়ে চালাতে হয় যেটি সেটাকে আমরাও ঢেকি বলি তবে এটা হাত দিয়েই চালাতে হয়। এই জিনিস গুলো এখন গ্রাম থেকেও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।