আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। আজকের টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করেছি। ইলিশের সিজন শুরু হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ইলিশ খাওয়া হচ্ছে। তাই ভাবলাম যে এখন একটু অন্যরকম ভাবে রান্না করি। সেজন্যই টক দই দিয়ে রান্না করা। টক দই দিয়ে রান্না করলে যে এত ভালো লাগবে আমি আগে বুঝতে পারিনি। খাওয়ার পরে দেখলাম যে খুবই ভালো লাগছে। কালারও বেশ চমৎকার এসেছে টক দই দেয়ার কারণে। এই ইলিশ মাছটি বেশ বড় সাইজের ছিল। প্রায় দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ। বই সাইজের ইলিশ মাছগুলোর স্বাদ অনেক বেশি থাকে। সবশেষে আমি উপর দিয়ে একটু বেরেস্তা দিয়ে দিয়েছি। বেরেস্তা দেয়ার কারণে অন্যরকম একটা ঘ্রাণ এসেছে রেসিপিটির মধ্যে। এভাবে ইলিশ মাছ রান্না করে পোলাউয়ের সঙ্গে খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি পোলাউয়ের সঙ্গেই খেয়েছিলাম। যাই হোক এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তা পর্যায়ক্রমে আপনাদের দেখাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
![IMG20221014100159.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYE1dxAYrLMzeZf8L3zZ7KGL58eiqzS6QNFxdLUGtHzFK/IMG20221014100159.jpg)
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmU9Wh1pdD8XACk5CTGKq2t5JvXPGXWC9nAw5Q6zUZaavh/PicsArt_21-12-17_17-47-48-634.png)
ইলিশ মাছ--৬পিস
পিঁয়াজ-- ৩ টি
কাঁচামরিচ-- ৩ টি
পিঁয়াজ বাটা-- ৩ টেবিল চামচ
টক দই-- ৩ টেবিল চামচ
চিনি--১ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া--১.৫ চা চামচ
মরিচের গুঁড়া-- ১ চা চামচ
ধনিয়া গুড়া-- ১ চা চামচ
জিরা গুড়া-- ১ চা চামচ
লবণ-- পরিমাণমতো
সরিষার তেল-- পরিমাণ মতো
![photoCollageMaker_20221122_175057756.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmT12gYNos8rwF3NTjYyhNsXfbgoTFQqYyRudpVdRXpA75/photoCollageMaker_20221122_175057756.jpg)
প্রথমে এক চামচ চিনি দিয়ে টক দই ভালোমত ফেটিয়ে নিয়েছি।
চুলায় একটা ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণমত তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুঁচি দিয়ে হালকা ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
বাটা মসলাগুলো কষিয়ে নিয়ে গুঁড়া মশলাগুলো দিয়ে ভালোমত কষিয়ে নিয়েছি।
মসলাগুলো ভালোমত কষানো হয়ে গেলে ফেটিয়ে রাখা টক দই দিয়ে আবারো কষিয়ে নিয়েছি।
বেশ কিছুক্ষণ কষানো পর মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি।
মাছগুলো কষিয়ে নিয়ে পরিমাণমত পানি দিয়েছি রান্নার জন্য।
রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এখন জিরাগুরা দিয়ে দিয়েছি।
তারপর আগে থেকে তৈরি করে রাখা বেরেস্তা দিয়ে দিয়েছি।
![IMG20221014095914.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmS6eGmrBs1g2SuD1cP9S6kDjbxiL6YnuzUjKeHYjEE53y/IMG20221014095914.jpg)
আর কিছুক্ষন রান্না করে ঝোল শুকিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
![IMG20221014100002.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXyH6g8xqWMyTuEan77T6KUYhtXpoDKmYhKcgesvUS3JA/IMG20221014100002.jpg)
![IMG20221014100149.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfPLdd4gkHHCdyHfZUc8wiWNCGUMUFrhRmMNgT7KDc9ty/IMG20221014100149.jpg)
এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
Photographer | @tania |
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
![animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif)
![IMG_20220106_113311.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdS5DBPsJTbELJCixdhp55beNMYV7W8EWVFUMKM5Zm8w1/IMG_20220106_113311.png)
![7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmemnBAFBqMayoUfifSq2nFqusbqJNzEazGwnUTcswdsWk/7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
আপু ইলিশের সিজেন শুরু হওয়ার পরে সবাই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছের রেসিপি শেয়ার করেছে এমনকি আমিও বেশ কয়েকটি ইলিশ মাছের রেসিপি শেয়ার করেছি। তবে টক দই দিয়ে কখনো ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি, আর আজকে আপনি সেই রেসিপি টাই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যেখানে প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। একদম ইউনিক লেগেছে এবং অনেক লোভনীয় ছিল।
ইলিশ মাছের রেসিপির কোন শেষ নেই। যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে খুবই মজা লাগে। তাহলে আর দেরি কেন টক দই দিয়ে একবার খেয়ে দেখেন কেমন লাগে বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পছন্দের মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ অন্যতম। যেকোনোভাবে ইলিশ মাছ রান্না করলে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। ইলিশ মাছ ভাজি, পিঁয়াজি, যেকোনো সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করলে সেটাও খেতে ভীষণ মজা লাগে। এই প্রথম টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করা দেখলাম। দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে আর আপনি তো বলেছেন খেতে মজা হয়েছে। ধন্যবাদ এইরকম একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সব রকম ভাবে রান্না যেহেতু খেয়েছেন তাহলে টক দইয়ের রান্না খাওয়া বাকি আছে । একদিন খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এখান থেকে এক পিছ পাঠিয়ে দিন আপনার এই ফ্যান এর জন্য আপু। আমি অপেক্ষায় থাকলাম। আসলেই বড় ইলিশ খেতে দারুণ স্বাদের। চাঁদপুর এর ইলিশ খেয়েছেন ? ওটার স্বাদ আরো বেশি। চাঁদপুর গ্রামের বাড়ি হওয়াতে প্রায়ই খাওয়া হয় গ্রামে গেলে। ইউনিক এই টক দই এর ইলিশ রেসিপিটি দারুণ হয়েছে আপু।
আগে থেকে বলতেন ভাইয়া খাওয়াতো শেষ হয়ে গিয়েছে। আসলেই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল টক দই দিয়ে রান্না করার কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আর এই ইলিশ চাঁদপুর থেকে আনা হয়েছে ভাইয়া। লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু ইলিশ চাঁদপুর থেকে এবার আনিয়েছিলাম।
সাধারণত ইলিশ মাছের অনেক ধরনের রেসিপি হয় তবে ভাজা ইলিশ এবং পেয়াজ ইলিশের স্বাদ আলাদা তবে টক দইয়ের ইলিশের স্বাদ কিন্তু অনেক চমৎকার। আমার বাসা আশেপাশে থাকলে আপনার বাসায় কিন্তু দাওয়াত নিতাম হাহাহা।
ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ যত ভাবেই রান্না করা হোক না কেন সব ভাবেই খেতে ভালো লাগে। বাসা কাছাকাছি না হলে কি হবে সময় করে চলে আসেন অবশ্যই খাওয়াবো। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও আপু আপনার টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ ভুনা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ কখনো ভুনা করে খাওয়া হয়নি তবে দেখে মনে হচ্ছে এভাবে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ যেহেতু কখনো রান্না করে খাননি তাহলে অবশ্যই একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। খুবই ভালো লাগবে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ কিছুদিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ছিল, যার ফলে এখন বড় বড় ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। আপনি টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করেছেন। নিশ্চয়ই খেতে অনেক ভালো হবে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক ধরেছেন ভাইয়া অনেকদিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে বড় বড় সাইজের ইলিশ মাছ পাওয়া গিয়েছে। আর টক দই দিয়ে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ,দারুন আপু আপনি খুব মজার দই ইলিশ রান্নার রেসিপি শেয়ার করলেন।দেখতে যেমন সুন্দর খেতে ও কিন্তু মজার। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে রান্নার প্রসেসগুলো দেখালেন, অনেক ভাল লাগলো। মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আপু দেখতে যেমন সুন্দর লাগছে খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি বলতে আজকে আমি প্রথম দেখলাম টক দই দিয়ে ইলিশ মাছ রেসিপি ৷ আর প্রতিটি ধাপ অনেক মনযোগ দিতে দেখলাম ৷ আপনি অনেক গুলো উপাদান দিয়ে রান্না করেছেন ৷ নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে৷
অনেক ভালো লাগলো আপু ৷
ভাইয়া প্রথম যেহেতু দেখলেন আমার রেসিপি ফলো করে বাসায় একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন। খুবই মজা লাগবে খেতে। বিশেষ করে পোলাউয়ের সঙ্গে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সরিষা বাটা দিয়ে ইলিশ রান্না অনেক খেয়েছি কিন্তু টক দই দিয়ে রান্না মনে হয় এই প্রথম দেখলাম। ইলিশ মাছ আমার খুবই প্রিয় আর দেখেই বোঝা যাচ্ছে রান্না ভালো হয়েছে। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। ধন্যবাদ।
সব রকম ভাবেই তো খাওয়া হয়েছে তাই একটু অন্যরকম ভাবে রান্নার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করে অবশ্য ভালো হয়েছে। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।