(ট্রাভেলিং পোস্ট) ঈদের ছুটিতে রংপুর

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।


আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি। বিয়ের পর মেয়েদের আসলে বাপের বাড়ি খুবই কম ঈদ করা হয়। দেখা যায় বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করা হয়। যাদের শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি কাছাকাছি তাদের অবশ্য অন্যরকম আনন্দ।আমার শশুর বাড়ি অনেক দূরে হওয়ার কারণে দুই ঈদেই যাওয়া হয়। তাছাড়া তেমন একটা যাওয়া হয় না। বাচ্চাদের স্কুল, হাজবেন্ডের অফিস সব মিলে সময় হয়ে ওঠে না। এজন্য ঈদের সময় যাওয়াটা মিস দিই না। তাছাড়া অনেকদিন পর শ্বশুরবাড়িতে গেলে বেশ ভালোই মজা হয়। বাচ্চারাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে দাদু বাড়িতে যাওয়ার জন্য। বিশেষ করে গ্রামের পরিবেশে কিছুদিন থাকতে খুব ভালো লাগে। গ্রামে এরকম সবুজ শ্যামল পরিবেশটা ঢাকাতে পাওয়ার সম্ভব নয়। বাচ্চারাও মনের আনন্দে ছোটাছুটি করতে পারে। বাসায় থাকলে তো শুধু মোবাইল আর টিভি নিয়েই ব্যস্ত থাকে। গ্রামের বাড়িতে গেলে তখন আর ওদের খুঁজে পাওয়া যায় না মোবাইল টিভি দেখার জন্য। সারাদিন বাইরেই খেলতে থাকে। তাছাড়া এবার মনে হয় একটু আরাম পাওয়া যাবে যেহেতু বর্ষাকাল। টুকটাক বৃষ্টি থাকবেই। তা নাহলে গতবার গরমে একেবারে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।


IMG_1043.jpeg


আমাদের বাস নয়টায় ছিল। কল্যাণপুর থেকে উঠতে হবে। আমার বাসা থেকে কল্যাণপুর অনেক দূরে তাই আমরা সাতটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা আবারও সেই শাহ আলী স্লিপিং কোচ এ টিকিট কেটেছি। এই বাসটার সুবিধা বাচ্চা নিয়ে আরামে ঘুমিয়ে যাওয়া যায়। অনেকটা ট্রেনের মত। বাচ্চারা বিরক্ত করে না। কিন্তু সমস্যা একটা যে ঈদের সময় টিকিটের দাম ডাবল করে ফেলে। নরমাল সময় ১৭০০ টাকা হলে ঈদের সময় টিকিট কাটতে হয় ৩২০০ টাকা দিয়ে। কি আর করার দাম বেশি হলেও বাড়িতো যেতে হবেই।


IMG_1044.jpeg


রাস্তায় প্রচন্ড রকম জ্যাম ছিল। আমরা তো ভাবছিলাম যে আমরা যাওয়ার আগে না বাস ছেড়ে দেয়। এজন্য সুপারভাইজার কে ফোন করে জানিয়ে দিলাম যে আমাদের আসতে ১০ মিনিট লেট হবে। তারপরে সেই বাস ছাড়তে ছাড়তে ঠিকই নয়টা পার করেছে।


IMG_1047.jpeg


আজকের আকাশটা খুব চমৎকার ছিল। কালো মেঘে ছেয়ে ছিল। আবার কিছু কিছু জায়গায় সাদা মেঘ খুব ভালো লাগছিল দেখতে।


IMG_1050.jpeg


IMG_1051.jpeg


রাস্তায় ব্রেক দেয়াতে আমরা টুকটাক খাওয়া দাওয়া করে নিলাম।


IMG20230626054506.jpg


অবশেষে আমরা রংপুর এসে নামলাম। প্রতিবার বাস থেকে নেমেই আমরা সরাসরি শ্বশুরবাড়িতে চলে যাই একটা অটো নিয়ে।রংপুরে আর সময় নিয়ে আসা হয় না। তাই এবার ভাবলাম যে বাড়িতে যাওয়ার আগে রংপুর থেকে টুকটাক কেনাকাটা সেরে যাই। সেজন্য বাস থেকে নেমেই আমরা মামা শ্বশুরবাড়িতে উঠেছি। এখানে এসে সকালের নাস্তা খেয়ে একটু রেস্ট নিচ্ছি। দোকানপাট খুললে তারপরে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিব। এ পর্যন্ত সুস্থ মতো আসতে পেরেছি। দোয়া করবেন বাকি পথটুকু জন্য সুস্থ মতো পৌঁছাতে পারি।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 last year 

আসলে বিয়ের পরে মেয়েদের বাবার বাড়ি দুটো হয়ে যায়। যেকোনো একটা জায়গায় একটু বেশি থাকতে হয়। যদিও অনেকদিন পরে যদি শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয় তাহলে এক অন্যরকম আদর পাওয়া যায় যেটা আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে নিয়ে গ্রামের প্রকৃতি পরিবেশের মাঝে সময় কাটানোটা অনেক বেশি জরুরি কারণ বাসার মধ্যে তারা সবসময়ই ফোন টিভি এসব নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিছুটা প্রকৃতি পরিবেশের সাথে সময় কাটালে তাদের মন মানসিকতাও অনেক বেশি বদলে যাবে। ঈদের সময়ে সব কিছুর দাম প্রায় দ্বিগুণ করা হয় বাস থেকে ট্রেন এসবের টিকেট এত বেশি দাম রাখা হয় যে রীতিমতো অবাক হয়ে যেতে হয়। যাই হোক আপনার ভ্রমণের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া অনেকদিন পর আসার জন্যই অনেক বেশি আদর পাওয়া হয়। তাছাড়া এই প্রকৃতির মাঝে থাকতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিক বলেছেন গ্রামের বাড়িতে গেলে বাচ্চাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আর বাসায় শুধু টিভি আর ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।আসলে গ্রামের বাড়িতে আরো বাচ্চারা থাকে তাদের সাথে খেলা ধুলা করে বাচ্চারা অনেক মজা পায় আর শহর তো চার দেয়ালে বন্ধী। যাইহোক অবশেষে ভালো মতো পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। দোয়া করি বাকি পথ ও ভালো ভাবে পৌঁছে যাবেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

এখানে আসার পর থেকেই তো ওদের আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত আছে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

সবাই অনেক অধীর আগ্রহের বুক বেঁধে রয়েছে কেউবা যাত্রা শুরু করে দিয়েছে কেউবা করবে। সবাই সবার আপনজন প্রিয়জন গ্রামের বাড়ি গিয়ে ঈদ করতে অনেক পছন্দ করে।
ঢাকা টু রংপুর ঈদের ছুটি। ঈদ আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করেন ।শুভ হোক আপনার যাত্রা।

 last year 

আমরা প্রতিবার একটু আগে আগেই যাত্রা শুরু করি। তা না হলে জ্যামের কবলে পরতে হয়। অনেক দূরের রাস্তা খুব কষ্ট হয়ে যায় যেতে । ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 last year 

শুভ হোক আপনার ঈদের সময় শ্বশুড়বাড়ী ভ্রমন। আসলে এবার তো কোরবানীর ঈদ। আর মাংস খাওয়ার ঈদ তো আমি তো ভাবছি আপনার তো আবার দাতঁ ভালো না তো কি করে এই দাঁত দিয়ে মাংস খাবেন। সে যাই হোক অনেক সাবলীল লেখার মাধ্যমে আপনি আমার ভ্রমন কাহিনী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে আকাশ টা কিন্তু সত্যিই চমৎকার ছিল।

 last year 

বাড়িতে আসলেই আমার দাঁতের প্রবলেম হয়। জানিনা কখন আবার এই সমস্যা বেড়ে যায়। দোয়া করবেন ভালো মত যেন মাংস খেতে পারি।

 last year 

আর মাত্র কয়েকদিন অপেক্ষা ঈদ মানেই প্রিয় মানুষ গুলোর খুনসুটি তাদের সাথে সময় কাটানো ৷ আসলে মেয়েদের বিয়ের পর শশুর বাড়ির আসল বাড়ি হয়ে যায় ৷
যা হোক ঈদ উদযাপন ভালো কাটুক এমনটাই প্রতার্শা করি ৷ শুভকামনা রইল আপু

 last year 

মেয়েদের কোন বাড়িই আপন হয় না। না শ্বশুরবাড়ি না বাপের বাড়ি। যাই হোক ভাইয়া ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য আসলে কোথাও সময় বের করে যাওয়া হয়না।আর গ্রামের বাড়িতে তো আরো হয়না,দূরত্বের কারনে।যাই হোক ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি গেলেন খুব সুন্দরভাবে জেনে ভালো লাগলো। আর কিছু কেনাকাটা করতে মামা শ্বশুরের বাসায় গেলেন।এটা ভালোই হলো।নয়তো আবার এতোটা দূরে কেনাকাটা করতে আসা লাগতো।মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

একদম আপু বাচ্চাদের স্কুলের সঙ্গে শিডিউল করে সব সময় ঘুরতে যাওয়া ঠিক করতে হয়। বাচ্চা বড় হয়ে গেলে এই এক সমস্যা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 last year 

আসলে যারা নিজেদের পরিবার থেকে দূরে থাকে, তারা ঈদের সময় ছুটি পাওয়ার পরে গ্রামে অনেক আনন্দ সরকারে আসে এবং অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে তাদের মধ্যে। যদিও আমরা সবাই একসাথে থাকি তাই তেমন কিছু মনে হয় না। তবে সবাই মিলে আনন্দ সহকারে ঈদ উদযাপন করলে খুব ভালোই লাগে। আপনারা ঈদের ছুটিতে রংপুরে অর্থাৎ আপনার শ্বশুর বাড়িতে এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ছোট ছোট বাচ্চারা দাদুর বাড়ি থেকে দূরে থাকলে সেখানে আসতে অনেক বেশি আনন্দিত হয়। বাচ্চারা তো আরো বেশি মজা করে।

 last year 

ঈদ আসলেই রংপুরে আসা হয়। তাছাড়া তেমন একটা আসা হয় না এতদূর জন্য। যাই হোক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনারা ঈদের ছুটিতে রংপুরে এসেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। যেহেতু আপনার বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে এবং আপনার হাসবেন্ডের অফিস রয়েছে, তাই আপনার শ্বশুর বাড়িতে একেবারেই যাওয়া হয় না বুঝতে পারছি শুধু ঈদের সময় যাওয়া হয়। বাস থেকে নেমে মামাশ্বশুরের বাড়িতে উঠেছেন এটা ভালোই করেছেন। সম্পূর্ণটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

বাচ্চাদের স্কুলের কারনে বছরে ঈদের ছুটি ছাড়া তেমন বাড়ি যাওয়া হয় না। আর তাই আমরা যারা ঢাকা ও বিভিন্ন জায়গায় থাকি চেস্টা করি ঈদে বাড়ি যেতে । কারন সবাই যার যার ক্ররমসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকে । ঈদে সকলে বাড়ি আসে তাই সবার সাথে দেখা হয়। তাই শত কস্ট করে হলেও ডাবল দামে টিকেট কেটে বাড়িতে যাওয়ার চেস্টা থাকে। আপনি বেশ ভালভাবে বাড়ি পৌছিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ভালো কাটুক আপনার ঈদ উৎসব ।

 last year 

এজন্যই শত ব্যস্ততা থাকলেও ঈদে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া বাড়ির লোকজনের অধীর আগ্রহ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56085.77
ETH 2369.58
USDT 1.00
SBD 2.31