গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। গ্রামে গেলে চারপাশে এত সুন্দর প্রকৃতি দেখলে ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। যদিও আমি ফটোগ্রাফি তেমন একটা ভালো পারি না। তারপরও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ফটোগ্রাফি করার। বিশেষ করে এত সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি না করে কি থাকা যায়। এই ছবিগুলো বেশিরভাগই আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলেছি। কারণ গ্রাম বলতে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া হয়। অন্য কোন গ্রামে তেমন একটা যাওয়া হয় না। তাছাড়া দাদু বাড়ি আর নানুবাড়িতে ছোটবেলায় গ্রামে যাওয়া হতো। কিন্তু বড় হওয়ার পর কত বছর যে যাওয়া হয় না তার কোন ঠিক নেই। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে বাপের বাড়ি ঠিকমত যাওয়া যায় না সেখানে তো দাদু বাড়ির নানু বাড়ি দূরের কথা। যাদের অবশ্য শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়ি কাছাকাছি তাদের জন্য এই সুবিধা। কিন্তু আমার তো শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশের এক প্রান্তে আর বাপের বাড়ি বাংলাদেশের ওপর প্রান্তে। আমি মাঝখানে থেকে পরেছি বিপদে। ছুটি পেলে কোন দিকে যাব তাই বুঝতে পারি না। যাইহোক আমার ফটোগ্রাফি গুলো আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমার শ্বশুরবাড়িতে বেশিরভাগই ছোট ছোট আম গাছ। আমগুলো হাত দিয়ে ধরা যায় এমন সাইজের। গাছ ভর্তি এত আম ধরে দেখতে ভালো লাগে।
পুকুরপাড় থেকে একটি কলা গাছের কলার ছবি তুলেছি। কলা গুলো এত ধরেছে যে গাছটির প্রায় বাঁকা হয়ে পরে যাওয়ার মত অবস্থা। তাছাড়া নিচের গাছটিতে মাত্র কলার মোচা এসেছে। কলা এখনো ছোট ছোট। নিজেদের গাছের কলা খাওয়ার মজাই আলাদা।
এগুলো পাকা ধানের ছবি। ধান ক্ষেত দূর থেকেই সব সময় দেখা হয়। এবার কাছ থেকে দেখে এত ভালো লাগলো যে ছবি তুলে ফেললাম। পাকা ধানের এক রকম সৌন্দর্য আবার কাচা ধানের অন্যরকম সৌন্দর্য। সব রকম ধান ক্ষেত দেখতেই খুব ভালো লাগে।
উপরে একটি পোকার ছবি। ধানক্ষেতের পাশে জংলি গাছের উপরে পোকাটি হাটছিল। দেখতে কেমন ভয়ংকর লাগছিল তারপরও সাহস করে ছবিটা তুলে ফেলেছি। তাছাড়া নিচে একটি মুরগির ছবি তুলেছি। মুরগির ছবি তোলা বেশ কষ্টকর। মুরগি এক জায়গায় দাঁড়াতেই চায় না। ছবি তুলতে গেলে তো আরো দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়।
এই ছোট ছোট হাঁসের বাচ্চাগুলো খুব কিউট লাগছিল। হাঁসের বাচ্চাগুলো যখন একসঙ্গে সব হাটে তখন দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone11 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আসলে গ্রাম বাংলার সুন্দর দৃশ্য দেখলে ছবি তুলতে ইচ্ছে করে, আপনি বেশ কিছু চমৎকার তুলেছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
চমৎকার বর্ননার সাথে ছবিগুলো বেশ ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রাম বাংলার দৃশ্য দেখলে ছবি না তুলে থাকা যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু ঈদের মধ্যে ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আপু আপনার হাজবেন্ডের বাড়ি কোথায় সেটা তো জানি কিন্তু বাবার বাড়ি বাংলাদেশের কোন এলাকায় সেটা জানিনা। ধন্যবাদ।
ঈদের সময় গ্রামে যাওয়া হয় আর এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটানো হয়। আমার বাবার বাসা ফরিদপুর। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হায়রে কপাল শ্বশুড়বাড়ি আর বাপের বাড়ি দুই প্রান্তে হলেই তো ভালো তাতে করে মজা আর আদর বেশী পাওয়া যায়। সে যাই হোক। বাড়িতে গিয়ে কাচাঁ আম কাচাাঁ কলা, দেশী মুরগী আর হাঁসের এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করে শুধু পোস্ট করলে কি হবে? একটু দেশীয় খাবার দাবার আমাদের কে শেয়ার করলে কি হয়। এত কিপটামী করে লাভ কি আপু?
আমি এগুলো খেলে তো ছবি দেখতে পারতেন। আমি খাইনি জন্য ছবিও ভাগ্যে জুটলো না আপু। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণভাবে গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এমনিতেই গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি আমি বেশ পছন্দ করি। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কলার ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের সৌন্দর্য হলো অতুলনীয়। যে সৌন্দর্যের পরিমাপ করা যায় না। আপনি ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে তুলেছেন। তবে সব বেশিরভাগ ফটোগ্রাফি আপনার শ্বশুর বাড়ির। আপনি ঠিকই বলেছেন মেয়েদের বিয়ের পরে বাপের বাড়িতে তেমন যাওয়া হয় না দাদা দাদি বাড়ির কথা তো অনেক দূরে থাকলো। কলার মোচা এর ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর দৃশ্য গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
গ্রাম বলতে শুধু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া হয়। তাছাড়া এখন অন্য কোন গ্রামে আর তেমন একটা যাওয়া হয় না। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু, গ্রামীন পরিবেশ কতটা যে সুন্দর তা গ্রামে না গেলে সেই সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায় না। গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য সত্যি মনকে প্রশান্তি এনে দেয়। আর হ্যাঁ আপু, মেয়েদের বিবাহিত জীবনে বাবার বাড়ির চাইতে শ্বশুরবাড়িতেই বেশি সময় দিতে হয়। এ নিয়ে আপনার ভাবিও মাঝে মাঝে খুব দুঃখ প্রকাশ করে। এক দিকে নিজের স্কুল অন্যদিকে মেয়ের স্কুল তারপরে তো সংসারের প্যারা রয়েছে, যার কারনে সবকিছু সামলিয়ে তার আর কোথাও যাওয়া হয় না। তবে সে এখন সবকিছুই মানিয়ে নিয়েছে। যাইহোক আপু, আজ আপনার গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাপের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি পাশাপাশি হলে তাও সুবিধা। কিন্তু আমার মত দুই জায়গায় দুইটা হলে তো আরো বেশি মুশকিল যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর কিছু গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আমার কাছে পোকার ছবিটি বেশি ভালো লেগেছে। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোকাটি দেখতে আমার কাছেও ভালো লেগেছিলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।