পানি ছাড়া বোয়াল মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে বোয়াল মাছের একটি রেসিপি তৈরি করেছি। সব সময় তো একই রকম ভাবে রান্না করা হয়। এজন্য আজকে একটু ভিন্ন রকম ভাবে রান্না করেছি। আজকের রান্নায় খুবই সামান্য পানি ব্যবহার করেছি। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি দিয়েছি। এজন্য মাছের স্বাদ অন্যরকম হয়েছে। এই পদ্ধতিতে আগে কখনো মাছ রান্না করিনি। তাই একটু ভয়ে ছিলাম যে খেতে কেমন লাগবে। তাছাড়া পানি ছাড়া রান্না করার কারণে বারবার নেড়ে দিতে হয়েছে যাতে নিচ থেকে পুড়ে না যায়। অনেক সময় নিয়ে রান্না করেছি। রান্না শেষ হওয়ার পর রেসিপিটি আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
পিঁয়াজ
কাঁচামরিচ
আদা বাটা
রসুন বাটা
পিঁয়াজ বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুড়া
জিরা গুড়া
লবণ
সরিষার তেল
ধনিয়া পাতা
প্রথমে একটি পাত্রে মাছগুলো নিয়ে তার মধ্যে আদাবাটা, পেঁয়াজ বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। তারপর পিঁয়াজ এবং কাঁচামরিচ দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন সব গুড়া মশলাগুলো দিয়েছি। তারপর সরিষার তেল দিয়ে ভালো মতো মাখিয়ে এক ঘন্টার জন্য মেরিনেট করে রেখে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এক ঘন্টা পর চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপর তেজপাতা দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর মাছগুলো দিয়ে তেলের সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি। এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব।
![]() | ![]() |
---|
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে যে পাতিলে মেরিনেট করেছিলাম সেই পাতিল ধুয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারো ঢেকে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করেছি। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিয়েছি যাতে নিচ থেকে পুড়ে না যায়। তারপর ধনিয়া পাতা এবং জিরা গুড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করেছি।
![]() | ![]() |
---|
রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এখন ঢাকনা খুলে ঝোলগুলোকে শুকিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনি তো আজকে সবার মাঝে খুবই ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা সত্যি খুবই ইউনিক ছিল। আপনার টাইটেল দেখে আমি প্রথমে অবাক হয়েছিলাম পানি ছাড়া কিভাবে রান্না করলেন। এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি দিয়েছিলেন। আপনার রেসিপিটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। যেটা কিন্তু আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝতে পারতেছি। যারা এভাবে কখনো এই রেসিপি তৈরি করেনি, তারা চাইলে আপনার উপস্থাপনা দেখে শিখতে পারবে।
খুবই সামান্য একটু পানি দিয়েছিলাম না দেয়ার মত। যাতে মসলাটা বাটিতে লেগে না থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বোয়াল মাছ খেতে আমি অনেক ভালবাসি। মাঝেমধ্যে বোয়াল মাছ খাওয়া হয়ে থাকে৷ তবে পানি ছাড়া এই মাছ রান্না করা যায় সেটি আমি কখনো জানতাম না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ আজকে যেভাবে আপনি এটিকে ডেকোরেশন করার এটিকে একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে৷
আপনি বোয়াল মাছ খেতে ভালোবাসেন এবং মাঝে মধ্যে আপনার বোয়াল মাছ খাওয়া হয় জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এতো সামান্য পানি দিয়ে বোয়াল মাছের এই দারুণ রেসিপি টি করেছেন তা বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। বোয়াল মাছের এই রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে বাড়িতে পানি ছাড়া বোয়াল মাছের রেসিপি আমি নিশ্চয়ই করে দেখবো। এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
বোয়াল মাছের প্রচুর তেল থাকে। এজন্যই পানি ছাড়াও রান্না করা যায়। আপনি একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি পানি ছাড়াই বোয়াল মাছের মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। আমি এভাবে কখনো আগে পানি ছাড়া বোয়াল মাছের রেসিপি তৈরি করিনি। নিশ্চয়ই পানি ছাড়া রান্না করলেও এই বোয়াল মাছের রেসিপিটা অনেক মজাদার হয়েছিল, আর খুব মজা করে খেয়েছিলেন। আপনি এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পানি দিয়েছেন শুধু। আপনার উপস্থাপনা দেখে পানি ছাড়া বোয়াল মাছের রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিতে পেরে সত্যি খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ রেসিপিটা তৈরি শেয়ার করার জন্য।
পানির ছাড়া এভাবে যেহেতু বোয়াল মাছ রান্না করেননি তাহলে বাসায় একবার রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু। ভালো লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছে বোয়াল মাছের রেসিপি অনেক মজা লাগে বিশেষ করে বোয়াল মাছ তৈলাক্ত মাছ হওয়ায় আমার কাছে বেশি সুস্বাদু মনে হয়। আর সামান্য পানি দিয়ে বোয়াল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন এটা বলতে গেলে একদম ভিন্নভাবে উপস্থাপন যাইহোক পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বোয়াল মাছে অনেক তেল থাকে জন্য এই মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
পানি ছাড়া বোয়াল মাছের রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রেসিপি কালার টা দেখছি বেশ সুন্দর এসেছে । খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছে। রেসিপি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছে যে কেউ চাইলে খুব সহজভাবে তৈরি করে নিতে পারবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপি কালার যেমন সুন্দর এসেছে খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
পানি ছাড়া বোয়াল মাছের ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ে।ভালো লাগলো রেসিপিটি,বেশ মজা করেই খেয়েছেন নিশ্চয় ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমিও এই রেসিপিটি এবারই প্রথম তৈরি করেছিলাম। আপনিও বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
মাঝেমধ্যে রেসিপির ভিন্ন স্বাদের জন্য অন্যরকম ভাবে রান্না করা হয়। আপনি পানি ছাড়া অনেক সুন্দর করে বোয়াল মাছের রেসিপি করেছেন। তবে পানি ছাড়া রেসিপিগুলো করতে অনেক কষ্ট হয়। এটি ঠিক বারবার রান্নাগুলো নাড়তে হয়। তবে আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আর রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পানি ছাড়া রেসিপিগুলো দাঁড়িয়ে থেকে রান্না করতে হয়। মাঝে মাঝে নেড়ে হালকা আঁচে রান্না না করলে নিচ থেকে পুড়ে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মাঝে মাঝে খাবারের স্বাদের ভিন্নতা আনার জন্য একটু অন্যরকম করে রান্না করাই যেতে পারে তবে নতুন রান্না কেমন হবে সেই ভয়ে তো করা হয় না । হালকা পানি দিয়ে রান্না করেছেন তাহলে তো মাছটি অনেক টেস্ট হওয়ার কথা কারণ যে কোন ভাজির ভিতরে দেখবেন পানি না দিলে সেই ভাজিটা খেতে বেশি মজা লাগে । আপনার খাবারটা দেখতেই তো মনে হচ্ছে অনেক টেস্টি হয়েছে । এ ধরনের ভুনা ভুনা খাবার গুলো গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে ।
ঠিক বলেছেন আপু স্বাদ কেমন হবে এই ভয়ে অন্যরকম এক্সপেরিমেন্ট খুব কম চালানো হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।