প্রথম শ্বশুর বাড়ি যাওয়া গল্প।১০% লাজুক-খ্যাঁককে
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু-আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আমি আবারও চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। আমার কাছে ভিন্ন ধরনের পোস্ট করতে অনেক ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করি ভিন্ন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে। আমি গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমার বিয়ের গল্প শেয়ার করেছিলাম এবং আপনাদের সবার কাছে সেই গল্প খুব ভালো লেগেছিল। আমি তখন বলেছিলাম প্রথম শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার গল্প শেয়ার করবো তাই চলে আসলাম সেই গল্প নিয়ে।
আমার বিয়ে হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখ। ছোট একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার কাবিন হয়। আমরা ভেবেছিলাম পরে বড় অনুষ্ঠান করে শ্বশুর বাড়ি উঠিয়ে নিয়ে যাবে। আমি ঢাকায় থাকি এবং আমার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী। আমার শ্বশুর বাড়ি বাগেরহাট। সবাই এত দূর বলে সবসময় অনেক চিন্তা করতো। আমার হাসবেন্ডের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় আর সেখান থেকেই আমাদের বিয়ে। আমি এই গল্প একদিন শেয়ার করেছিলাম। যাই হোক মূল গল্পে আসি। আমার বিয়ের দেড় বা দু'মাস পরেই কুরবানির ঈদ ছিল।
আমার শ্বাশুড়ি আমাকে ফোন দিয়ে বললো তোমার বিয়ের পর এই প্রথম ঈদ এবং আমারও তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তাই বলছি তুমি এবার ঈদ গ্রামেই কর। আমার মাকে এই কথা বললাম। মা বললো তাহলে আর উঠিয়ে নেওয়া হবে না। এরপর আমরা সবাই চিন্তা করলাম যদি আমাদের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি কাছাকাছি হতো তাহলে উঠিয়ে নেওয়ার বিষয় চিন্তা করা যেত। যেহেতু এত দূর তাই এই বিষয় নিয়ে কথা না বলাই ভালো।
তারপর আমার মা এবং ভাইয়া সবাই রাজি হলো কিন্তু কষ্ট একটাই আমার সাথে কেউ যেতে রাজি নয়। কারণ ঈদের সময় যদি কেউ আমার সাথে যায় তাহলে মার সাথে কে থাকবে। আমার আব্বু বেঁচে থাকলে হয়তো এই সমস্যা হতো না। আমার ভাইয়ারও তখন কাবিন হয়েছে ভাবিকে নিয়ে আসেনি আর ছোট ভাই তখন কলেজে পড়ে। তাই আমাকে একা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলো। আমি যেহেতু একমাত্র মেয়ে তার জন্য মা কান্না শুরু করলো। মা বারবার বললো ঈদের পরে যাও কিন্তু ঐদিকে আবার শ্বশুর বাড়ির সবাই যাওয়ার জন্য ফোন দিচ্ছে। তারপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে যেতে হলো।
আমার শ্বশুর বাড়িতে নতুন বউ ঘরে উঠানোর সময় কিছু নিয়ম পালন করা হয়। সেই নিয়ম আমার হাসবেন্ড আগে থেকে আমাকে শিখিয়ে নিয়ে যায়। যদি ও এসব নিয়ম না জানতো তাহলে আমাকে নিয়ে গ্রামে লোকজন বিভিন্ন কথা বলতো। আমরা রাত ৯টায় গাড়িতে ওঠি। যেহেতু অনেক দূরের যাত্রা তাই রাতে রওনা দিলাম। আমার মা যাওয়ার সময় এত কান্না করেছে আমি দেখে নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমি গাড়ি দিয়ে যাই আর কান্না করি। এরপর আমার হাসবেন্ড মাকে একটু পর পর ফোন দিয়ে বললো আপনি কান্না করেন দেখে আপনার মেয়েও কান্না করে।
এভাবে আমরা দুপুর ৩টায় বাড়িতে গিয়ে উঠি। আমার শ্বশুর বাড়ি ছাদ দিয়ে করা এবং বাড়ির সামনে সিঁড়ি আছে। আমার ফুফু শ্বাশুড়ি সিঁড়ি থেকে ঘরের ভিতর পর্যন্ত শ্বাশুড়ির শাড়ি বিছিয়ে রেখেছে। আমি যদি এই শাড়ির উপর দিয়ে যাই তাহলে মানুষে অলক্ষী বলবে আর এই শাড়ি উঠিয়ে বুকের মধ্যে নিয়ে গেলে লক্ষী বউ। আমি তো আগে থেকে সব জানতাম। এরপর শাড়ি উঠিয়ে নিয়ে যাই তা দেখে সবাই খুশি। ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি নতুন কলস রাখা এবং এর ভিতর হাত দিতে বললো। এটি খালি কলস এর ভিতর হাত দিয়ে বলতে হবে শ্বশুরের কলস ধনরত্ন দিয়ে ভরা।
এই নিয়ম পালন করিয়ে আমাকে আমার রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাদের বাড়িতে আবার এই নিয়মগুলো নেই। তারজন্য আমি সেই দিন খুব মজা পেয়েছিলাম। এভাবে শেষ হলো আমার প্রথম শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার গল্প। আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেমন আর তারা তখন আমার সাথে কেমন ব্যবহার করেছে সেই গল্প আরেকদিন শেয়ার করবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন এই দোয়া কামনা করি।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
![C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmbja4sC5ZUQ1cTzZwYPsSiJ8fyCFS8g2jAJtXkWi8s8oi/C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNpz9QdwayY5Yi9CLY9MtT8LrEqRdgJNMVyDhfNXBpAU4Pibi529MgNWfUK56xyKKaicF23jVAW.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdkckySfU4dLA17wixLyomDfqmijASCbrGn3ceCYuhgNM/2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
![2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif)
![PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmR2mawKEaaBp8XoGwrwWJn88s1nvkJG8YiBrtepRVPpVF/PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
![RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZQ7F9Zp7jdu2Dym9AU62Tj5fHdsZoC1pamo6EkKJXC7K/RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png)
ওয়ালাইকুম আসসালাম,
আপনার প্রথম শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার গল্পটি পড়লাম বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। প্রথমবার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছেন তাও আবার একা জেনে অবাক হলাম। আর আপনার শ্বশুর বাড়ি যে নিয়ম এই নিয়ম আমি আজকেই প্রথম শুনলাম। এর আগে কোথায় এরকম নিয়ম দেখিনি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া একাই যেতে হয়েছে। আমি এর আগে এই নিয়মের কথা শুনিনি।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনি ও ভাইয়ের বিয়ের গল্পটা শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনাদের পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে এবং সেখান থেকে আপনাদের বিয়ে হয়। তবে আপনার বাসা নরসিংদী আর বিয়ে হয়েছে বাগেরহাট মাঝখানে কিন্তু অনেক দূরত্ব। এটাই হচ্ছে বিধির বিধান যেখানে বিয়ে লেখা থাকবে সেখানে হবেই। আপনার পুরো গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ মাঝখানে অনেক দূরত্ব। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার প্রথম বার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার ঘটনা জেনে ভালো লাগলো অনেক আপু। আসলে মায়ের সাথে সেই জন্ম থেকে রয়েছেন তাই বিদায় বেলা আপনার মা কেঁদেছে। আর আপনিও বাস যাত্রায় কাঁদলেন। যেতে তো ভালোই সময় লেগেছে দেখা যায়।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
একবার কাবিন হয়ে গেলে পরে অনেকেরই আর ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হয় না। আপনারও তাই হলো। যাক শ্বশুরবাড়ির নিয়ম কানুন গুলো আগে জেনে গিয়েছিলেন তা না হলে তো বিপদে পড়ে যেতেন এই নিয়ম না জানা থাকলে । আমি হলে তো শাড়ির উপর দিয়ে হেটে চলে যেতাম। তাহলে কি অবস্থাটা হতো। গ্রামের যত সব অদ্ভুত নিয়ম। এখনকার দিনে আর এগুলো তেমন দেখা যায় না। ভালো লাগলো আপনার প্রথম শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার গল্প পড়ে।
হ্যাঁ আপু একবার কাবিন হলে আর ওঠিয়ে নেওয়া হয়না।গ্রামের এই অদ্ভুত নিয়ম মাঝে মাঝে ভালোও লাগে।গঠনমূলক মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
এভাবে হুট করে কখনো কাউকে শ্বশুরবাড়িতে যেতে দেখি নি আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। কারণ কাবিননের দিন নিয়ে যায় শুনেছি তবে কাবিন করে রাখার পরে হুট করে একদিন ফোন করে বলল চলে আসো এরকম ঘটনা আগে কখনো শুনিনি। আবার কাপড় বিছিয়ে রাখে সেটা পারা দিয়ে গেলে কুসংস্কার আবার খালি কলসের ভেতর হাত দিয়ে বলতে হবে কলস ভর্তি ধনরত্ন এসব কিছু সত্যি আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ভালো লাগলো নতুন জিনিস জানতে পেরে।
আপু আগে থেকে জানা ছিল বলেই সাবধান হতে পেরেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
প্রথমে আপনার টাইটেল দেখে ভেবেছিলাম আপনার মনে হয় কিছুদিন ধরে বিয়ে হয়েছে। পরে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে জানতে পারলাম আপনার ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জীবনের এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ওরে বাবারে কি সব পরীক্ষা!!!! শাশুড়ীর শারি তুলে হাতে করে নিয়ে যেতে হবে আবার খালি কলসে হাত দিয়ে বলতে হবে ধন রত্ন ভরা। কি আজব সব নিয়ম। আসলেই মেয়ে হয়ে জন্মালে কত পরীক্ষা দিতে হয়। দারুন লাগলো আপনার গল্প। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শ্বশুর বাড়ি মানেই পরীক্ষার শেষ নেই। মেয়েদের সারা জীবনই পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এরকম ইন্টারেস্টিং পোস্টগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।। আপনি তো দেখছি আপনার বিয়ের প্রথম দিনের গল্পটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাদের শ্বশুর বাড়ির যে নিয়ম গুলোর কথা বলেছেন সেই নিয়মগুলোর কথা আমি আজকে প্রথম শুনলাম বলে আমার মনে হচ্ছে। এমনিতেই এরকম পোস্টগুলো খুবই পছন্দ করি। আমি এরকম কুসংস্কার গুলোতে এত বেশি বিশ্বাস করি না। খালি কলসের ভেতরে হাত রেখে বলতে হবে এটি শ্বশুরের ধনরত্নে ভরা। সত্যি খুবই আজব বিষয়। যাইহোক খুবই সুন্দরভাবে লিখেছেন। আপনি যেন আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন সেই কামনা করি।
আমাদের এদিকে আবার এগুলো মানা হয়না। হ্যাঁ আপু আমিও প্রথম শুনে অবাক হয়েছিলাম।ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপু আপনার শ্বশুরবাড়ির গল্প পড়ে ভাল লাগলো।আসলে এসব নিয়ম আগের দিনে করা হতো।সবই কুসংস্কার বলে আমি মনে করি।তবে হে আপনি আগে থেকে না জানলে কাপড়ে ত পা দিয়ে ফেলতেন।গ্রামের সব অদ্ভুত নিয়ম হয়ত এখনো আছে। পড়ে বেশ কিছু জানতে পারলাম।অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমার শ্বশুর বাড়িতে নাকি এভাবেই বউকে বরণ করে ঘরে তুলতে। হ্যাঁ আপু আগে থেকে নিয়ম জানাতে সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।