একটি একসিডেন্ট এ মুহূর্তেই জীবন শেষ।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় যাচ্ছে। কিছুতেই সময় বের করতে পারছি না। বিশেষ করে পোস্ট রেডি করার তো একদমই সময় পাচ্ছি। যে পোস্ট করছি সেগুলো আগে থেকে রেডি করা ছিল। আমি মাঝে মাঝে কিছু পোস্ট রেডি করে রাখি যাতে বিপদে পড়লে তখন সেগুলো শেয়ার করতে পারি। আজকে একটু সময় পেলাম তাই এই পোস্ট তৈরি করতে চলে আসলাম। আজকের পোষ্টটিতে মানুষের জীবন মৃত্যু নিয়ে কিছুটা লেখার চেষ্টা করেছি।



accident-101598_1280.jpg

Link



আমাদের জীবন মৃত্যুর কোন ঠিক ঠিকানা নেই। মৃত্যু যে কখন কার কি অবস্থায় চলে আসবে তা আমরা কেউ বলতে পারি না। নিঃশ্বাসের থেকেও কাছে রয়েছে আমাদের মৃত্যু। তারপরও আমাদের কত চিন্তা ভাবনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে কত চিন্তা করে রাখি। কিন্তু আমরা একবারও চিন্তা করি না যে আগামীকাল আমরা ঘুম থেকে উঠতে পারবো কিনা। তারপরও আমরা আগামীকাল সারাদিন কি করবো, তারপর পরেরদিন কি করবো এরকম আগামী বেশ কয়েক বছরের পরিকল্পনা করে রাখি। মৃত্যুর পরে আমাদের কি হবে তা নিয়েও চিন্তা করিনা। মৃত্যুর পরের জন্য কোন প্রিপারেশনে আমরা গ্রহণ করি না। শুধু পৃথিবীর মোহে পড়ে থাকি।

আজকে একটি ঘটনা শেয়ার করি আপনাদের সঙ্গে। এই ঘটনাটি দেখার পর থেকে আমার কাছে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা হচ্ছে। যদিও মাঝে মাঝে চিন্তা করি তারপর এখন বেশি চিন্তা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালবেলায় স্কুলে যাচ্ছিলাম। আমরা স্কুলের বাসে করে স্কুলে যাই। ৩০০ ফিট দিয়ে যেতে হয়। এই রাস্তাটিতে কখনোই জ্যাম হয় না। মাঝেমধ্যে হঠাৎ টুকটাক হয়। এজন্য স্কুলে যেতে খুব একটা সময় লাগে না। সেদিন হঠাৎ করে দেখলাম যে রাস্তায় অনেকটা জ্যাম। লোকজন গাড়ি ঘুরিয়ে সাইড রোড দিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা বিরক্ত লেগেছিল লোকজনের এমন কাজ দেখে। তারপর কিছুক্ষণ পর জ্যাম ছুটলে আমরা সামনের দিকে গেলাম। সামনে গিয়ে দেখতে পেলাম যে একজন মহিলা রাস্তার উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। আর কিছু লোক মহিলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে যাতে অন্য কোনো গাড়ি আবার উপর দিয়ে চলে না যায়। মহিলাটিকে দেখে যা মনে হল যে সে মারা গিয়েছে। খুব সম্ভবত এক্সিডেন্ট করেছে। ৩০০ ফিট রাস্তা খুবই চওড়া এবং বেশ সুন্দর। গাড়ি গুলো খুব স্পিডে চলে। আসলে এই রোডে গাড়ি চালাতে গেলে এমনিতে গাড়ির স্পিড উঠে যায়। তারপরও লোকজন জীবনের রিক্স নিয়ে রাস্তা পার হয়। ফুটওভারে উঠতে চায় না। খুব সম্ভবত মহিলাটি রাস্তা পার হতে গিয়ে হয়তো এই অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। স্কুল থেকে ফেরার পথে দেখলাম অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে একটি ট্রাক উল্টে রয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম না যে রাস্তার এই সাইডে ট্রাক উল্টে আছে আর মহিলাটি রাস্তার ওপর সাইডের মাঝখানে পড়ে আছে। তাহলে কি মহিলাটি ট্রাকের বাড়ি খেয়ে অত দূরে গিয়ে পড়েছে। আসলে চিন্তা করতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল।

তা দেখেই চিন্তা করছিলাম যে আমাদের জীবনের এক মিনিটেরও ভরসা নেই। এই যে আমরা যে রাস্তাঘাটে বের হচ্ছি কখন কি অবস্থায় পরি তার কোন ঠিক নেই। আমরা ওই মহিলার মত রাস্তাঘাটে অ্যাক্সিডেন্ট করতে পারি। কিন্তু তা নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। কিছুটা সময় বাঁচানোর জন্য আমরা জীবনের রিক্স নিয়ে রাস্তা পার হই। এই কাজটি আসলেই কারো করা উচিত না। মহিলাটি যে মারা গিয়েছে তার পরিবারের খোঁজ কি পুলিশ বের করতে পারবে? পরিবারের লোকজন কি জানতে পারবে যে তাদের পরিবারের একজন রাস্তায় এভাবে মারা গিয়েছে। এজন্য আমাদের সবারই উচিত রাস্তা ঘাটে খুব সাবধানে চলাফেরা করা। সময়ের মূল্য থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।



এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

একটা কথা আছে আপু রবি ঠাকুরের লেখা, "জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য"। মৃত্যুই তো আসলে আমাদের পৌঁছানোর জায়গা। তবে যে কোন অকাল মৃত্যু নাড়া দিয়ে যায় মনুষ্য জীবনকে। আপনি যে মহিলার কথা লিখেছেন এই রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, হয়তো মৃত। শুনতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এত হাই স্পিড গাড়ি চলে যেখানে সেখানে মানুষের যাতায়াত অনেক বেশি রিস্ক হয়ে যায়। অথচ হঠাৎ করেই তার জীবনটা চলে গেল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন কোন কাজে বাড়ির লোক তার অপেক্ষা করছে ফেরার। যে কঠিন পরিস্থিতি।

 last month 

পরে জানতে পারলাম যে ওই দিনে দুটি অ্যাক্সিডেন্টে দুইজন মানুষ মারা গিয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 last month 

আমাদের বাংলাদেশের তিনশত ফিট রাস্তা টি যত বেশি আরামদায়ক আবার তত বেশি রিস্কি। কেননা, আমি ও প্রতিনিয়ত অনলাইনে দেখি এই রাস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে গাড়ির দূর্ঘটনা ঘটে। আসলে এই রাস্তাটি একদম ফাকা থাকার কারণে গাড়ি চালকরা খুবই স্পিডে গাড়ি চালায়। আসলে একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না।

 last month 

বেশি আরামদায়ক তার জন্য গাড়িগুলো অনেক জোরে চলে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। যায় হোক ধন্যবাদ।

 last month 

একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।একটি জীবন খুব সহজেই শেষ হয়ে যায়।এই এক্সিডেন্ট এর জন্য।এক্সিডেন্ট এর অন্যতম কারণ প্রতিযোগিতা।চালকরা রাস্তা ফাঁকা পেলেই স্পিডে গাড়ি চালায় আর যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।লেখাটি বেশ সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ।

 last month 

ঠিক বলেছেন আপু এরকম এক্সিডেন্টে খুব সহজে একটি জীবন ঝরে যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

৩০০ ফিট রাস্তার কথা আমি জানি। বেশ অনেক কয়টা ভিডিও দেখেছি। তবে যাই হোক অ্যাক্সিডেন্টের বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের নজরে আসছে বা কানে আসছে। আর এই থেকে কিন্তু আমাদের সাবধান হওয়া প্রয়োজন। পথে ঘাটে এমন দুর্ঘটনা দেখে নিজেদের এই বিষয়টা সজাগ দৃষ্টিতে নিতে হবে যেন ঠিকভাবে গাড়ি চলাচল হয় এবং এক্সিডেন্ট এর মাত্রা কমে।

 last month 

এর আগে এখানে এত বড় বড় অ্যাক্সিডেন্ট হয়নি। এবারই মনে হয় প্রথম হল। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

 last month 

আসলেই জীবন আর মৃত্যুর মাঝে যেন এক সেকেন্ডের ও কম পার্থক্য নিয়েই চলি আমরা সবাই! কখন যে সেই মুহূর্ত টি কার জীবনে চলে আসবে, কেউ ই জানি না। রাস্তায় বের হয়ে এমন নির্মম দুর্ঘটনায় প্রাণ যাওয়ার ঘটনা গুলো আসলে মেনে নেয়া যায় না। তবুও বেশিরভাগ মানুষ একটু সময় বাঁচানোর জন্য রিস্ক নিয়ে হাই স্পীডে গাড়ি চলাচল করার রাস্তাতেও দৌড়ে পার হবার চেষ্টা করে ওভারব্রিজ ব্যবহার না করে! সকলের সঠিক বুঝ আসুক, রাস্তায় এমন কোন দুর্ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়, সেটাই আমাদের কাম্য।

 last month 

তারপর আমাদের বরাইয়ের কোন শেষ নেই। যাইহোক আপু ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 last month 

আমাদের দেশে রোড এক্সিডেন্ট খুবই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ট্রাফিক জ্যামের জন্য মানুষের পারাপার অনেকটা ঝামেলার বিষয় হয়ে যায় অনেক জায়গায়। আর এই পারাপার করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়ে যায়। হয়তো ঠিক এভাবেই ৩০০ ফিটের রাস্তায় এই এক্সিডেন্ট ঘটেছে। তবে এই সমস্ত বিষয়ে আরো সজাগ থাকতে হবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশে আইন শৃঙ্খলা আরো বাড়াতে হবে।

 last month 

আমাদের দেশের মতো অন্য কোন দেশে হয়তো এত এক্সিডেন্টে মানুষ মারা যায় না। আসলেই মানুষের অসচেতন জন্যই এরকম ঘটে।

 last month 

ঠিক বলেছেন মৃত্যু আমাদের নিঃশ্বাসের থেকো কাছে। তবুও আমরা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করি। তা না হলেতো বেঁচে থাকি কস্টকর হয়ে যাবে। তবে এ ধরনের মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন। আর যে রাস্তার কথা বলেছেন সেই রাস্তায় গাড়ি বেশ স্পিডে চলে। চাইলেও গাড়ি ব্রেক করা যায় না। আমরা সময় বাঁচানর জন্য এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনি। রাস্তা পারাপারে সকলকে সাবধান হতে হবে।

 last month 

এখানে গাড়িচালকদের থেকে সাধারণ মানুষের সমস্যা বেশি। তারা এরকম রাস্তাগুলোতে দিয়ে উপর দিয়ে পার না হয়ে নিচ দিয়ে পার হয়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

আসলে আপু আমরা যখন রাস্তাতে চলি তখন প্রায় রাস্তাতেই দেখা যায় সাইনবোর্ডে লেখা থাকে "একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না " দুর্ঘটনায় হয়তোবা ওই মেয়েটি মারা গিয়েছে কিন্তু তার পরিবারের সবাই কিন্তুু সারা জীবন কান্না করবে। যাইহোক আপু ৩০০ ফিটের রাস্তায় আমি অনেক গাড়ি ড্রাইভ করেছি। রাস্তাটা অনেক প্রশস্ত এবং নিরিবিলি হওয়ার জন্য প্রচন্ড পরিমাণ দ্রুত গতিতে গাড়ি চলে। কাজেই রাস্তা পার হওয়ার সময় যদি ভালো করে খেয়াল না করে রাস্তা পার হয় তো দুর্ঘটনা অনিবার্য। যাইহোক আপু সময়োপযোগী একটি সতর্কতামূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last month 

রাস্তা পার হওয়ার জন্য ওভারব্রিজ থাকার পরও মানুষ নিজ দিয়ে পার হয়। তখনই এরকম দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.25
JST 0.038
BTC 95511.18
ETH 3313.19
USDT 1.00
SBD 3.30