পালংকি রেস্টুরেন্টে একদিন(১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি সুন্দর রেস্টুরেন্টের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এই রেস্টুরেন্টটি কক্সবাজারে । আমরা কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে ইনানী বীচে গিয়েছিলাম। ইনানী বীচ থেকে একটু দূরে এই রেস্টুরেন্টটি। সাধারণত ইনানী বীচে যারা ঘুরতে আসে তারা দুপুরের খাওয়া-দাওয়া এখানে করে। রেস্টুরেন্টটি দেখতে এত চমৎকার ছিল বলে বোঝানো যাবে না। বিভিন্ন রকমের কালারফুল ফুল এখানে ছিল যা দেখে আসলেই মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। তাছাড়া বাইরে কিছু বসার জায়গা ছিল যেখানে বসে সমুদ্র দেখা যায়। এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো ভালই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় এই রেস্টুরেন্টটি খাবারের জন্য জনপ্রিয় নয়। বেশি জনপ্রিয় এই রেষ্টুরেন্টের ডেকোরেশনের জন্য। এত সুন্দর ডেকোরেশনের জন্যই সবাই হয়তো রেস্টুরেন্টে যায়।
আমরা ইনানী বিচে যাওয়ার পর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করার জন্য একটি রেস্টুরেন্ট খুজছিলাম। তখন আমাদের গাড়ির ড্রাইভার এর রেস্টুরেন্টের কথা বলল এবং ওখানে নিয়ে গেল। যাওয়ার পর বীচে ঘুরে যে ক্লান্ত হয়েছিলাম তা নিমিষেই দূর হয়ে গেল এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট দেখে। এই রেস্টুরেন্টের ছবিগুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে রেস্টুরেন্টটি কত সুন্দর।
রেস্টুরেন্টের নাম হল পালংকি। নামটিও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
নিচের তিনটি ছবিই গাড়ি থেকে নামার পর রেস্টুরেন্টের ঢুকার রাস্তা। দুইপাশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর ফুল লাগানো আছে।
রেস্টুরেন্টে ছাদেও ফুল গাছ দিয়ে ভর্তি। রেস্টুরেন্টের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই ফুল গাছ লাগানো এবং গাছগুলোতে সুন্দর ফুল ফুটে আছে।
এই জায়গাটি রেস্টুরেন্টের বাইরের অংশ। এখানে বসে সমুদ্র দেখা যায়। খুবই ভালো লেগেছে এই জায়গাটি আমার কাছে। সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাস এসে গায়ে লাগছিল।
এই জায়গাটি রেস্টুরেন্টের ভিতরের অংশ। এত লোকজন ছিল রেস্টুরেন্টে বসার জায়গায় পাওয়া যাচ্ছিল না। এত বড় রেস্টুরেন্ট তারপরও ফাঁকা ছিল না।
আমার কাছে সব থেকে মজার যে জিনিসটি লেগেছে সেটি হল রেস্টুরেন্ট এর মেনু কার্ড। আপনাদের সঙ্গে মেনু কার্ডের একটি ছবি শেয়ার করলাম। সময় পেলে অবশ্যই খাবারের নাম গুলো পড়ে দেখবেন। খুবই মজা লাগবে। অদ্ভুত অদ্ভুত নাম তারা দিয়ে রেখেছে।
আমরা বেশ ক্লান্ত ছিলাম সেজন্য আমরা নরমাল ভর্তা, ভাত, মাছ,মাংস,ডাল অর্ডার করেছিলাম। এখানকার খাবার গুলো একটু এক্সপেন্সিভ।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যাওয়ার সময় খাবার পছন্দ হলে এই বেলটি বাজাতে কিন্তু ভোলা যাবে না।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আপনারা কেউ কক্সবাজার গেলে অবশ্যই এই রেস্টুরেন্টে একবার ঘুরে আসবেন। খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় নিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য।
ধন্যবাদ
@tania
Photography | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।
পালংকি রেস্টুরেন্টের সৌন্দর্যতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। চারিদিকে ফুলের সমাহার দ্বারা বেষ্টিত সমুদ্রতীরে এরকম রেস্টুরেন্টে বসে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার মজাই আলাদা। আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন আপু। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে আপু সত্যি কথা বলতে কি আমরা সব সময় সৌন্দর্যপ্রিয় আর আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় সৌন্দর্যকে সারা দেয় রুচিবোধকে বৃদ্ধি করে। আমরা একটি সুন্দর জায়গায় নিরিবিলি পরিবেশে যতটা তৃপ্তি পাই কোলাহলপূর্ণ জায়গায় ততটাই ভালো হোক না কেন আমরা কিন্তু আদতে পাবোনা। অর্থাৎ মানুষ সৌন্দর্য প্রিয় বলে এই রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। সত্যি রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর ফুলে ফুলে ভরা। আমি যদি কখনো কক্সবাজার যাই অবশ্যই এই রেস্টুরেন্টে যাবো এবং আপনার কথা তখন স্মরণ হবে। এত সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি আমার পোস্ট দেখে কক্সবাজারে গিয়ে এই রেস্টুরেন্টে যাবেন এবং আমাকে মনে করবেন শুনে খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হয়েছি সত্যি খুবই অসাধারণ। রেস্টুরেন্টে চারদিকের পরিবেশ খুবই দুর্দান্ত। বিশেষ করে ফুলের বাগান দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব অসাধারণ মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। আসলেই রেস্টুরেন্টটা খুবই চমৎকার ছিল।
আপু রেস্টুরেন্টে চেনা চেনা মনে হচ্ছে। কক্সবাজারে যখন গিয়েছিলাম তখন মনে হয় এই রেষ্টুরেন্টের গিয়েছি। সঠিকভাবে মনে করতে পারছিনা। কিন্তু আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খুবই সাজানো-গোছানো রেস্টুরেন্ট। আর একদম মনমুগ্ধকর পরিবেশ। এই পরিবেশে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া জমিয়ে খেয়েছেন নিশ্চয়ই। খাবার গুলো দেখতে ভালোই লাগছে। মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু রেস্টুরেন্টই খুবই সাজানো গোছানো পরিপাটি ছিল। খাবার গুলো বেশ মজাদার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু ইনানী বিচে গিয়ে পালংকি রেস্টুরেন্টে খুবই মনমুগ্ধকর পরিববেশে, দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট,যে রেস্টুরেন্ট এর বাইরে বসে সমুদ্র দেখা যায়, আবার এত অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে ঝকঝকে চকচকে রেস্টুরেন্টে বসে খাবার খেতে পারলে সময়টা খুব ভালই কেটে যায় তা বেশ বুঝতে পারছি। এছাড়াও পালংকি রেস্টুরেন্ট এর মেনু কার্ড টি সত্যিই অবাক করার মত। এত সুন্দর মন মাতানো নাম নিয়ে মেনু কার্ড টি যারা তৈরি করেছেন তাদের রুচির প্রশংসা করতে হয়। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ওদিকে এখনো যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে ভবিষ্যতে কখনো ওদিকে গেলে পালংকি রেস্টুরেন্টে ওঠার খুবই চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আমার পুরো পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই ওই দিকে গেলে এই রেষ্টুরেন্টটিতে একবার যাবেন। খুব সুন্দর রেস্টুরেন্টটি।
রেস্টুরেন্টটি আসলেই অনেক সুন্দর। প্রবেশ পথের দু'পাশে এত্ত সুন্দর ফুলের সমাহার দেখলেই মনটা ভরে যায়। আর ভেতরের জায়গাটাও দেখলাম অনেক প্রসস্থ। শুধু খাবারের দাম একটু বেশি মনে হলো। সব মিলিয়ে খাওয়া সেই সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা
আসলেই ভাইয়া রেস্টুরেন্ট ভর্তি এত ফুলের সমারোহ ছিল যে দেখতেই ভালো লাগছিল। এত সুন্দর ডেকোরেশন এর কারণেই হয়তো রেস্টুরেন্টটি বেশি পপুলার । ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
তমা আপু আজকে আপনি কি উপস্থাপন করলেন! রেস্টুরেন্ট কম বাগান বেশি লাগছে... সত্যি বলতে এরকম রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অনেক দিনের ইচ্ছা। অনেকের রেস্টুরেন্টে গিয়েছি কিন্তু এরকম পরিবেশের রেস্টুরেন্ট আগে কখনো দেখিনি। আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইল।
শীতের দিনে গেলে বাইরে বসে খাবার খেতে পারবেন আর সমুদ্র দেখতে পারবেন। আমরা গরমের সময় গিয়েছিলাম তাই গরমে বাইরে বসতে পারি নি। অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা কি সত্যি সত্যি রেস্টুরেন্ট নাকি একটি পার্ক? আমারতো কনফিউশন বেড়ে গেল। যাই হোক এত সুন্দর সুন্দর স্থান আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছেন এই দেখে অনেক খুশি হয়েছি।
এটিকে ফুলের বাগান বলতে পারেন। এত সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে যে দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে ইনানী বিচে অনেক মজা করেছেন মনে হচ্ছে। রেস্টুরেন্টটি সত্যিই অসম্ভব সুন্দর। অনেক সুন্দর বিভিন্ন রকমের কালার ফুল ফুলের ফটোগ্রাফি করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।