দার্জিলিং যাওয়ার পথে তিন চুলে চা বাগানের সৌন্দর্য্য
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম গ্যাংটক ভ্রমণের নতুন একটি পর্ব নিয়ে। গত দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম গ্যাংটক থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথের কিছু সৌন্দর্য। আমরা লাভার ভিউ পয়েন্ট পার হয়ে চলে গিয়েছিলাম তিন চুলে গ্রামে। সবুজের মাঝে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এই গ্রামটি একেবারে পারফেক্ট। এখানে চাইলে হোমস্ট্রে করা যায়। এখানকার লোকজন অতিথি আপনের খুবই আন্তরিক। জলপাইগুড়ি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি। জলপাইগুড়ি থেকে এখানে আসতে সময় লাগে তিন ঘন্টা লাগে। দার্জিলিং থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে এবং কালিংপং থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। দার্জিলিং থেকে এখানে আসতে ১ ঘন্টা এবং ক্যালিংপং থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
আমরা যেহেতু সিকিম থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে এখানে গিয়েছিলাম তাই আমাদের থাকার ইচ্ছা ছিল না। সাথে সময়ও কম ছিল। তাই আমরা এখানকার বিখ্যাত যে চা বাগান রয়েছে রংলি রংলিয়ট সেখানে গিয়েছিলাম। এখানে তিন ধাপে চা বাগান রয়েছে। এর প্রধান সৌন্দর্য এখানকার রাস্তা গুলো। রাস্তা গুলো বাঁকানো এবং দুই পাশ দিয়ে বিস্তৃত চা বাগান। এই সৌন্দর্য সামনাসামনি না দেখলে বোঝা যায় না। তাছাড়া এখান থেকে দূরের সিকিম, টাইগার হিল, রাম্বি খোলা, দূরপিন প্রভৃতি জায়গা গুলো দেখা যায়।
এর আগের বার যখন দার্জিলিঙে গিয়েছিলাম তখন এই জায়গাটিতে যাওয়া হয়নি। এবার গিয়ে মনে হল যে আসলে অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা গতবার আমরা মিস করে গিয়েছিলাম। একেবারে পাহাড়ের মাথায় এরকম চা বাগান দেখতে কার না ভালো লাগে।
ছবিগুলোতে নিশ্চয়ই এখানকার রাস্তার এবং চা বাগানের সৌন্দর্য বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া এখানে দাঁড়িয়ে দূরের পাহাড়ে মেঘের খেলা দেখতে খুব ভালো লাগছিল। মেঘে মাঝে মধ্যে পাহাড়গুলো হারিয়ে যাচ্ছিলো। আবার কিছুক্ষণ পর দেখা যাচ্ছিল। এককথায় মুগ্ধ হয়ে দেখার মত পরিবেশ।
নিচের ছবিটিতে দূরের পাহাড়ের আকৃতি দেখলে অনেকটা স্লিপিং বুদ্ধার মত লাগে। এই স্লিপিং বুদ্ধা দেখতেও অনেকে এখানে আসে। আসলে সামনাসামনি খুব সুন্দর ভাবে খেয়াল করলে বিষয়টি বোঝা যায়।
এখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর আমরা আবারো রওনা দিলাম দার্জিলিং শহরের উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে সেই পর্বগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
তিন চুলে গ্রামে আমার একটা বন্ধু থাকে। আমি যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম আমার সাথেই পড়তো। তবে ওখানে কোনদিন যাওয়া হয়নি আমার। যদিও দার্জিলিং এর সৌন্দর্যের কোন শেষ নেই। আমি কখনো দার্জিলিং যায়নি তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য কতটা অপরূপ। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় মেঘের ভিতর পাহাড় হারিয়ে যাওয়ার যে ব্যাপারটা, সেটা কিন্তু আসলেই বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে আপু। যাইহোক, আপনার মাধ্যমে দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু সৌন্দর্য দেখতে পেলাম আজ।
যেহেতু ওখানে আপনার এক বন্ধু থাকে তাহলে সময় পেলে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। অসম্ভব সুন্দর জায়গা। খুব ভালো লাগবে সময় কাটাতে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বন্ধুটা বারবার বলে তাদের ওইখানে যাওয়ার জন্য কিন্তু সেই ভাবে প্ল্যান করে এখনো পর্যন্ত যাওয়া হয়নি কোনো দিন। সময় সুযোগ বের করতে পারলে অবশ্যই যাবো।